ট্রপিক্যালে জিনোম সিকোয়েন্সের পরীক্ষা

জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য আর ভিন রাজ্যে নমুনা পাঠাতে হবে না।

Must read

সৌমালি বন্দ্যোপাধ্যায়: জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য আর ভিন রাজ্যে নমুনা পাঠাতে হবে না। এবার রাজ্য সরকারের উদ্যোগে স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে চালু হল জিনোম সিকোয়েন্সের ব্যবস্থা। এর ফলে কোনও ভাইরাসের জিনের চরিত্র জানতে রক্তের নমুনা চণ্ডীগড় পিজিআই বা কোনও ভিন রাজ্যে কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগারে আর পাঠাতে হবে না।

আরও পড়ুন-তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবস অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছাবার্তা

কলকাতার স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনেই এখন জিনের চরিত্র বিশ্লেষণ করা যাবে। ফলে আরও দ্রুত রিপোর্ট পাওয়া যাবে। এতদিন চণ্ডীগড় পিজিআই থেকে এই রিপোর্ট আসতে অন্তত ৩-৪ সপ্তাহে সময় লাগত। সেই জায়গায় এখন মাত্র ৭ দিনের মধ্যে স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে জিনোম সিকোয়েন্সের রিপোর্ট পাওয়া যাবে। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে জিনোম সিকোয়েন্সের ব্যবস্থা পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথম হল। স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ও বিধায়ক ডাঃ রানা চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘‘ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে এখানে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। অচেনা ভাইরাসের প্রকৃতি ও তার জিনের চরিত্র বদলের বিষয়ে খুঁটিনাটি সমস্ত তথ্য এখানে পাওয়া যাবে। ৪টি নমুনার একসঙ্গে বিশ্লেষণ করা যাবে।

আরও পড়ুন-তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাদিবসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা

তিনি আরও বলেন, জিনোম সিকোয়েন্সের গুরুত্ব কতটা তা আমরা কোভিডের সময় দেখেছি। এছাড়াও কোনও অচেনা ভাইরাসের চরিত্র বুঝতেও জিনোম সিকোয়েন্স অপরিহার্য। এখানে বিভিন্ন ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স এখন চালু হলেও ছত্রাকঘটিত কিছু রোগও শনাক্ত করা হবে। এর জন্য নির্দিষ্ট কিছু কিট দরকার। আগামী দিনে সেটিও এখানে করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।’’ রাজ্য সরকারের উদ্যোগে স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে জিনোম সিকোয়েন্সের ব্যবস্থা চালু হওয়ায় খুশি রাজ্যের চিকিৎসক মহল। চিকিৎসকরা বলছেন, ‘‘উন্নততর চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা খুবই কার্যকর হবে।’’ উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেনের খোঁজ পেতে এই জিনোম সিকোয়েন্সই একমাত্র ভরসা। এখন থেকে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে কলকাতার স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে জিনোম সিকোয়েন্স চালু হয়ে যাওয়ায় করোনার বিরুদ্ধে লড়াই আরও জোরালো হল।

Latest article