রাজ্যের সাহায্যে হয় বড়দেবীর পুজো

সাধারণ দুর্গা প্রতিমার সঙ্গে এই বড়দেবী প্রতিমার যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। দেবী দুর্গার সঙ্গে লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক ও সরস্বতী থাকলেও বড়দেবীর সঙ্গে রয়েছেন জয়া ও বিজয়া।

Must read

অনুপম সাহা, কোচবিহার: রাজা নেই, নেই রাজপাট। তবুও ভক্তিভরে আজও পূজিতা হন কোচবিহারের রাজ আমলের বড়দেবী। এই পুজোর ব্যয়ভার বহন করে রাজ্য সরকারের পর্যটন দফতরের দেবত্র ট্রাস্ট বোর্ড। প্রায় ৫০০ বছর আগে কোচবিহারের মহারাজা বিশ্ব সিংহের আমলে এই বড়দেবীর পুজোর সূচনা হয়। তারপর থেকে রাজ আমলের সেই প্রচীন নিয়ম-রীতি মেনে আজও পুজো হয়ে আসছে বড়দেবীর। একসময় নরবলি হলেও বর্তমানে এই বড়দেবীর পূজাতে অষ্টমীর দিন গুপ্তপুজোয় নিবেদন করা হয় নররক্ত।

আরও পড়ুন-নিরাপত্তায় থাকবে সাতশো পুলিশ

সাধারণ দুর্গা প্রতিমার সঙ্গে এই বড়দেবী প্রতিমার যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। দেবী দুর্গার সঙ্গে লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক ও সরস্বতী থাকলেও বড়দেবীর সঙ্গে রয়েছেন জয়া ও বিজয়া। এই পুজোর সঙ্গে রাজ আমলের আবেগ জড়িয়ে থাকায় পুজোর দিনগুলোতে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি নিম্ন অসম ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা এই পুজো দেখতে আসেন। প্রসঙ্গত শ্রাবণের শুক্লা অষ্টমী তিথিতে ডাঙ্গরাই মন্দিরে ময়নাকাঠ পুজোর মধ্য দিয়ে বড়দেবীর পূজার সূচনা হয়। সেখান থেকে নিয়ে এসে মদনমোহন মন্দিরে ময়নাকাঠ একমাস বিশেষ পুজোর পর রাধা অষ্টমী তিথিতে সেই ময়নাকাঠ বড়দেবীর মন্দিরে বিশেষ পুজোর মধ্য দিয়ে ট্রলিতে স্থাপন করে সেখানে ৩ দিন হাওয়া খাওয়ানোর পর সেই ময়নাকাঠের উপর বড়দেবীর প্রতিমা গড়ার কাজ শুরু হয়। এ বিষয়ে জেলাশাসক পবন কাদিয়ান বলেন এবছরও সমস্ত নিয়ম-রীতি মেনে আমরা বড়দেবীর পুজো করছি। দ্বিতীয়া তিথিতে নির্দিষ্ট সময়ে দেখার পর পুজোর পরবর্তী অনুষ্ঠান শুরু হবে।

Latest article