সিবিএসই-র পাঠ্যক্রমে বাদ গেল গুজরাত দাঙ্গা

কোভিড অতিমারির জেরে বিগড়েছে রুটিন। বহু রাজ্যেই কাটছাঁট করা হয়েছে সিলেবাস। সিবিএসই বোর্ডও পাঠ্যক্রমে ভার কমানোর ঘোষণা করেছিল

Must read

প্রতিবেদন : কোভিড অতিমারির জেরে বিগড়েছে রুটিন। বহু রাজ্যেই কাটছাঁট করা হয়েছে সিলেবাস। সিবিএসই বোর্ডও পাঠ্যক্রমে ভার কমানোর ঘোষণা করেছিল। সিবিএসই বোর্ডের বই ছাপায় এনসিইআরটি বা ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং। ভার কমানোর অছিলায় দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান সিলেবাস থেকে গুজরাত দাঙ্গা বা দ্য মুঘল কোর্টের মতো বিষয় বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এনসিইআরটি বিবৃতিতে বলেছে, গুজরাত দাঙ্গা, দ্য মুঘল কোর্ট, ঠান্ডা যুদ্ধের মতো বেশ কয়েকটি বিষয় দ্বাদশ শ্রেণির সিলেবাস থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। মুছে দেওয়া হয়েছে নকশাল আন্দোলনের ইতিহাস ও জরুরি অবস্থা সংক্রান্ত আলোচনা।

আরও পড়ুন-মোদির বিরোধিতায় বিজেপির একাংশ

একাদশ শ্রেণির সিলেবাস থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে শিল্প বিপ্লবের মতো বিষয়কে। এখানেই শেষ নয়, কয়েকজন দলিত লেখকের রচনা সপ্তম শ্রেণির সিলেবাস থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অথচ গুজরাতের স্কুলের সিলেবাসে গীতা পড়ানো হবে বলে বিধানসভায় জানান গুজরাতের শিক্ষামন্ত্রী। সেই মতো ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যসূচিতে থাকছে গীতা। চলতি শিক্ষাবর্ষে এই নীতি লাগু হচ্ছে। পড়ুয়াদের নীতি এবং মূল্যবোধ বাড়াতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিধানসভায় জানিয়েছেন গুজরাতের শিক্ষামন্ত্রী।

আরও পড়ুন-রাম রহিমের ছাড়

প্রশ্ন এখানেই উঠছে। যদি সিলেবাসের ওজন কমাতেই দাঙ্গা বা জরুরি অবস্থা বাদ পড়ে, তা হলে নতুন করে গীতা পাঠ ঢুকিয়ে সিলেবাস ভারী করা হয় কোন যুক্তিতে! দাঙ্গার যে পাঠ্যাংশটি বাদ পড়েছে তাতে বলা ছিল, রাজনৈতিক স্বার্থে ধর্মীয় ভাবাবেগকে ব্যবহারের উদাহরণ হল গুজরাত। পাঠ্যটিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর বক্তব্যও অন্তর্ভুক্ত ছিল, যেখানে তিনি তৎকালীন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে রাজধর্ম অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। বিরোধীদের দাবি, নিজেদের কলঙ্ক মুছতে তৎপর গেরুয়াশিবির নতুন ইতিহাস লিখতে চাইছে। এই প্রচেষ্টার তীব্র সমালোচনাও শুরু হয়েছে সব মহলে।

 

Latest article