অভিষেকের পাশে ইন্ডিয়া

রবিবার ইডির তরফে চিঠি পাঠিয়ে ১৩ তারিখে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিজিও দফতরে আসতে বলা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

Must read

প্রতিবেদন : গোটা ইন্ডিয়া অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব। বুধবার নয়াদিল্লিতে সমন্বয় কমিটির প্রথম বৈঠকের শেষেই সাংবাদিকদের স্পষ্ট ভাষায় কে সি বেনুগোপাল জানিয়ে দিলেন, ইন্ডিয়া জোটের সব দল অভিষেকের পাশে রয়েছে। এজেন্সির জিজ্ঞাসাবাদের নামে যা হচ্ছে, তা আসলে প্রতিহিংসার রাজনীতি। আমরা বিজেপির এই নিম্নরুচির রাজনীতির কড়া প্রতিবাদ করছি। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিচ্ছি, ইন্ডিয়া পরিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই রয়েছে। ইডির ৯ ঘণ্টার প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্বকে কৃতজ্ঞতা জানান।

আরও পড়ুন-বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে শিল্প-বাণিজ্য বৈঠক, মাদ্রিদ পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী

তিনি বলেন, সম্মানীয় শরদ পাওয়ার, সঞ্জয় রাউত, কে সি বেনুগোপাল ও রাঘব চাড্ডা-সহ সকলকে আমার বিনম্র শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাই। তাঁরা যেভাবে এই লড়াইয়ে আমার পাশে সৌজন্য দেখিয়েছেন তাতে আমি অভিভূত। অভিষেকের সংযোজন, অনেকেই আমাকে ফোন করে বলেছিলেন, আপনি বুধবার সমন্বয় কমিটির বৈঠকে আসুন। ইডিকে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়ে দিন, বৈঠকের দিন আগেই ঠিক ছিল। কিন্তু আমি তাঁদের সবিনয়ে জানিয়েছি, আপনারা বৈঠক করুন। আমি, আমরা লড়াই লড়ে নেব। বৈঠক যেন বন্ধ না হয়। এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অভিষেক বলেন, এরা তো অন্য কোনও দিন আমাকে ডাকতে পারতো। কিন্তু ১৩ সেপ্টেম্বর সমন্বয় কমিটির বৈঠক সকলে জানেন। সেদিনই আমাকে সকাল সাড়ে ১১টায় ইডি আসতে বলেছে। এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কী? আর এটা বলার অপেক্ষা রাখে না, ইন্ডিয়া জোটকে বিজেপি কতটা ভয় পেয়েছে। এই জোটে তৃণমূল কংগ্রেসের ভূমিকা কতটা শক্তিশালী। আমি বাকিটা মানুষের উপরেই ছেড়ে দিচ্ছি। তাঁরাই সময়মতো এর জবাব দেবেন। যেমন ধূপগুড়িতে দিয়েছেন। আমরা ইন্ডিয়া জোট আগামী দিনে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতি আরও অঙ্গীকারবদ্ধ হবো।

আরও পড়ুন-অন্যের ক্ষতি না করে পর্নোগ্রাফি দেখা অপরাধ নয়: কোর্ট

বুধবার সকালেই শিবসেনার সঞ্জয় রাউত জানিয়ে দেন, এককাট্টা ইন্ডিয়া পরিবার বিজেপির এই ঘৃন্য রাজনীতির বিরোধিতা করছে। ইন্ডিয়া জোটবদ্ধ। প্রতিবাদে বৈঠকে অভিষেকের জন্য নির্দিষ্ট চেয়ার খালি রাখা হবে। সঞ্জয়ের এই ঘোষণার পরেই রাজনৈতিক মহলে সাড়া পড়ে যায়। যে বিরল রাজনৈতিক সৌজন্য ইন্ডিয়ার নেতৃত্ব দেখিয়েছেন তাতে বিজেপি শিবির অশনি সংকেত দেখতে শুরু করেছে।
বৈঠকে ১২ জন সদস্য সিদ্ধান্ত নেন, ১. দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যৌথ জনসভা হবে। প্রথম জনসভা ভোপালে, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে। ২. ইন্ডিয়া জোটের ইস্যু হবে বিজেপি সরকারের দুর্নীতি, মূল্যবৃদ্ধি ও কর্মহীনতা। ৩. জাতিগত জনগণনা বিষয়টি তুলে ধরা হবে। ৪. টেলিভিশন মাধ্যমে কোন কোন সঞ্চালকের অনুষ্ঠানে ইন্ডিয়া প্রতিনিধি পাঠাবে না, তার দায়িত্ব মিডিয়ার সাব গ্রুপের হাতে দেওয়া হয়েছে। ৫. সংসদের বিশেষ অধিবেশনের পর ইন্ডিয়া জোটের পরবর্তী বৈঠক। ৬. আসন সমঝোতা আলোচনা শুরু হয়েছে। দলগুলি রাজ্যস্তরে আলোচনা করে আসন ভাগাভাগি করবে।

আরও পড়ুন-বন্যা কবলিত লিবিয়া, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০০০, রাস্তায় পড়ে দেহ

রবিবার ইডির তরফে চিঠি পাঠিয়ে ১৩ তারিখে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিজিও দফতরে আসতে বলা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অভিষেক সেই চিঠি এক্স-হ্যান্ডেলে প্রকাশ্যে সরকারের প্রতিহিংসার রাজনীতি স্পষ্ট করে দেন। বলেন, ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যাতে হাজির থাকতে না পারি সেই কারণেই ১৩ তারিখে ডাকা হয়েছে। আসলে বিজেপি এবং বিজেপির এজেন্সির ভয় তৃণমূল কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়া জোটকে। পরিস্কার করে দেন এভাবে ভয় দেখানো আসলে বালকের বাতুলতা।

Latest article