জেনেরিক ওষুধ নিয়ে নির্দেশ, না মানলে শাস্তি

২০২২ সালেই ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে চিকিৎসকদের জেনেরিক ওষুধ প্রেসক্রাইব করার ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

Must read

প্রতিবেদন : রোগীদের ওষুধ লেখার সময় প্রেসক্রাইব করতে হবে জেনেরিক ওষুধ। তা না করলে বড় শাস্তি পেতে হবে চিকিৎসকদের। সাসপেন্ড করা হতে পারে লাইসেন্স। নির্দেশ দিল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন। এক্ষেত্রে ডাক্তাররা ব্র্যান্ডেড জেনেরিক ওষুধও যাতে এড়িয়ে যান সেব্যাপারেও নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন-স্বাধীনতা দিবসে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা

২০২২ সালেই ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে চিকিৎসকদের জেনেরিক ওষুধ প্রেসক্রাইব করার ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে নির্দেশ অমান্য করেও রমরমিয়ে ব্র্যান্ডেড ওষুধ প্রেসক্রাইব করেই চলেছিলেন এক শ্রেণির চিকিৎসক। মূলত ওষুধ কোম্পানিগুলির তরফে অসাধু প্রলোভনের চাপে এ ধরনের কাজ করা হয় বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে গত ২ অগাস্ট ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের তরফে এক নির্দেশিকায় বলা হয়, ওষুধের জন্য ভারতে লাগামছাড়া খরচের কারণে স্বাস্থ্যখাতে জনসাধারণের আয়ের একটি বড় অংশ চলে যাচ্ছে। ব্র্যান্ডেড ওষুধের থেকে ৩০ থেকে ৮০ শতাংশ সস্তায় পাওয়া যায় জেনেরিক ওষুধ। সেজন্য জেনেরিক ওষুধ প্রেসক্রাইব করলে স্বাস্থ্যখাতে খরচ কমতে পারে এবং উন্নতমানের স্বাস্থ্য পরিষেবাও পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুন-অসম রাইফেলসের ট্রাক থেকে এবার হল খাবার লুঠ

নতুন গাইডলাইনে এনএমসি-র তরফে জেনেরিক ওষুধকে এমন পণ্য হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে যার ডোজ, শক্তি, গুণমানগত মান এবং কার্যকারিতা ব্র্যান্ড বা রেফারেন্সের সঙ্গে তুলনীয়। অন্যদিকে, ব্র্যান্ডেড জেনেরিক ওষুধ এমন একটি ওষুধ যা নিজস্ব পেটেন্ট থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং ওষুধ কোম্পানিগুলি তৈরি করে। বিভিন্ন কোম্পানির ব্র্যান্ড নামে তা বিক্রি করা হয়। এই পরিস্থিতিতে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জেনেরিক ওষুধের নাম সুস্পষ্টভাবে এবং যুক্তিসঙ্গতভাবে প্রেসক্রাইব করা উচিত। অপ্রয়োজনীয় ওষুধ এবং অযৌক্তিক ডোজের ট্যাবলেট প্রেসক্রাইব না করলেই ভাল হয়। তবে এই নিয়ম না মানলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন-অজগর দিয়ে ম্যাসাজ, বেনজির কাণ্ড বালিতে

ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে গাইডলাইন না মানলে কড়া শাস্তির কথাও। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে: ১) যদি কোনও চিকিৎসক একই ভুল বারবার করে যান, তাহলে তাঁর লাইসেন্স একটা নির্দিষ্ট সময় অবধি সাসপেন্ড রাখা হতে পারে।
২) চিকিৎসা-সংক্রান্ত নীতির উপর ওয়ার্কশপে যোগ দিতে বলা হতে পারে। ৩) প্রেসক্রিপশন যাতে পাঠযোগ্য হয় তা দেখতে হবে এবং সমস্ত অক্ষর বড় হাতে লিখতে হবে চেষ্টা করতে হবে ভুল এড়াতে প্রেসক্রিপশন যেন টাইপ করে বা ছাপিয়ে দেওয়া যায়। ৪) বাজারে পাওয়া যায় এবং রোগী যাতে তা কিনতে পারেন এমন জেনেরিক ওষুধই ডাক্তারকে দিতে হবে। ৫) হাসপাতাল এবং স্থানীয় ওষুধের দোকানগুলিকেও যেন জেনেরিক ওষুধ রাখতে বলা হয়।

Latest article