তৃণমূলের নেতৃত্বে উত্তরপ্রদেশে বিজেপি-বিরোধী মঞ্চ জরুরি, রাজ্যে হাসপাতাল গড়তে চান কাফিল

উত্তরপ্রদেশে সরকারি চিকিৎসক হিসেবে এখনও তাঁর সাসপেনশন বহাল। সেই সাসপেনশন প্রত্যাহারের জন্য ফের দাবি জানান চিকিৎসক কাফিল খান

Must read

প্রতিবেদন : বাংলার ঢঙে উত্তরপ্রদেশেও বিজেপি-বিরোধী মঞ্চ গড়া জরুরি, মন্তব্য কাফিল খানের। তিনি বিশ্বাস করেন, জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসই পারে এই মঞ্চ গড়তে। উত্তরপ্রদেশে সরকারি চিকিৎসক হিসেবে এখনও তাঁর সাসপেনশন বহাল। সেই সাসপেনশন প্রত্যাহারের জন্য ফের দাবি জানান চিকিৎসক কাফিল খান। রবিবার তিনি কলকাতা প্রেস ক্লাবে এসেছিলেন এক বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে। বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে কাফিল খান রীতিমতো আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন বিজেপির বিরুদ্ধে। বলেন, বিজেপির নগ্নরূপ যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা বুঝতে পেরেছেন কতটা নিচে নামতে পারে এই দল এবং তার নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন-সব হাসপাতালকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ রাজ্যের

তিনি জানান, এই তিক্ত অভিজ্ঞতা তাঁর বারবার হয়েছে। ২০১৭-তে গোরক্ষপুরে শিশুমৃত্যুর পর যা যা ঘটেছে তার সঙ্গে, তা বই আকারে প্রকাশ করলেন কাফিল খান। এরই পাশাপাশি তিনি জানান, এ-রাজ্যে সরকার যদি তাঁকে জমি দিয়ে সাহায্য করে, তবে একটি কর্পোরেট ধাঁচে হাসপাতাল তৈরি করতে চান তিনি। এবং ওই হাসপাতালে গরিবদের বিনামূল্যে চিকিৎসা করা হবে বলে জানান তিনি। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ ছেড়ে এখানে কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে ওই রাজ্যের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। নতুন বছর উত্তরপ্রদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভোটে তাঁর অবস্থান নিয়ে কোনও রাখঢাক না করেই কাফিল বলেছেন, বাংলার ঢঙে উত্তরপ্রদেশেও বিজেপি-বিরোধী মঞ্চ গড়া জরুরি। নেতৃত্বে চাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসকেই। প্রস্তুতি চলছে।

আরও পড়ুন-কোভিড রুখতে সতর্কতা সংশোধনাগারে

যোগীবাবাকে গোরক্ষপুরে ফেরত পাঠাতে মরিয়া চেষ্টা করব। ২০১৭-তে গোরক্ষপুরের বাবা রাঘব দাস মেডিক্যাল কলেজে অক্সিজেন-সঙ্কটে ৫৩ জন শিশুমৃত্যুর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েই যোগী আদিত্যনাথ সরকারের ‘বিষনজরে’ পড়েন কাফিল খান। কখনও কর্তব্যে গাফিলতির মিথ্যে অভিযোগ, কখনও নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে নেমে দেশের সুরক্ষা নষ্ট করার দায় তাঁর ঘাড়ে চাপানো হয়েছে। কিন্তু এলাহাবাদ হাইকোর্ট থেকে ‘নিষ্কলুষ’ তকমা আদায় করে বারবার স্বমহিমায় ফিরেছেন কাফিল। সুপ্রিম কোর্টেও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা ধোঁপে টেকেনি। কাফিলের অভিযোগ, ‘‘যোগী সরকার আমার চাকরির বিষয়ে হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের কথা শুনছে না। তদন্ত রিপোর্ট চেপে যাচ্ছে। এ মাসেই ফের এলাহাবাদ হাইকোর্টে যাব আমি।”

Latest article