মহাসরস্বতী

তিনি আরোগ্যদাত্রী। সকল জ্ঞানের অধিকারী। সর্ব আত্মার সার। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বরের শক্তি তিনি। অষ্টশক্তির আধার। তিনি শুম্ভ-নিশুম্ভ দলনী। কখনও দ্বিভুজা, কখনও চতুর্ভুজা, কখনও বা অষ্টভুজা। নানারূপে, নানা নাম, বিচিত্রলীলায় তিনি সরস্বতী। সামনেই বসন্তপঞ্চমী, বাগদেবীর আরাধনায় মেতে উঠবে সবাই। কে তিনি? কীই-বা তাঁর পরিচয়? সরস্বতীর জন্মকথা লিখলেন শর্মিষ্ঠা ঘোষ চক্রবর্তী

Must read

সরস এবং বতী এই দুই সংস্কৃত শব্দ নিয়ে সরস্বতী নামটির উৎপত্তি। সরস শব্দের একটি অর্থ জল আর অন্য অর্থ হল বাক্য আর বতী শব্দের অর্থ যিনি অধিষ্ঠাত্রী। তাই একদিকে সরস্বতী নামের অর্থ জলবতী বা নদী। অন্যদিকে যিনি বাক্যের অধিকারিণী, বাগদেবী। আবার অন্য একটি ব্যাখ্যা অনুযায়ী, ‘সর’ শব্দের অর্থ ‘সার’ বা ‘নির্যাস’ এবং ‘স্ব’ শব্দের অর্থ ‘আত্ম’। সেই অনুযায়ী সরস্বতী নামের অর্থ হল— যিনি আত্মার সার উপলব্ধি করতে সহায়তা করেন তিনিই সরস্বতী।
হিন্দুরা তাঁর পুজো করেন বসন্ত পঞ্চমীতে বা মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে। আবার মধ্য এবং পশ্চিম ভারতে জৈন ধর্মাবলম্বীরাও সরস্বতী পুজো করেন। বৌদ্ধ ধর্মেও সরস্বতী পুজোর প্রচলন রয়েছে। আসলে কে এই দেবী সরস্বতী? কীই-বা তাঁর পরিচয়?
ঋগ্বেদের সরস্বতীকে প্রবহমান জলের আরোগ্যদাত্রী ও পাবনী শক্তির দেবী হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। তাঁকে বলা হয়েছে সকল জ্ঞানের অধিকারী।

আরও পড়ুন-ঐতিহাসিক বাজেট, পথ দেখাল রাজ্য, মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজ থেকে মিছিল শুরু তৃণমূলের

দেবী পুরাণ অনুসারে ব্রহ্মা হলেন স্বয়ম্ভূত। যার কোনও পিতা ও মাতা নেই। তিনি নিজেই নিজেকে সৃষ্টি করেছিলেন। সেই আশ্চর্য জন্মের পর ব্রহ্মা একদা ধ্যানে বসলেন এবং তাঁর সব ভাল গুণগুলোকে একত্র করতে শুরু করলেন। এরপরেই সেই গুণগুলো একত্রিত হয়ে ধীরে ধীরে এক নারীর আকার নিতে শুরু করে। তারপরেই ব্রহ্মার মুখগহ্বর থেকে সৃষ্টি হয় দেবী সরস্বতীর। কথিত আছে, প্রথমে ব্রহ্মার একটিই মুখ ছিল। অত্যন্ত সুন্দর সেই দেবীকে দর্শন করার জন্যই ব্রহ্মার আরও চারটি মুখের সৃষ্টি করেন। ব্রহ্মা এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করলেও নিজের সৃষ্টি নিয়ে তিনি খুব একটা সন্তুষ্ট ছিলেন না। তাই দেবী সরস্বতীর সৃষ্টি করেছিলেন কারণ এই বিশ্বকে কীভাবে আরও সুন্দর করে তোলা যায় সেই পরামর্শ তিনি দিয়েছিলেন।
যদিও দেবী সরস্বতীর স্বরূপ নিয়ে বেশ মতদ্বৈধ রয়েছে। পুরাণের বেশ কিছু জায়গায় বিষ্ণুকে দেবী সরস্বতীর স্বামী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আবার কিছু জায়গায় ব্রহ্মাকে সরস্বতীর স্বামী হিসেবে বলা হয়েছে।
কোথাও আবার সরস্বতী ব্রহ্মার কন্যা। আবার কথিত রয়েছে, ব্রহ্মা নাকি সরস্বতীর রূপে মুগ্ধ হয়ে তাঁকেই বিবাহ করেছিলেন।

আরও পড়ুন-কেন্দ্রের বঞ্চনার জবাব দেবে বাংলা, আজ ধরনায় উঃ ২৪ পরগনা

স্কন্দ পুরাণে সরস্বতীকে শিবের কন্যা বলে পরিচয় দেওয়া হয়েছে। বাঙালিরাও কিন্তু সরস্বতীকে শিবের কন্যা হিসেবেই পুজো করেন।
পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী একবার কোনও একটি অনুষ্ঠানে ব্রহ্মা উপস্থিত কিন্তু দেবী সরস্বতী সময়মতো এসে উপস্থিত হতে পারলেন না। সেই কারণে ব্রহ্মা গায়ত্রী নামে নিজের আরও এক স্ত্রীর সৃষ্টি করেন। সেই কথা জানতে পেরে অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠেন সরস্বতী। তিনি ব্রহ্মাকে অভিশাপ দেন যে ত্রিমূর্তির অন্যতম হলেও মর্ত্যলোকে ব্রহ্মার পুজো করা হবে না। সেই কারণে শিব ও বিষ্ণু পূজিত হলেও ব্রহ্মার মন্দির সেভাবে কোথাও দেখা যায় না।
মার্কণ্ডেয় পুরাণে চণ্ডীর উত্তরলীলায় শুম্ভ-নিশুম্ভ নামক অসুরদ্বয়কে বধ করার সময় দেবীর যে মূর্তির কল্পনা করা হয়েছিল তিনিই হলেন মহাসরস্বতী। এই সরস্বতী মূর্তি অষ্টভুজা— বাণ, কর্মুক, শঙ্খ, চক্র, হল, মুষল, শূল ও ঘণ্টা হল তাঁর অস্ত্র। স্কন্দ পুরাণের প্রভাসখণ্ডে দেবী সরস্বতীর নদীরূপে অবতরণের কাহিনিও বর্ণিত আছে।

আরও পড়ুন-দিনের কবিতা

ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ অনুযায়ী গোলোকে বিষ্ণুর তিন পত্নী— লক্ষ্মী, সরস্বতী ও গঙ্গা। তাঁদের মধ্যে একবার তীব্র বিবাদ বাধে। ওই সময় গঙ্গার অভিশাপে সরস্বতীর নদীরূপ ধারণ। এখানে থেকেই আমরা পৃথিবীতে সরস্বতীর নদী এবং দেবীরূপে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার তত্ত্বটি পাই।
বায়ু পুরাণ অনুযায়ী প্রজাপতি ব্রহ্মা নিজ অন্তর থেকেই দেবী সরস্বতীকে সৃষ্টি করেন। সরস্বতীকে আশ্রয় করেই ব্রহ্মার প্রজাসৃষ্টি সূচনা। গরুড় পুরাণে সরস্বতী শক্তি অষ্টবিধা। শ্রদ্ধা, ঋদ্ধি, কলা, মেধা, তুষ্টি, পুষ্টি, প্রভা ও স্মৃতি। তন্ত্রে এই অষ্টশক্তি হল যথাক্রমে যোগ, সত্য, বিমল, জ্ঞান, বুদ্ধি, স্মৃতি, মেধা ও প্রজ্ঞা। তন্ত্রশাস্ত্রমতে সরস্বতী বাগীশ্বরী— অং থেকে ক্ষং পঞ্চাশটি বর্ণে তাঁর দেহ। আবার পদ্মপুরাণ-এ উল্লিখিত সরস্বতীস্তোত্রম্-এ বর্ণিত হয়েছে— শ্বেতপদ্মাসনা দেবী শ্বেতপুষ্পশোভিতা, শ্বেতাম্বরধরা নিত্যা শ্বেতগন্ধানুলেপনা, শ্বেতাক্ষসূত্রহস্তা চ শ্বেতচন্দনচর্চিতা শ্বেতবীণাধরা শুভ্রা শ্বেতালঙ্কারভূষিতা ইত্যাদি। এর অর্থ দেবী সরস্বতী শ্বেতপদ্মে আসীনা, শ্বেতপুষ্পে শোভিতা, শ্বেতবস্ত্র-পরিহিতা এবং শ্বেতগন্ধে অনুলিপ্তা। তাঁর হাতে শ্বেত রুদ্রাক্ষের মালা; তিনি শ্বেতচন্দনে চর্চিতা, শ্বেতবীণাধারিণী, শুভ্রবর্ণা এবং শ্বেত অলঙ্কারে ভূষিতা।
দেবী সরস্বতীকে বাঙালিরা যে রূপেই পুজো করুন না কেন ক্ষেত্রভেদে তাঁর অনেক রূপ। তিনি দ্বিভুজা অথবা চতুর্ভুজা এবং মরালবাহনা বা ময়ূরবাহনা। উত্তর ও দক্ষিণ ভারতে সাধারণত ময়ূরবাহনা চতুর্ভূজা সরস্বতী পূজিত হন। ইনি অক্ষমালা, কমণ্ডলু, বীণা ও বেদপুস্তকধারিণী। বেদ যেহেতু চারটি— ঋক, সাম, যজুঃ এবং অথর্ব, তাই সরস্বতীর চারটি হাতকে চার বেদের প্রতীক বলে ধরে নেওয়া হয়। তবে শাস্ত্রমতে চতুর্ভুজের অন্য অর্থ আছে। নানা মুনির নানা মত। একটি মতে, বই হল গদ্যের প্রতীক, মালা কবিতার, বীণা সঙ্গীতের, আর জলপাত্র পবিত্র চিন্তার। বাংলা তথা পূর্ব ভারতে সরস্বতী দ্বিভুজা ও রাজহংসের পিঠে আসীনা।

আরও পড়ুন-মা-বোনেদের হাত শক্ত করার বাজেট

রাজহংস কেন সরস্বতীর বাহন? কেননা জলে, স্থলে, অন্তরীক্ষে সর্বত্রই হাঁসের সমান গতি, যেমন জ্ঞানময় পরমাত্মা সর্বব্যাপী— স্থলে, অনলে, অনিলে সর্বত্র তাঁর সমান বিচরণ। জল ও দুধ মেশানো থাকলেও হাঁস শুধু সারবস্তু দুধটুকুই টেনে নেয়, জলটা পড়ে থাকে। মনুষ্য জাতির জ্ঞানসাধনার পথটাও এমনই। সংসারে নিত্য ও অনিত্য দুই বস্তুই রয়েছে। বিবেক দিয়ে বিচার করে নিত্য বস্তু গ্রহণ এবং অসার বা অনিত্য বস্তু ত্যাগ করাই শ্রেয়। হাঁস জলে বিচরণ করে কিন্তু তার দেহে জল লাগে না। তেমনই তিনি মহাবিদ্যা প্রতিটি জীবের মধ্যেই রয়েছেন তবু জীবদেহের কোনও কিছুতে তাঁর আসক্তি নেই, তিনি নির্লিপ্তা।
আবার ময়ূর হল অহঙ্কারের প্রতীক। তাই ময়ূরাসীনা হয়ে দেবী জগৎকে বোঝান ‘বিদ্যা দদাতি বিনয়ং’ অর্থাৎ বিদ্যা বিনয় দান করে। যে প্রকৃত জ্ঞানী তিনি বিনয়ী হন।
সরস্বতীদেবী জ্ঞানদায়িনী, বাগদেবী, বীণাপাণি, নিত্যশুদ্ধা, প্রজ্ঞা। তিনি প্রশস্ত বুদ্ধিদায়িনী ও মোক্ষদাত্রী। যুগ যুগ ধরে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জ্ঞান, বিদ্যা ও ললিতকলার দেবী হিসেবে তাঁকে পুজো করে আসছেন। সরস্বতী পুজো কবে থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সমাজে প্রচলিত, তার সঠিক কোনও ইতিহাস পাওয়া যায় না। হিন্দুদের দেবী হওয়া সত্ত্বেও বৌদ্ধ ও জৈনদের কাছেও পুজো পেয়েছেন সরস্বতী। গান্ধারে পাওয়া বীণাবাদিনী সরস্বতীর মূর্তি থেকে বা সারনাথে সংরক্ষিত মূর্তিতে এর প্রমাণ মেলে। অনেক বৌদ্ধ উপাসনালয়ে পাথরের মূর্তির সঙ্গে দেবী সরস্বতীর মূর্তিও দেখতে পাওয়া যায়। মথুরায় জৈনদের প্রাচীন কীর্তির আবিষ্কৃত নিদর্শনে সরস্বতীর যে মূর্তি পাওয়া গেছে সেখানে দেবী জানু উঁচু করে একটি চৌকো পীঠের উপর বসে আছেন, এক হাতে বই। শ্বেতাম্বরদের মধ্যে সরস্বতী পুজোর অনুমোদন ছিল। জৈনদের চব্বিশজন শাসনদেবীর মধ্যে সরস্বতী একজন এবং ষোলোজন বিদ্যাদেবীর মধ্যে অন্যতমা হলেন সরস্বতী। শ্বেতাম্বর ও দিগম্বর উভয় জৈন সম্প্রদায়েই সরস্বতীর স্থান প্রধান দেবীরূপে। যাই হোক প্রজাপতি ব্রহ্মা তাঁকে প্রথম পুজো করলেও মাঘ মাসে দেবীর পুজো করেছিলেন স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। তিনি সরস্বতী পুজোর প্রবর্তন করেছিলেন মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে। দেবীর নানান নাম এবং পরিচিতি। সব রূপেই তিনি ললিত মুদ্রাসনে আসীন। তার রূপগুলি বড়ই বৈচিত্রময়।

আরও পড়ুন-জয় জয় দেবী

রোহিণী— দেবী এই রূপে চতুর্ভুজা, দেবীর বাহন জলচৌকি। দেবীর দুই হাতে রয়েছে চক্র। তাঁর অপর নাম অজিতবালা।
প্রজ্ঞপ্তী— এই দেবীর অন্য নামটি হল দুরিতারী। এই রূপে দেবী ষষ্ঠভুজা। তাঁর বাহন হংস। দেবীর হস্তে অসি, কুঠার, চন্দ্রহাস ও দর্পণ।
বজ্রশৃঙ্খলা— এই রূপে দেবী চতুর্ভুজা। দেবীর বাহন হংস। তাঁর দুই হাতে থাকে পারিখ এবং বৈষ্ণবাস্ত্র।
কুলিশাঙ্কুশা— দেবীর অন্য নাম মনোবেগা। এই দেবী চতুর্ভুজা। তাঁর বাহন অশ্ব। দেবীর দুই হাতে থাকে অসি এবং ভূষণ্ডী।
চক্রেশ্বরী— এই রূপে দেবীর বাহন গরুড়। তিনি ষোড়শভুজা। দেবীর দুই হাতে শতঘ্নী। দুটি হাত বরদানের মুদ্রা, দুই হাত কোলে স্থিত এবং অপর দশটি হাত মুষ্টিবদ্ধ।
পুরুষদত্তা ভারতী— দেবী এখানে পুরুষাকৃতি। চতুর্ভুজা। তাঁর দেহ বলিষ্ঠ এবং সুদৃঢ়। দেবীর ডান হাতে চক্র এবং বাঁ হাতে শতঘ্নী। তাঁর বাহন হস্তী।
কালী— ইনি কিন্তু দশমহাবিদ্যার কালী নন। তিনি চতুর্ভুজা। তাঁর কোনও বাহন নেই। দেবীর হাতে থাকে ত্রিশূল এবং শতঘ্নী। এঁর অপর নাম শান্তা।
মহাকালী— ইনিও দশমহাবিদ্যার কালী নন। দেবী চতুর্ভুজা। তাঁর অন্য নাম হল অজিতা ও সূরতারকা। তাঁর ডান হাতে যষ্টি এবং বাম হাতে শতঘ্নী। দেবী বাহনহীন।
গৌরী— এই দেবীর অন্য নাম মানসী এবং অশোকা। দেবীর শিরে মুকুটে বা পাশে চন্দ্রের অবস্থান। তাঁর এক হাতে মঙ্গলঘট এবং অন্য হাতে যষ্টি। দেবী বৃষবাহনা।
গান্ধারী— দেবীর কোনও বাহন নেই। তাঁর ডান হাতে পরিখ অর্থাৎ মুদ্গর এবং বা হাতে সীর বা লাঙ্গলাস্ত্র। দেবীর অপর নাম চণ্ডা।
সর্বশাস্ত্রমহাজ্বালা— দেবী এই রূপে অষ্টভুজা। তাঁর ডান হাতে অসি, ত্রিশূল, ভল্ল, বৈষ্ণবাস্ত্র এবং বা হাতে ব্রহ্মশির অস্ত্র, তিরপাশ। দেবীর বাহন বৃষ। দেবীর অন্য নাম জ্বালামালিনী এবং ভৃকুট্টী।
মানবী— চতুর্ভুজা এই দেবীর দু’হাতে দর্পণ এবং একহাতে যষ্টি, অপরহাত বরমুদ্রায় স্থাপিত। দেবীর বাহন সর্প। দেবীর অন্য নাম হল অশোকা।
বৈরাট্য— দেবীর এই রূপ চতুর্ভুজা। তাঁর বাহন সর্প। দুই হাতে বৈষ্ণবাস্ত্র এবং ভল্ল। দেবীর অন্য নাম বৈরাটি।
অচ্ছুপ্তা— দেবীর এই রূপে চতুর্ভুজা। তাঁর বাহন হংস। দেবীর ডান হাতে ভল্ল এবং বাম হাতে বিজয়ধনু। দেবীর অপর নাম অনন্তবতী এবং অঙ্কশা।
মানসী— দেবী চতুর্ভুজা। তাঁর ডানহাতে ভল্ল এবং কুঠার, বাম হাতে দর্পণ এবং বিজয়ধনু। দেবীর সিংহবাহনা। দেবীর অন্য নাম কন্দর্পা।
মহামানবী— এই রূপে দেবীর বাহন ময়ূর। তাঁর ডানহাতে ভল্ল এবং বাম হাতে চক্র। তাঁর অন্য নাম নির্বাসী।

Latest article