বর্ষা মানেই বাড়িঘর, জামা-জুতো সবকিছুর বাড়তি দেখভাল। এই সময় একটু নজর এড়ালেই বিপদ। কারণ পোকামাকড়, সাপখোপের হাত থেকেও নিস্তার মেলে না, বিশেষ করে গ্রামগঞ্জে। প্রতিমুহূর্তে বিরক্তিকর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয় গৃহিণীদের।
রান্নাঘরে ভ্যাপসা গন্ধ
বর্ষার স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় একটা ভ্যাপসা গন্ধ যেন বাড়ি জুড়ে ঘুরপাক খায়, বিশেষত রান্নাঘরে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে দরজা-জানলা বন্ধ রাখতে হয় ফলে হাওয়া-চলাচল কমে যায় আর ভেজা আবহাওয়ায় গন্ধ বাড়তে থাকে। সারাদিনের বেশিরভাগ সময়টা যেখানে কাটাতে হয় সেই জায়গায় স্যাঁতসেঁতে গন্ধ হলে বিরক্ত হওয়ারই কথা।
আরও পড়ুন-বর্ষায় ইলিশে বাঙালি
কী করবেন
ভ্যাপসা গন্ধ দূর করতে ঘরের কোনও একটি উঁচু জায়গায় বাটিতে কিছুটা ভিনিগার ঢেলে রেখে দিন। ভিনিগার ঘরের গন্ধ শুষে নেবে।
রুম ফ্রেশনার ব্যবহার করুন। গন্ধ দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হবে এমন রুম ফ্রেশনার কিনুন।
রান্নাঘরে যদি আপনার মাইক্রোওভেন থেকে থাকে তাহলে কয়েকটা পাতিলেবুর স্লাইস ২২৫ ডিগ্রিতে প্রি-হিট করা আভেনে বেক করুন। এবার আভেনের দরজা খুলে কয়েক ঘণ্টা রেখে দিন। স্যাঁতসেঁতে গন্ধ চলে যাবে।
অল্প এলাচ, দারুচিনি ও তেজপাতা জলে ফুটিয়ে নিন। ফুটে গেলে আঁচ হালকা করে বেশ কিছুক্ষণ আঁচে বসিয়ে রাখুন, যাতে গোটা রান্নাঘরে ভাপ ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন-অতি-পরীক্ষায় নাকাল ব্যাটিং
বর্ষাকালে এমন সবজি সেদ্ধ বা রান্না এড়িয়ে গেলেই ভাল যার থেকে গন্ধ তীব্রভাবে ছড়ায় এবং আরও ভ্যাপসা হয়ে যায় পরিবেশ। যেমন বাঁধাকপি, মুলো ইত্যাদি। অথবা সবজিগুলো সেদ্ধ করার সময় জলে একটুকরো পাতিলেবু দিয়ে দিন।
মাছ ধোয়া, ভাজার গন্ধও এই সময় বেশি মনে হয়। সেই গন্ধ তাড়াতে অল্প অলিভ অয়েলের মধ্যে এক টুকরো দারুচিনি দিয়ে কিছুক্ষণ গ্যাসে বসিয়ে রাখুন।
শুকনো এবং ভেজা ময়লার আলাদা ডাস্টবিন রাখুন। নিয়মিত পরিষ্কার করুন। প্রতিবার নোংরা বাইরে ফেলে আসার পর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ক্লিনার দিয়ে ডাস্টবিন ধুয়ে, রোদে শুকিয়ে নিন। পাশাপাশি ব্যবহার করার আগে ডাস্টবিনে আধকাপ বোরক্স ছড়িয়ে নিন। আর সরাসরি বিন-এ নয়, গার্বেজ ব্যাগে ভরে তবেই ডাস্টবিনে ফেলুন।
আরও পড়ুন-জ্বলছে মণিপুর, লজ্জিত-মর্মাহত দেশ, নির্লজ্জ বিজেপি, দিল্লির ‘গুন্ডা’কে তৃণমূলের তোপ
সিঙ্কের খোলা মুখে ১ কাপ ভিনিগার ও বেকিং সোডা মিশিয়ে ঢেলে দিন। আধঘণ্টা রেখে জল ঢেলে দিন এতে পোকামাকড় দূর হবে।
বর্ষায় আসবাবের যত্ন
বর্ষা মানেই কাঠের গায়ে ময়েশ্চার। ভিজে ভাব যে কোনও জিনিসকে নষ্ট করে দেয়। কাঠ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কাঠ বেড়ে যায়, ছাতা বা ছত্রাক গজায় ফলে খুব সমস্যা।
কী করবেন
ঘর যদি একতলায় হয় আর বেশিরভাগ আসবাব যদি কাঠের হয় যেমন সোফা, আলমারি বা অন্যান্য জিনিসপত্র তাহলে একবার হালকা বার্নিশ করে নিতে পারলে খুব ভাল। এই ঋতুতে ফ্লোরে কার্পেট ব্যবহার করুন। অথবা ঘরের আর্দ্রতা শুষে নেয় এমন কিছু বর্ষার সময় ব্যবহার করুন এতে ফার্নিচার ড্যামেজ রোধ করবে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
দেওয়াল থেকে আর্দ্রতা টানে কাঠ, তাই বর্ষাকালে দেওয়াল থেকে কম করে ছয় ইঞ্চি দূরে কাঠের আসবাবপত্র রাখুন।
বৃষ্টির সময় ভুলেও সারাদিন ঘর বন্ধ রাখবেন না! তা হলে আর্দ্রতা বাইরে বেরতে পারবে না! বৃষ্টি-পড়া বন্ধ হলে জানলা খুলে দিন। এতে ঘরে আলো-বাতাস প্রবেশ করবে এবং ঘর আর্দ্রতা-মুক্ত থাকবে।
কর্পুর বা ন্যাপথলিন আর্দ্রতা শুষে নেয়। কাজেই বর্ষার ক’দিন যে কোনও ফার্নিচারের কোণে কর্পূর বা ন্যাপথলিন দিয়ে রাখুন। চাইলে সারা বছরও দিতে পারেন। কর্পূর, ন্যাপথলিন এমনিতেই পোকামাকড়ের হাত থেকেও আসবাবপত্রকে বাঁচায়। বর্ষায় এগুলোর কার্যকারিতা বেড়ে যায়। তবে বাড়িতে ছোট-বাচ্চা থাকলে ন্যাপথলিন ব্যবহার করবেন না। সেক্ষেত্রে নিমপাতা বা বড় এলাচ ব্যবহার করুন।
আরও পড়ুন-সুনীলদের নিয়ে জট খোলার চেষ্টায় ফেডারেশন
স্টিল অথবা অন্যান্য মেটালের আসবাবগুলোকে বর্ষার সময় সপ্তাহে অন্তত দুবার শুকনো সুতির কাপড়ে মুছে দিন। খেয়াল রাখুন, মেটাল ফার্নিচারের ওপরের চকচকে রঙের আবরণে গ্যালভানাইজিং নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কি-না, কোথাও স্ক্র্যাচ পড়েছে কি না, তাহলে দ্রুত ঠিক করান। না হলে বাতাসের আর্দ্রতায় তা আরও দ্রুত ছড়িয়ে ফার্নিচার নষ্ট করে দেবে।
কাঠের ফার্নিচারে একটা পরিষ্কার কাপড় স্পিরিটে ভিজিয়ে ভাল করে একবার মুছে নিন। এতে পুরো বর্ষায় ফাংগাস-মুক্ত থাকবে।
এই সময় দেওয়ালের ফটোফ্রেম, পেইন্টিং আর ঝোলানো জিনিসগুলো একটু নেড়েচেড়ে দিন। ধুলো থাকলে চলে যাবে সেই সঙ্গে ভেজা ভাবও চলে যাবে।
বর্ষা বলে ভিজে জামাকাপড় সারাক্ষণ ঘরের ভিতর মেলবেন না। এতে ঘরের বা আশপাশের অংশের স্যাঁতসেঁতে গন্ধ বাড়বে।
ঘরের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে ও স্যাঁতসেঁতে-ভাব দূর করতে ‘হিউমিডিফায়ার’ খুব উপকারী। ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে আসবাবও দীর্ঘস্থায়ী হবে।
আরও পড়ুন-তিনশো বছরের মহরমের মেলার মাঠে তোরণ গড়ার প্রতিশ্রুতি বিধায়কের
জানালার ধারে কোনও ফার্নিচার থাকলে সরিয়ে নিন। বৃষ্টির ছাঁট যেন এ-সবের গায়ে না লাগে।
কাঠের জিনিস বর্ষায় ফুলে ওঠে। অনেক সময় দরজা, ড্রয়ার বা আলমারি আটকে যায়। এমন সমস্যা এড়াতে অনেকে তেল বা মোম লাগিয়ে থাকেন। তবে এগুলো কাঠের উল্টো ক্ষতি করে। এক্ষেত্রে বাজারে কিছু স্প্রে ওয়্যাক্স পাওয়া যায় সেগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে।
দামি আসবাবপত্রের নিচে একটা ছোট টিন বা কাচের পাত্রে এক টুকরো সালফার বা গন্ধক রেখে দিন। এতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হবে না।
বর্ষায় খেয়াল রাখতে হবে ছাদ চুঁইয়ে বা ভেন্টিলেটার দিয়ে বৃষ্টির জল আসছে কিনা। যদি আসে তাহলে দ্রুত তা বন্ধের ব্যবস্থা নিন।
বর্ষায় স্যাঁতসেঁতে জামা-কাপড়
বর্ষায় শুকনো না-হওয়া স্যাঁতসেঁতে জামাকাপড় হল আরেকটা বড় সমস্যা। উপরন্তু রোদ না পেয়ে সেইসব জামাকাপড়ে ভ্যাপসা গন্ধ হয়ে যায়। আবার ফাঙ্গাস ধরে সাদা দাগ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন-পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের প্রণামী বাক্স ভেঙে লুট, তদন্তে পুলিশ
কী করবেন
অনেকে বর্ষায় ভিজে জামাকাপড়ের স্যাঁতসেঁতে ভেজাভাব দূর করতে গরম ইস্ত্রি চালিয়ে দেন। এতে প্রাথমিক ভাবে জামাকাপড় শুকিয়ে গেলেও ভাঁজে ভাঁজে ফাঙ্গাস পড়ে যায়। সাধারণত সুতির পোশাকেই ফাঙ্গাস ধরে সব চেয়ে বেশি। তাই এটা করবেন না।
বর্ষার সময় সূর্যের দেখা পেলেই জামাকাপড় রোদে মেলে দিন। অল্প তাপেও জামার ভিজে ভাব চলে যাবে।
এইসময় জামাকাপড় কাচার জন্য ব্যবহার করতে পারেন ভিনিগার। জামাকাপড় কাচার সময় যে বালতিতে ভেজাচ্ছেন সেখানে ১ কাপ সাদা ভিনিগার দিয়ে দিন। বেশ কিছুক্ষণ ওই জলে জাপাকাপড় ভিজিয়ে রাখুন। ভিনিগার পোশাকের সাদা দাগ এবং গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে। ওয়াশিং মেশিনে কাচার সময় সুগন্ধযুক্ত ওয়াশিং পড ব্যবহার করুন। এতে স্যাঁতসেঁতে গন্ধ চলে যাবে।
আলমারিতে ভাঁজ করে রাখা জামাকাপড়ের মাঝে রেখে দিতে পারেন সিলিকা জেলের পাউচ। সিলিকা জেল বাতাসের আর্দ্রতা শুষে নেয়। এতে পোশাকে ফাঙ্গাস ধরে না।
কোনও জামাকাপড়ে ফাঙ্গাস লেগে গেলে নুন আর লেবু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং সেই মিশ্রণটি ওই ছাতা পড়া অংশে লাগিয়ে রাখুন। পনেরো মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
আরও পড়ুন-মোহনবাগান দিবসে প্রাপ্তি সুব্রতর আত্মজীবনী
পোশাক ধোয়ার সময় ব্যবহার করতে পারেন বোরেক্স পাওডার। এতে পোশাক জীবাণুমুক্ত থাকবে।
বর্ষায় কাপড়ের গুমো গন্ধ দূর করতে ফ্যান ছেড়ে দিয়ে আলমারির দরজা কিছুক্ষণ খুলে রাখুন। কাপড়ের পাশে চকের টুকরো দিয়ে রাখতে পারেন। চক আর্দ্রতা টেনে নেবে। এ-ছাড়া বর্ষাকালে সাদা সুতির কাপড় বৃষ্টিতে ভিজলে ধুয়ে ফেলুন না হলে কাপড়ে তিলে পড়ে যাবে।
বর্ষায় জুতোর যত্ন
বাইরে থেকে ফিরে প্রথমে কেডস বা স্নিকার্সের সোল ভালভাবে পরিষ্কার করে নিন। সাবান আর জল নিয়ে ব্রাশ ভিজিয়ে ঘষে সোলে লেগে থাকা কাদা-ময়লা তুলে ফেলুন। সেই সঙ্গে পরিষ্কার করুন জুতার ফিতে।
বর্ষায় ভিজে যাওয়া জুতো কখনও গরমে শুকোবেন না বা ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না। এতে চামড়া শুকোলেও এবড়ো-খেবড়ো হয়ে যায় এবং পুরো জুতোই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ভেজা জুতা শুকোনোর জন্য ব্যবহার করুন কাপড় কিংবা কাগজ। এটি চামড়ার ভেতরের জল শুষে নেবে। ঘরোয়া তাপমাত্রায় জুতো শুকনো না হলে ভেপার ব্যবহার করুন।
আরও পড়ুন-কুমোরটুলি থেকে এবার বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে দুর্গা
বর্ষায় ভেজা জুতো থেকে বাজে গন্ধ বেরয়। এই গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে ভিনিগার ব্যবহার করতে পারেন। একটি ছোট কাপড় ভিনিগারে ভিজিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। এতে দুর্গন্ধ চলে যাবে।
দুর্গন্ধ দূর করতে জুতোর মধ্যে গ্রিন-টি ব্যাগ রেখে দিন।
বর্ষাকালে চেষ্টা করুন বর্ষার জুতো বা মনসুন ফুটওয়্যার পরার। এতে চামড়ার জুতো বাঁচবে।
বর্ষার জলে জুতো তো ভেজেই সেই সঙ্গে পায়ে ঘাম হয় অনেক বেশি। ফলে দুর্গন্ধ হয়৷ নিয়মিত খবরের কাগজ বা টিস্যু পেপার দিয়ে জুতোর বাড়তি আর্দ্রতা শুষে নিন। সামান্য ট্যালকম পাউডার ছড়িয়ে দিন এতে জুতোর আর্দ্রতা চলে যাবে৷ ফুট স্প্রেও ব্যবহার করতে পারেন৷
জুতো শুকিয়ে তার মধ্যে সামান্য বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন। পরদিন ভেতরটা ভাল করে মুছে পরিষ্কার করে জুতো পরুন। দুর্গন্ধ থাকবে না।
আরও পড়ুন-বিয়ে করতে না চাওয়ায় দিল্লির পার্কে খুন হলেন কলেজছাত্রী
বর্ষায় পোকামাকড়, সাপখোপ
বর্ষা মানেই জমা জল, জঙ্গল, ঝোপ-ঝাড়ের বিপজ্জনক দশা। সেই সঙ্গে বর্ষার জল বাড়লে সেই জলের সাথে অনায়াসে বাড়িতে ঢুকে পড়তে পারে সাপখোপ। কীটপতঙ্গবাহিত বিভিন্ন রোগের প্রকোপ এই সময় বাড়ে।
সবাই ভাবে কার্বলিক অ্যাসিডে সাপ চলে যায়। কিন্তু কার্বলিক অ্যাসিড সাপ তাড়ায় না বরং এর ঝাঁঝালো গন্ধ কিছুক্ষণ পর একটা মিষ্টি গন্ধে পরিণত হয় যা সাপকে আকর্ষণ করে তাই কার্বলিক অ্যাসিড নয় বাজারের প্রাপ্ত লালরঙা মাথার তেলের সঙ্গে ন্যাপথলিন মিশিয়ে ঘরের কোণে কোণে ছিটিয়ে দিন, সাপখোপ ধার মাড়াবে না।
ব্লিচিং পাউডার যে কোনও পোকামাকড়, কীটপতঙ্গের জন্য খুব কাজের। বর্ষাকালে বাড়ির চারধারে, কলের মুখে, বাথরুম বা রান্নাঘরের নিকাশি ব্যবস্থার স্থানে ব্লিচিং পাউডার ছড়িয়ে রাখুন নিয়মিত।
আরও পড়ুন-৩০০ কোটি বিনিয়োগ, বিশাল ইথানল কারখানা এবার বাংলায়, লাভবান হতে চলেছে ১০,০০০ কৃষক
বর্ষায় আবর্জনা জমতে দেবেন না। জমা জল নিষ্কাশন করুন। জঙ্গল বা ঝোপ থাকলে কেটে ফেলুন। ডিডিটিও ছড়াতে পারেন বাড়ির চারপাশে। দরকারে পুরকর্মীকে ঢাকুন।
রোজ কাজের শেষে রান্নাঘর, বাথরুম ও বাড়ির অন্যান্য ঘরের নর্দমার মুখ আটকে রাখুন। ব্যাঙ আর ইঁদুর থাকলেই সেখানে সাপ আসে। এ ছাড়া বাড়ির চারপাশে সালফার পাউডার ছড়ান। এর গন্ধেও সাপ বাড়ির ভিতরে ঢুকতে পারবে না।
চালে কালো কৃমির মতো পোকা পাওয়া যায়। যা বর্ষাকালে খুব বেশি হয় এই পোকাগুলো দূর করতে চাল রাখার জায়গায় ২ থেকে ৪টি তেজপাতা রেখে দিন। আগে থেকে তেজপাতা রাখলে পোকামাকড় ঢুকতে পারবে না। তেজপাতা ছাড়াও বড় এলাচও রাখতে পারেন।
বর্ষায় আটা-ময়দার বাক্সে পোকা হয় এক্ষেত্রেও তেজপাতা রাখুন। এ ছাড়া মসলিনের কাপড়ে লবঙ্গ ও কালো গোলমরিচ বেঁধে আটার বাক্সে রাখলেও পোকামাকড় পালিয়ে যায়।