বাংলার ধৈর্য-সৌজন্যকে দুর্বলতা ভাববেন না: ব্রিগেডে গর্জনের ডাক তৃণমূল সভানেত্রীর

Must read

“দেশের মধ্যে সংস্কৃতির পীঠস্থান বাংলা। সেখানে অপসংস্কৃতি চালুর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। নিজের সংস্কৃতি রক্ষায় ১০ মার্চ (Jonogorjon Sabha) আসুন আমরা ব্রিগেডে গর্জন করি। সবাই আসুন।“ বুধবার, স্যোশাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করে বার্তা দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আপনাদের সমবেত শপথ-স্লোগানের গর্জন যেন বাংলাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যায়- বার্তা তৃণমূল সভানেত্রীর।

১০ তারিখ ব্রিগেডে তৃণমূল জনগর্জন সভা (Jonogorjon Sabha) । রাজ্যজুড়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে। ইতিমধ্যে শহরে পৌঁছে যাচ্ছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তাঁদের থাকার ব্যবস্থা খতিয়ে দেখছেন খোদ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে এদিন স্যোশাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করে বার্তা দিলেন তৃণমূল সভানেত্রী। তিনি লেখেন,
“বাংলার ধৈর্য ও সৌজন্যকে দুর্বলতা বলে ভুল করা উচিৎ নয়। ১০ মার্চ বহিরাগত জমিদারদের এটা মনে করিয়ে দিতে হবে।
যে জমি সর্বদা তার অধিকারের জন্য লড়াই করেছে এই রবিবার সেই ব্রিগেডে ঐতিহাসিক #JonogorjonSabha হবে।
বাংলার নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য, জনগণের আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আমাদের সঙ্গে যোগ দিন।
বাংলাই দেখাবে পথ!”

আরও পড়ুন: ভুয়ো ভোটার নিয়ে বিজেপির অভিযোগ খারিজ করল নির্বাচন কমিশনের

ভিডিও বার্তায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলায় অপসংস্কৃতিকে চালুর ষড়যন্ত্র চলছে। বাংলার সংস্কৃতি রক্ষায় সবাইকে আওয়াজ তুলতে হবে। বাংলা সংস্কৃতির পীঠস্থান। এখানে সব ধর্মের মানুষের বসবাস। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “বাংলার বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সংস্কৃতির নাম করে বাংলাকে ভাগ করে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। এই চক্রান্ত আমরা মানতে পারব না। বাংলা বলে, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। কিন্তু এখানে তাকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এই চক্রান্ত আমরা মানতে পারব না। আসুন আমরা ব্রিগেড সমাবেশের মাধ্যমে এর বিরুদ্ধে গর্জন করি।“

তৃণমূল সভানেত্রী বলেন, “আধার কার্ড বন্ধ করার নামে এনআরসি-সিএএ চালু করার চেষ্টা চলছে, এ সব আমরা মেনে নেব না। আমরা আমাদের মতো করে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাব আসুন বাংলার বঞ্চনার বিরুদ্ধে, এনআরসি-র বিরুদ্ধে, আধার বাতিলের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলি।“ মমতার অভিযোগ, বাংলায় ধর্মের নামে ভেদাভেদের অপচেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, “বাংলার ভাগ হতে দেব না। সবাই আসুন। আপনাদের সমবেত গর্জন, শপথ-স্লোগান যেন বাংলাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যায়।“

Latest article