পর্যটকহীন দিঘায় পরিযায়ী অতিথিরা

কিন্তু কোভিডের দৌরাত্ম্যে সৈকতশহর দিঘা সুনসান। এমন ময়দান ফাঁকে পেয়ে দখন নিতে চলে এসেছে ‘বিশেষ পর্যটক’-এর দল।

Must read

শান্তনু বেরা, দিঘা : নতুন বছরের শীতের মরশূম। এই সময় দিঘা গমগম করে পর্যটকে। কিন্তু কোভিডের দৌরাত্ম্যে সৈকতশহর দিঘা সুনসান। এমন ময়দান ফাঁকে পেয়ে দখন নিতে চলে এসেছে ‘বিশেষ পর্যটক’-এর দল। তাদের মধ্যে দেশি পর্যটক তো রয়েছেই, যোগ দিয়েছে ভিন দেশি অতিথিরাও। এই বিশেষ পর্যটকেরা হল পরিযায়ী পাখির দল। অন্য পর্যটকেরা যখন প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞার কারণে সৈকতে ভিড় করতে পারছেন না, তখন ওরা বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে দিঘা রাজ্য ফিশারি সংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন জলাশয় এবং বনাঞ্চলে।

আরও পড়ুন-প্রস্তুতি কাঁথি পুরভোটের

দিঘা মোহনার কাছে প্রায় ১০ একর জুড়ে গড়ে উঠেছে দিঘা রাজ্য ফিশারি। মৎস্য দফতরের ওই এলাকার মধ্যে রয়েছে পুকুর এবং বনাঞ্চল। গত কয়েক বছর ধরে শীত এলেই এখানে আসছে পরিযায়ী পাখি। স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, প্রতিবছরই বাড়ছে সংখ্যাটা। বিদেশি সারস জাতীয় পাখিদের পাশাপাশি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বক, মাছরাঙা, পানকৌড়িরা। পক্ষীবিদেরা জানাচ্ছেন, পরিযায়ী পাখিগুলির বেশির ভাগই হুইসলিং টিল বা পিনটেল ডাক। সাধারণভাবে যা সরালি নামে পরিচিত।

আরও পড়ুন-রাজ্যের সাহায্যেই চালু হল চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হাসপাতাল

এগুলি একপ্রকার হাঁস। এছাড়াও অন্য প্রজাতির কয়েকটি পরিযায়ীও রয়েছে। অন্য বছর পর্যটক ও পক্ষীপ্রেমীরা দেখতে আসতেন। এ বছর কার্যত নিরুপদ্রবেই শীত উপভোগ করছে ওরা। মৎস্য দফতর সূত্রের খবর, আগে পাখিশিকারিদের দাপট ছিল। মৎস্য দফতর পুরো ফিশারিকে জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়ায় পাখিদের সুবিধা হয়েছে। ফিশারি সংলগ্ন গাছে ওদের আস্তানা। আর ফিশারির মাছ খাদ্য। ফিশারির এক কর্মী বলেন, ‘একেবারে কাকভোরে পাখিরা চলে আসে। সন্ধে হলে চলে যায়। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এখানে থাকে। তারপর চলে যায়।

Latest article