বিজেপির ২ বিধায়ক সাসপেন্ড

Must read

প্রতিবেদন : বিধানসভায় অভ্যবতার নজির তৈরি করে বিজেপি। রাজ্যপালের সঙ্গে গোপন বোঝাপড়া করেই। যার ফলে বাজেট অধিবেশনে একপ্রস্থ নাটক হয় রাজ্যপালের ভাষণ পাঠ নিয়ে। মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে মহিলা বিধায়করা বিনীতভাবে রাজ্যপালকে ভাষণ দেওয়ার অনুরোধ জানান। কিন্তু তিনি তা না শোনারই ভান করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত নিয়মরক্ষার্থে প্রথম ও শেষ দুটি লাইন পাঠ করেন। যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা বিধায়কদের কুরুচিকর মন্তব্য করেছে বিজেপি বিধায়করা তাতে সর্বত্রই ধিক্কার উঠেছে। বিজেপির দুই বিধায়ক মিহির গোস্বামী (Mihir Goswami) ও সুদীপ মুখোপাধ্যায় (Sudip Mukherjee) সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে গন্ডগোলের জন্য উসকানি ও প্ররোচনা দিয়েছে। এ-জন্য ওই দুই বিধায়ককে চলতি অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করেছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন-শ্রমদিবস সৃষ্টিতে দ্বিতীয় বাংলা

বিজেপি এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছে এই সাসপেন্ডের ঘটনার শিকার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যসভায় দোলা সেন-সহ অনেকেই সাসপেন্ড হয়েছেন। দলের অনেক সাংসদকে বারেবারে সাসপেন্ড হতে হয়েছে লঘু কাণ্ডে। বিধানসভায় সরকার পক্ষের তরফে গোলমাল জন্য বিরোধী বিজেপিকে দায়ী করে প্রস্তাব আনা হয়। পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ওই প্রস্তাব উত্থাপন করে বলেন সেদিন বিজেপি সদস্যরা যেভাবে চিৎকার-চেঁচামেচি করে কাগজ ছুঁড়ে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছেন তাতে শুধুমাত্র রাজ্যপাল নয় বিধানসভারও মর্যাদা লঙ্ঘন হয়েছে। মিহির গোস্বামী (Mihir Goswami) এবং সুদীপ মুখোপাধ্যায় (Sudip Mukherjee) এই কর্মসূচিতে সামনের সারিতে ছিলেন। এই আচরণের শাস্তিস্বরূপ চলতি অধিবেশনের জন্য ওই দুই বিধায়ককে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব দেন। অধ্যক্ষ প্রস্তাবটি সভায় ভোটাভুটির জন্য পেশ করলে ধ্বনি ভোটে সেটি গৃহীত হয়।

Latest article