লালফৌজকে টক্কর দিতে নয়া সাবমেরিন

তারপর নিজে জায়গা করে নিয়ে অতর্কিতে শিকারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। নৌসেনার দাবি বাগির ঠিক একইভাবে ওই মাছের মতোই কাজ করবে।

Must read

প্রতিবেদন : ভারত মহাসাগরের বুকে লাল ফৌজের সঙ্গে টক্কর দিতে ভারতীয় নৌবাহিনীতে যোগ দিল নতুন এক সাবমেরিন আইএনএস বাগির। সোমবার নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে আনুষ্ঠানিকভাবে বাগিরকে ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই অত্যাধুনিক সাবমেরিনের ইঞ্জিনটির মধ্যেই বড় মাপের বিশেষত্ব আছে বলে নৌবাহিনীর দাবি। জানা গিয়েছে, বাগির আসলে এক ধরনের মাছের নাম। এই মাছ অনেক দূর থেকেই শিকারের অবস্থান বুঝে নেয়।

আরও পড়ুন-গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নিয়ে রায় হাইকোর্টের

তারপর নিজে জায়গা করে নিয়ে অতর্কিতে শিকারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। নৌসেনার দাবি বাগির ঠিক একইভাবে ওই মাছের মতোই কাজ করবে। এই সাবমেরিনে রয়েছে অসংখ্য সেন্সর। যার সাহায্যেই সে বুঝে নিতে পারবে শত্রুপক্ষের অবস্থান। একই সঙ্গে শত্রুপক্ষের সাবমেরিনের ছোঁড়া টর্পেডোকেও বিভ্রান্ত করতে পারবে এই অত্যাধুনিক সাবমেরিন। ডিজেল চালিত এই সাবমেরিনের ইঞ্জিন সহজেই অত্যন্ত দ্রুত ব্যাটারি রিচার্জ করতেও পারে। মুম্বইয়ের মাজাগন ডক শিপবিল্ডার লিমিটেড আইএনএস বাগির তৈরি করেছে। ফ্রান্স থেকে আনা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এই দিয়ে এই সাবমেরিনটি তৈরি করা হয়েছে। গত বছরই পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়েছিল বাগিরকে। সেই পরীক্ষায় এই সাবমেরিন সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়। সমর বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারত মহাসাগরের বুকে চিনের দাপাদাপি ক্রমশই বাড়ছে। পাল্টা জবাব দিতেই ভারতীয় নৌসেনায় বাগিরকে অন্তর্ভুক্ত করা হল।

Latest article