নজরে ২৩শের ২১শে জুলাই, ক্রমশ বাড়ছে জন সমাগম

শহরের বিভিন্ন জায়গায় কাল রাত থেকেই তাদের রাতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া রয়েছে মেডিক্যাল ক্যাম্প ও পর্যাপ্ত এম্বুলেন্সের ব্যবস্থা।

Must read

পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat election) তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool congress)জয়জয়কার। এরপর বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোটের একপ্রকার মূল কাণ্ডারী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আজকের একুশের মঞ্চ থেকে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের বার্তা দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন-আজ ২১ জুলাই, শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই যুব কংগ্রেস কর্মীরা সচিত্র পরিচয়পত্র ছাড়া ভোটদান বন্ধের দাবিতে পথে নেমেছিলেন। এই ঘটনার নেতৃত্বে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৎকালীন বাম সরকারের পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালায়। ঘটনায় প্রাণ হারান অনেকে। পরবর্তীকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল গঠন করলে এই ‘শহিদ দিবস’ তার দলের শক্তিপ্রদর্শনের প্রতীক হয়ে ওঠে।

আরও পড়ুন-পোড়া কাপড়ের স্তূপ, রয়েছে পকেট ফায়ার, দেখুন ছবি

আজ একুশের মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখবেন তৃণমূলের ছাত্রনেত্রী রাজন্যা হালদার। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কিছু কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে তৈরি ‘জয়ী’ ব্যান্ড আজ একুশের মঞ্চে গান পরিবেশন করবে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দলে দলে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা হাওড়া ও শিয়ালদা স্টেশনে আসছেন। শহরের বিভিন্ন জায়গায় কাল রাত থেকেই তাদের রাতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া রয়েছে মেডিক্যাল ক্যাম্প ও পর্যাপ্ত এম্বুলেন্সের ব্যবস্থা।

আরও পড়ুন-প্রতিবাদকে মিথ্যায় ঢাকতে চেয়েছিল বামেরা

আজ শুক্রবার সকাল থেকেই ধর্মতলায় জনতার ঢল। সকাল থেকেই মেট্রোতে ভিড়। বাসের অভাবে অফিসযাত্রীরা মেট্রোতে করে গন্তব্যে পৌঁছতে চাইছেন। ধর্মতলাগামী অনেক তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরাও মেট্রোতে চাপছেন আজ।

আরও পড়ুন-মধ্যরাতে হাওড়ার মঙ্গলা হাটে ভয়াবহ আগুন

প্রসঙ্গত তর্পণ করে ২১ জুলাই এর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন খড়দহ যুব শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি। ট্রেনে করে আরামবাগ ও গোঘাট থেকে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা ধর্মতলায় শহীদ সমাবেশের উদ্দেশে যাচ্ছেন। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে খবর, জেলা থেকে আসা গাড়িগুলির জন্য জেলার ভিত্তিতে ভাগ করে পার্কিংয়ের জায়গা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। কোনওরকম সমস্যা বা বিশৃঙ্খলা এড়াতে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে কলকাতা পুলিশের তরফে। বৃহস্পতিবার সভার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট নেতাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে পার্কিং স্টিকার। স্টিকারে জেলার নাম, গাড়ির নাম্বার, ড্রাইভারের নাম এবং ফোন নম্বর লেখা থাকবে। সব গাড়িতে লাগাতে হবে ওই স্টিকার এবং জেলা হিসেবে নির্দিষ্ট জায়গাতে গাড়ি রাখতে হবে।

Latest article