রক্ষাকবচ পেয়ে মিথ্যাচারের রাজনীতি করে চলেছে গদ্দার

রেলদুর্ঘটনা নিয়ে শুভেন্দুর অভিযোগ যে কতটা ভিত্তিহীন এবং হাস্যকর তা এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বুঝিয়ে দেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মুখপাত্র কুণাল ঘোষ

Must read

প্রতিবেদন : হাইকোর্টের রক্ষাকবচের অপব্যবহার করে বিরোধী দলনেতা কাদা ছুঁড়ছে অন্যের দিকে। অপরদিকে বিজেপির গদ্দার নজর ঘুরিয়ে চরিতার্থ করছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। সেই কারণে অবিলম্বে সেই রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করুন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। বিরোধী দলনেতাকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে মঙ্গলবার এই দাবি জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। রেলদুর্ঘটনা নিয়ে শুভেন্দুর অভিযোগ যে কতটা ভিত্তিহীন এবং হাস্যকর তা এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বুঝিয়ে দেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।

আরও পড়ুন-চলতি বছরে রেকর্ড আয় এনবিএসটিসির

তাঁর মতে, এসবের মধ্যে দিয়ে আসলে মানসিক অবসাদ, হতাশা, ভারসাম্যহীনতা প্রকাশ পেয়েছে গদ্দারের। রেল দুর্ঘটনায় নাকি তৃণমূল জড়িত। মুখপাত্রের বক্তব্য, বিজেপির তাবড় নেতারা যেটা বলছেন না, সেটা উনি বলছেন। দুই রেলকর্তার কথোপকথন ছিল। ভয়ঙ্কর ত্রুটি ছিল। সিগন্যাল ছিল মেন লাইনে। করমণ্ডল গেছে লুপ লাইনে। শুভেন্দু, অগ্নিমিত্রা পাল লাফাচ্ছে অডিও ক্লিপ গেল কী করে? কিন্তু শুভেন্দু যখন প্রকাশ্য জনসভায় বলছে, কে কাকে ফোন করে তার সমস্ত কল রেকর্ড আছে, কারণ তাদের হাতে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার, তখন বিচারপতি মান্থা দেখতে পান না? এটাই কি পেগাসাস?

আরও পড়ুন-বিপন্নদের পাশে তৃণমূল, কালনা-কাটোয়ায় চিকিৎসা তদারকিতে মন্ত্রী-বিধায়ক

তৃণমূলের বক্তব্য, তমলুক থানায় এফআইআর হয়েছিল। সরকারি তথ্য রয়েছে তাঁর কাছে। তদন্ত ৫৯৫/২১ ১৯/৭/২১। ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে হাইকোর্ট মান্থা বললেন, তদন্ত চলবে, তবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না। ডিসেম্বর, ২০২১-এ তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হল। আর আজকে সেই রক্ষাকবচ নিয়ে অন্যের দিকে আঙুল তুলছে। সুরক্ষা কবচের অপব্যবহার করছে। বিচারপতি মান্থা চোখে দেখতে পারছেন না, শুনতে পারছেন না। অবিলম্বে বিচারপতি মন্থার উচিত রক্ষাকবচ তুলে নেওয়া। আদালত তো স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে এটা করতেই পারে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নন্দীগ্রামের এক নেতার, কোচবিহারের এক নেতার কথোপকথন কীভাবে বাইরে এল। অগ্নিমিত্রা পাল ট্যুইট করে। আগে শুভেন্দুর কথার জবাব দিন। শুভেন্দুকে বলি, ঘুঘু দেখেছ, ফাঁদ দেখনি।

Latest article