বিজেপিকে জবাব দিতে তৈরি মানুষ

২০১৪ সালে বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর কারখানাগুলি খোলার ধারাবাহিক মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

Must read

অসীম চট্টোপাধ্যায়, দুর্গাপুর : কথা রাখেননি বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি আসানসোলের কাছে কথা দিয়েছিলেন, নির্বাচনে জিতলে বন্ধ হয়ে যাওয়া বার্ন স্ট্যান্ডার্ড কারখানা খোলার ব্যাপারে তিনি কেন্দ্রীয় ভারী শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের পর কেটে গিয়েছে ছয় মাসেরও বেশি সময়। এই সময়ের মধ্যে দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী কেন্দ্রীয় এই শিল্পটি খোলার ব্যাপারে কোনওরকম অগ্রগতিই কার্যত হয়নি।

আরও পড়ুন-কলকাতার নতুন নগরপাল হলেন বিনীত গোয়েল

ফলে বার্নপুরের অধিকাংশ মানুষই বিজেপিকে এর মোক্ষম জবাব দেবার জন্য তৈরি হচ্ছেন বলে স্থানীয়ভাবে জানা গিয়েছে। আসানসোল পুরনিগম এলাকার মধ্যে থাকা কেন্দ্রের অধীনস্থ প্রায় সমস্ত কারখানাগুলিই বর্তমানে হয় বন্ধ, নয় নানাভাবে ধুঁকছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারাও আসানসোলে এসে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বন্ধ শিল্প কারখানাগুলি খোলার ব্যাপারে তাঁরা উদ্যোগী হবেন। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি-র সরকার ক্ষমতায় বসার কয়েক মাসের মধ্যেই রূপনারায়ণপুর কেবলস কারখানায় স্থায়ীভাবে তালা পড়ে যায়। বর্তমানে প্রতিমুহূর্তেই কর্পোরেট মালিকানাধীন অর্থাৎ বেসরকারীকরণের আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে দিন কাটছে ‘চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ কারখানা’র শ্রমিক-কর্মচারীদের।

আরও পড়ুন-নিখরচায় শিক্ষা প্রশিক্ষণ, মালদহ পুলিশের উদ্যোগ

উপুর্যপরি বেশ কয়েকবছর লাভের মুখ দেখা এই সংস্থাটিকে যে কোনও সময় বেসরকারি কোনও সংস্থার হাতে তুলে দেবার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে মোদি সরকার। এ ব্যাপারে আসানসোল নগর নিগমের বিদায়ী জল দফতরের মেয়র পারিষদ পূর্ণশশী রায় বলেন, কেন্দ্রের জনবিরোধী এই মুখটা সাধারণ মানুষের কাছে পুরোপুরি উন্মুক্ত হয়ে গেছে। মানুষ বুঝতে পারছেন, কারা শুধু ভোটপাখি হয়ে উড়ে এসে মানুষকে ধোঁকা দেয়। বাম আমলে বন্ধ হয়ে যায় আসানসোলের অন্যতম গর্বের সেন র‍্যালে ও পিলকিনটন গ্লাস কারখানা। কারখানাগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কয়েক হাজার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।

আরও পড়ুন-ভাতায় প্রাণ বহুরূপী শিল্পে

২০১৪ সালে বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর কারখানাগুলি খোলার ধারাবাহিক মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। পূর্ণশশীবাবু বলেন, রাজ্যের সীমিত আর্থিক সামর্থ্যের মধ্যেও কীভাবে আসানসোল পুরনিগম এলাকার পুরনো চেহারাটাকেই বদলে দেওয়া হয়েছে, মহকুমার শতাব্দীপ্রাচীন জলসমস্যার সমাধান করার চেষ্টা চলছে, মানুষ তা দেখতে পাচ্ছেন। আর বিধানসভা নির্বাচনের আগে কীভাবে টাকার পুঁটলি নিয়ে বিজেপি মানুষকে বিভ্রান্ত করে কুলটি ও আসানসোল দক্ষিণ আসন দুটি জিতেছে, সেটাও মানুষ সামনে থেকে দেখতে পেয়েছেন। তবে এই পুর নির্বাচনে বিজেপি আর ম্যান পাওয়ার, মাসল্‌ পাওয়ারকে কাজে লাগিয়ে তেমন সুবিধা করতে পারবে না। পুরনিগমে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পাবে তৃণমূল কংগ্রেস।

Latest article