‘পুলিশ আমাদের রক্ষাকর্তা’ আক্রান্ত সাধুর বয়ানে রাজনীতির অবসান

গঙ্গাসাগর (Gangasagar) যাওয়ার পথে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) তিন সাধুর আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘিরে রাজ্য রাজনীতি সরগরম।

Must read

গঙ্গাসাগর (Gangasagar) যাওয়ার পথে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) তিন সাধুর আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘিরে রাজ্য রাজনীতি সরগরম। কিন্তু এই ঘটনার মাঝেই রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে পুরুলিয়ায় (Purulia) আক্রান্ত সাধু মধুর গোস্বামী প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন। এদিন থানায় বসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের বাঁচিয়েছে। নাহলে হয়তো গণপিটুনি খেয়েই মৃত্যু হতে পারত। সাধুর বয়ানে স্পষ্ট হয়ে গেল যে যেভাবে বিরোধীরা ঘটনাটি ব্যাখ্যা করছে সেটা একেবারেই আসল ঘটনা নয়।

আরও পড়ুন-আজ ট্রায়াল রান হল মাঝেরহাট মেট্রোয়

পুলিশ সূত্রে খবর বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশ থেকে তিন সাধু-সহ পাঁচজন একটি গাড়িতে গঙ্গাসাগর যাচ্ছিলেন। গাড়িটি পুরুলিয়ার কাশীপুর থানার গৌরাঙ্গডি মোড়ে দাঁড়ায়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন তিনজন তরুণী সাইকেল নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় গাড়ি নিয়ে তাঁদের পিছু ধাওয়া করেছিল ওই তিন সাধু। ভয়ে ওই তরুণীরা সাইকেল ফেলে একটি ইটভাটায় যায়। সেখানেই লুকিয়ে থাকে। নিমেষেই ‘ছেলে ধরা’র গুজব রটে যায়। এরপর গাড়ি ঘিরে এলাকার উত্তেজিত মানুষ মারধর শুরু করে সাধুদের।

আরও পড়ুন-‘এটাই ভারতীয় জনতা পার্টির সংস্কৃতি’ বিজেপিকে তোপ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের

এই মর্মে, পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘ভাষাগত সমস্যার জন্য ভুল বোঝাবুঝি হয়। তাই তিন সাধুকে মারধর করে স্থানীয়রা। তবে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা রুজু করে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ শুধু তাই নয় তরুণী সাধুদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। আক্রান্ত সাধু এদিন স্পষ্ট করেই নিজের বক্তব্যে জানান, ‘পুলিশ আমাদের রক্ষাকর্তা। সেদিন রাতে গৌরাঙ্গডি মোড়ে যখন তাঁদের ঘিরে ধরে উত্তেজিত জনতা মারধর করছিল, তখন ৫ মিনিটের মধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং তাদের উদ্ধার করে।’ এত কিছুর পরেও আক্রান্ত সাধুদের সকলেরই বক্তব্য, তারা এই উৎসবের মরশুমে অভিযুক্তদের শাস্তি চান না। শুধু এখন সংক্রান্তির স্নানের আগে নিরাপদে পুরুলিয়া থেকে গঙ্গাসাগর পৌঁছতে পারলেই তারা খুশি।

Latest article