খরাক্লিষ্ট পুরুলিয়া জেলা এখন সজল আর গতিময়

চাষবাস কম, দারিদ্র্য নিত্যসঙ্গী। ছিল সন্ত্রাসও। মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্যে, উন্নয়নের দৌলতে আমূল বদলে গিয়েছে সেই পুরুলিয়া জেলার হাল।

Must read

রুখাশুখা পুরুলিয়া জেলা। চাষবাস কম, দারিদ্র্য নিত্যসঙ্গী। ছিল সন্ত্রাসও। মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্যে, উন্নয়নের দৌলতে আমূল বদলে গিয়েছে সেই পুরুলিয়া জেলার হাল। তারই খতিয়ান আজ।

আরও পড়ুন-দলে নেই রিঙ্কু,উত্তাল গণমাধ্যম, বার্তা দিলেন তরুণ নাইটও

পানীয় জল : খরার জেলা পুরুলিয়ায় গত পাঁচ বছরে সবচেয়ে বড় সাফল্য পানীয় জল। জেলায় প্রতিটি গ্রামে নলবাহিত পানীয় জল দিতে ১৩ হাজার কোটি টাকার কাজ চলছে। আগামী বছরের মার্চের মধ্যে জেলার ৭০ শতাংশ গ্রামে নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছে যাবে। এছাড়া জেলা পরিষদের উদ্যোগে সৌর বিদ্যুৎচালিত পাম্পের সাহায্যে জল সরবরাহ, গভীর নলকূপ খননে একশো কোটি টাকার বেশি খরচ করে কাজ হয়েছে।

আরও পড়ুন-ধোনিদের সেই জয়ের পুনরাবৃত্তি চান ঝুলন, শহরে বিশ্বকাপ

স্বনির্ভর দল : পুরুলিয়ায় স্বনির্ভর দলের মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নে প্রায় দেড় লক্ষ স্বনির্ভর দল গড়া হয়েছে। মাটির সৃষ্টি প্রকল্পে এঁদের যুক্ত করে সবুজায়ন ও মাছ, ফসল চাষে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। মাটির সৃষ্টি প্রকল্পে গড়ে পর্যটনক্ষেত্রগুলিতেও যুক্ত করা হয়েছে স্বনির্ভর দলগুলিকে।
রাস্তাঘাট : জেলায় পথশ্রী-রাস্তাশ্রী প্রকল্পে এবং জেলা পরিষদের অর্থে প্রায় ২১ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরী হয়েছে। ব্যয় হয়েছে একশো কোটি টাকার বেশি। মানবাজার রোড, পুরুলিয়া রোড, বাঁকুড়া-পুরুলিয়া রোড বদলে দিচ্ছে জেলার ছবিকে।

আরও পড়ুন-সুনীলদের দীর্ঘ শিবির নিয়ে বাড়ছে সংশয় এশিয়ান কাপ

সেচ : পশ্চিমাঞ্চল পর্ষদ ও জেলা পরিষদের উদ্যোগে জেলায় শতাধিক জোড়বাঁধ গড়া হয়েছে। খরচ হয়েছে প্রায় দুশো কোটি টাকা। এই জোড়বাঁধগুলির থেকে শুখা মরশুমে সেচের জল পান মানুষ।
পর্যটন : পুরুলিয়ায় পর্যটনশিল্পের বিকাশে প্রায় হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। অযোধ্যা পাহাড়ের পর্যটনক্ষেত্রগুলির রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। পর্যটনের দৌলতে ফিরছে জেলার অর্থনীতি।
কুটিরশিল্প : এছাড়া সবুজায়ন, কৃষি উৎপাদন, প্রাণীপালনে সহায়তা করেছে জেলা পরিষদ। বাবুইঘাস শিল্প, শালপাতার থালাবাটি তৈরির মেশিন ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে জেলায় কুটির শিল্পগুলিকে উজ্জীবিত করা হয়েছে। সামাজিক উন্নয়নে ব্যয় হয়েছে এক হাজার কোটি টাকা।
পরিকাঠামো : জেলায় আদিবাসী গ্রামগুলিতে জাহের থান সংরক্ষণ, সংখ্যালঘুদের কবরস্থান, শ্মশানঘাট নির্মাণ, সব গ্রামে হয়েছে। প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে পুকুর সংস্কার ও নতুন পুকুর নির্মাণে।

আরও পড়ুন-‘বাংলা নিয়ে তাঁর এত চিন্তা কই একবারও তো রক্তাক্ত মণিপুরের কথা বলেন না’ আনন্দ বোসকে নিশানা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

শিল্পায়ন : রঘুনাথপুর শিল্পতালুকে যে ৭২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে শিল্পায়ন চলছে সেখানে সবরকম সহযোগিতা করছে প্রশাসন। শিল্পবান্ধব পরিবেশ গড়ে উঠেছে এখানে। এই শিল্প গড়ে উঠলে জেলার ভোল বদলে যাবে।

Latest article