স্কুলে রুশ হানা, মৃত ৬০ নাগরিক

সম্ভবত সকলেই মৃত। ইউক্রেন সেনার শক্তি বাড়াতে আমেরিকা ও ন্যাটোর সদস্য ইউরোপীয় দেশগুলি প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করছে।

Must read

প্রতিবেদন : রাশিয়ার আক্রমণ চলছেই। ইউক্রেনে আবারও রুশ আগ্রাসনের শিকার সাধারণ মানুষ। রয়টার্সের খবর, ইউক্রেনের একটি স্কুলে বোমারু বিমান হানায় কমপক্ষে ৬০ জন নিহত হয়েছেন। লুহানস্ক অঞ্চলের বিলোহোরিভকা গ্রামের স্কুলটিতে ৯০ জনের মতো নাগরিক আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানেই বোমা ফেলে রুশ বিমান। লুহানস্কের গভর্নর সেরহিয়ে গাইদাই রবিবার জানিয়েছেন, ওই স্কুলে আশ্রয় নেওয়া ৩০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাতজন গুরুতর আহত।

আরও পড়ুন-ড্র করে লিভারপুলের লিগ প্রায় হাতছাড়া

বাকি প্রায় ৬০ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। সম্ভবত সকলেই মৃত। ইউক্রেন সেনার শক্তি বাড়াতে আমেরিকা ও ন্যাটোর সদস্য ইউরোপীয় দেশগুলি প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করছে। সাধ্যমতো প্রতিরোধও গড়ে তুলছে জেলেনস্কির বাহিনী। তবুও রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকানো যাচ্ছে না। সামরিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, কিয়েভকে সুরক্ষিত রাখাই এখন জেলেনস্কির কাছে চ্যালেঞ্জ। তাই তাঁর একমুখী মনোযোগ সেদিকেই। যার জেরে পূর্ব এবং দক্ষিণ ইউক্রেনের কিছু অংশ রাশিয়া নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও কিয়েভ দখলে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যদিকে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ দাবি করেছে, পুতিন ইউক্রেন নিয়ে ঘোরের মধ্যে আছেন।

আরও পড়ুন-আর্থিক সঙ্কটের শঙ্কায় দেশ, কমছে বিদেশি মুদ্রার তহবিল

তিনি পুরনো সোভিয়েতের ছবির পুনর্নির্মাণের স্বপ্ন দেখছেন। তবে আমরা জোর দিয়ে বলছি, যতই হুমকি দিন, পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের কোনও চেষ্টাই রাশিয়া করবে না। অন্তত আমাদের চোখে তেমন কোনও প্রস্তুতি ধরা পড়েনি। এদিকে বিবিসি জানিয়েছে, মারিউপোলের আজভস্টাল স্টিল কারখানার ভেতর আটকে থাকা ইউক্রেন যোদ্ধারা অনলাইনে সাংবাদিক বৈঠক করবেন। বিশ্বের দরবারে নিজেদের নিরাপত্তার আর্জি জানানোই এই বৈঠকের লক্ষ্য। আজভ রেজিমেন্টের কমান্ডার প্রোকোপেনকো এবং তাঁর ডেপুটি পালামার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন

Latest article