‘সাগরকন্যা’, উদ্বোধন হল কলকাতার রামমোহন সম্মিলনীর পুজোর থিম

শহরের বুকে কয়েক ঘন্টায় তৈরী হল এক অভাবনীয় সাগর পারের পরিবেশ। এবার ৭৯ বছরে পা দিচ্ছে কলকাতার রামমোহন সম্মিলনীর পুজো

Must read

শহরের বুকে কয়েক ঘন্টায় তৈরী হল এক অভাবনীয় সাগর পারের পরিবেশ। এবার ৭৯ বছরে পা দিচ্ছে কলকাতার রামমোহন সম্মিলনীর পুজো (Rammohan Sammilani Puja)। সেই পুজোর এবারের থিম ‘সাগরকন্যা’। আজ বৃহস্পতিবার ১২ই অক্টোবর সেই থিমের ও ব্যানারের উদ্বোধন হল পুজো মণ্ডপ থেকে। অভিনব এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী সাংসদ শতাব্দী রায় ও তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র ও ক্লাবের চেয়ারম্যান কুণাল ঘোষ।

আরও পড়ুন-সাংঘাতিক! হামাসের পরে ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ালো হেজবুল্লা জঙ্গি সংগঠন

কলকাতার বুকে এক টুকরো সাগর জীবন। সাগর কন্যাদের জীবন, শিল্প, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে খুব সুন্দরভাবে মণ্ডপে তুলে ধরতে চেয়েছেন রামমোহন সম্মিলনীর পুজো উদ্যোক্তারা। উদ্বোধনী নাচের মধ্য দিয়েই শুরু হয়েছে আজকের অনুষ্ঠান। শতাব্দী রায়কে এদিন ধন্যবাদ জানিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘গত ১ বছরে কিছু ঘনিষ্টদের আমরা হারিয়েছি তবু তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। এছাড়া রয়েছে বিভিন্ন রকম সমস্যা। রয়েছে লোক বলের সমস্যা, অর্থনৈতিক সমস্যা তাছাড়া রামমোহন রায় রোডে যানবাহন চলাচলের সমস্যা তো রয়েছেই। তবু সব বাধা পেরিয়েই এই মণ্ডপ তৈরী করেছি। গতবছর জঙ্গলকন্যা থিম ছিল। এবার থিম ‘সাগরকন্যা’। শুনলে রোমান্টিক মনে হলেও তাদের জীবন খুব কঠিন। সাগরকন্যা মানে উপকূল এলাকায় যে মৎসজীবীরা রয়েছেন তাদের পরিবারের মা বোনেরা, তাদের জীবনযাত্রা রূপায়ণ করা হয়েছে থিমের মধ্য দিয়ে।’

আরও পড়ুন-মহকুমা হচ্ছে ধূপগুড়ি, পাশ মন্ত্রিসভায়

তিনি আরও বলেন, ‘মৎসজীবীদের এই কঠিন জীবনের পাশে দাঁড়াতে রাজ্য সরকার এখন বেশ কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে। রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ধন্যবাদ জানাব কারণ কিভাবে নৌকো পাওয়া যেতে পারে এই সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে তিনি আমাদের সহযোগিতা করেছেন। শিল্পী চেয়েছেন তাঁর মত করে সাজাতে কিন্তু জায়গার অভাবে এবং সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে ততটা আয়োজন করা যায়নি।’

আরও পড়ুন-পুজো আবহে হাওড়া-শিয়ালদহে জারি হাই অ্যালার্ট!

এদিন অভিনেত্রী সাংসদ শতাব্দী রায় কুণাল ঘোষকে এমন একটি থিম তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘মৎসজীবীরা শারীরিকভাবে যেরকম পরিশ্রম করে সেখান থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। যখন ওদের কথা বলা হচ্ছিল মনে হচ্ছিল কি অদ্ভুত এক সমাজের মধ্যে বাস করে ওরা। শহরের জীবন থেকে কতটা আলাদা। যেটুকুর মধ্যে এই থিম তুলে ধরা হয়েছে সেটা রীতিমত প্রশংসাযোগ্য। স্বল্প আয়োজনে ভাব প্রকাশ করার মধ্যে যে আর্ট আছে সেটা নিঃসন্দেহে অতুলনীয়। সকলের পুজো ভালো কাটুক এই আশা রাখি।’

Latest article