মাধ্যমিক আজন্ম প্রতিবন্ধী সায়নদীপের

সায়নদীপের বাবা সুপ্রভাত মুখোপাধ্যায় জানান, বনহুগলিতে এই ধরনের সমস্যার চিকিৎসা হয় শুনে তিনি ছেলেকে নিয়ে যান। তারপরেই উন্নতি হয়।

Must read

সংবাদদাতা, কাটোয়া : শারীরিক সক্ষমতা নেই বললেই চলে। কথা জড়িয়ে যায়। কী বলতে চাইছে, চট করে বোঝা যায় না। কিন্তু মনের জোর দুর্দান্ত। সেই জোরে ভর করেই এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে বিশেষভাবে সক্ষম পূর্বস্থলী নীলমণি ব্রহ্মচারী ইনস্টিটিউশনের ছাত্র সায়নদীপ মুখোপাধ্যায়। পারুইপাড়ার বাসিন্দা বছর আঠারোর সায়নদীপের নিজের হাতে লেখারও তেমন ক্ষমতা নেই। স্মৃতিশক্তি খুবই দুর্বল। তার অবস্থা খতিয়ে দেখে বোর্ড অনুলেখক নিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে।

আরও পড়ুন-সস্ত্রীক দেখা করলেন শেখ হাসিনার সঙ্গে, বিশ্বকাপে সাকিবদের চারে দেখছেন সৌরভ

প্রধান শিক্ষক উত্তম বসাক বলেন, ‘‘জাহাননগর কুমারানন্দ হাইস্কুলে সিট পড়েছে সায়নদীপের। নবম শ্রেণির একজন ছাত্র ওর হয়ে লিখছে।’’ সায়নদীপের জন্ম ২০০৪ সালে। জন্ম থেকেই দুটো পা অস্বাভাবিক। জন্মের কিছুদিন পর থেকে হার্টের সমস্যা ধরা পড়ে। ৪ বছর বয়সেও কথা বলতে পারত না। এমনকী খিদে পাওয়া-সহ রোজকার নানা চাহিদার কথা বলারও শক্তি ছিল না। ১০ বছর বয়স পর্যন্ত বাড়ির লোকজনদের কোলে চেপে যাতায়াত করতে হত। সায়নদীপের বাবা সুপ্রভাত মুখোপাধ্যায় জানান, বনহুগলিতে এই ধরনের সমস্যার চিকিৎসা হয় শুনে তিনি ছেলেকে নিয়ে যান। তারপরেই উন্নতি হয়।

Latest article