জঙ্গলমহলে আদিবাসীদের উন্নয়নে শালপাতার ক্লাস্টার

স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রীর। কাঁকসা জঙ্গলমহলে আদিবাসী সমাজের উন্নয়নে তৈরি হল ‘শালপাতার ক্লাস্টার’। উচ্ছসিত এলাকার আদিবাসী সমাজ

Must read

অসীম চট্টোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রীর। কাঁকসা জঙ্গলমহলে আদিবাসী সমাজের উন্নয়নে তৈরি হল ‘শালপাতার ক্লাস্টার’। উচ্ছসিত এলাকার আদিবাসী সমাজ। দুর্গাপুরের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী আদিবাসী সমাজের আর্থিক উন্নয়নসাধনে শালপাতার ক্লাস্টার তৈরির প্রস্তাব দেন। আদিবাসী মহিলারা যাতে শালপাতা বিপণনের মাধ্যমে স্বনির্ভরতার দিশা খুঁজে পান সেই লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী বনাধিকারিকদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়ে যান।

আরও পড়ুন-সুন্দরবনে ফের দুয়ারে সরকার

নানা প্রশাসনিক জটিলতায় প্রকল্পটি বাস্তবের মুখ দেখেনি এতদিন। সম্প্রতি কাঁকসার জঙ্গলমহলস্থিত বন দফতরের দেউল রিসর্টে শুরু হয়ে শালপাতার ক্লাস্টার তৈরির কাজ। এলাকার আদিবাসী মহিলাদের প্রধান জীবিকাই হল জঙ্গল থেকে শালপাতা সংগ্রহ করে সেগুলি কুঁচি কাঠি দিয়ে সেলাই করে বাজারে বিক্রি করা। কিন্তু ফিনিশিং টাচ না থাকায় সেরকম দাম পেতেন না তাঁরা। কারিগরি প্রশিক্ষণ না থাকায় বিপণন ব্যবস্থায় ছিল না পেশাদারিত্বের ছাপ। সমস্যা নিরসনে বন দফতর আদিবাসী মহিলাদের পারদর্শী করতে বনকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন গৌরাঙ্গপুর, খেড়োবাড়ি, নিমটিকুড়ি-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হল। পাশাপাশি দক্ষ প্রশিক্ষকরা শালপাতার থালা-বাটি তৈরির প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেন।

আরও পড়ুন-অভিষেকের সভা নিয়ে মুখিয়ে কাঁথি

বেশ কয়েকটি সেলাই মেশিন ও থালা-বাটি তৈরির মেশিনও এসেছে। বর্ধমান রেঞ্জের সহকারী বনাধিকারিক সোমনাথ চৌধুরি বলেন, ‘অত্যাধুনিক মেশিনে প্রস্তুত শালপাতার থালা-বাটির ভালো বাজার পাওয়া যাবে। বিপণনের ব্যবস্থাও করব আমরা। বাণিজ্যিক সফল করতে খুব শীঘ্রই বেশ কিছু স্বনির্ভর গোষ্ঠীও তৈরি হবে। জঙ্গলমহলের আদিবাসী সমাজের স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে নতুন বছরের আগেই।

Latest article