যারা বিপ্লবী সেজে বাংলার বদনাম করতে নেমেছে, ধিক্কার তাদের

নয়ডা, ঢেঙ্কানল, তিরুবনন্তপুরম, লখনউ ভুলে গেলেন!

Must read

প্রতিবেদন : সন্দেশখালি (Sandeshkhali Case) ঘটনা নিয়ে লাগাতর কুৎসা, উসকানিমূলক বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছে বিরোধী দলগুলি। কিন্তু অতীতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে একাধিকবার হামলার ঘটনা ঘটলেও কেন্দ্রীয় সরকার কোনও পদক্ষেপই করেনি। নয়ডা, ঢেঙ্কানল, তিরুবনন্তপুরম-সহ একাধিক জায়গায় অভিযান চালাতে গিয়ে বিজেপি-সহ অন্যান্য দলের লোকেদের কাছে কখনও বন্দি, কখনও-বা মারধর খেতে হয়েছে ইডি-সিবিআই অফিসারদের। একাধিক ঘটনা ঘটলেও একটির বিরুদ্ধেও কেন্দ্রীয় সরকার কোনও পদক্ষেপ নিতে পারেনি। তার কারণ, বেশিরভাগ ঘটনাই ঘটেছে বিজেপি-শাসনকালে ও বিজেপি-শাসিত রাজ্যে। শুক্রবার সন্দেশখালির ঘটনায় বাংলায় যাঁরা বিপ্লবী সাজছেন, রাজ্যের বদনাম করছেন, তাঁদের একাধিক উদাহরণ দিয়ে স্মরণ করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, শোনা যাচ্ছে রাজ্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শেখ শাজাহানকে তাদের হাতে তুলে দিতে হবে। ঠিক এই কথাটাই তো বারবার বলা হচ্ছিল। ইডি এই কাজটাই তো আগে করতে পারত! রাজ্য প্রশাসনকে লুপে না নিয়ে এলাকায় যখন-তখন যেখানে-সেখানে ঢুকে পড়ছে তারা। সেখানকার পরিবেশ, পরিস্থিতি, ভৌগোলিক অবস্থান— কোনওটায় জানা নেই তাদের। এই অবস্থায় কোনও একটি ঘটনা ঘটলে রাজ্য প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলে বদনাম করা হচ্ছে। অথচ তাদের আগাম জানিয়ে যাওয়ার বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে। এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার পরে একটি মেল করে জানানো হচ্ছে। এটা তো আগে পাঠালেই হয়। পরে না পাঠিয়ে।
তৃণমূলের সাফ কথা, তারা কোনও তদন্ত আটকাতে চায় না। দুর্নীতি সমর্থনও করে না। কিন্তু ক্রমশ বিজেপির নির্দেশে তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে যাবে, রেড করবে— ফলে সেই সময়ে পরিচিত মুখদের থেকে স্বাভাবিক ভাবে একটা প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। সে কারণে আমজনতাকে আমরা বলছি ওদের পাতা ফাঁদে পা দেবেন না। কুণাল বলেন, ইডি শুধু তৃণমূলের বাড়ি যাবে, বিজেপির বাড়ি যাবে না, যা খুশি তাই করবে— এসব নিয়ে প্রশ্ন করলে বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস, এক শ্রেণির মিডিয়া রে-রে করে তেড়ে আসবে তা তো হতে পারে না। এজেন্সি বা তদন্তকারী দলের উপর হামলা কাম্য নয়। দিল্লির কাছে গ্রেটার নয়ডার সোনাপুরাতে যমুনা এক্সেপ্রেস ১২৬ কোটি টাকার কেলেঙ্কারির তদন্ত করতে গেলে ইডির টিমকে আটকে রাখা হয়। তখন কেন্দ্রীয় সরকার কী করছিল। কেরলের তিরুবনন্তপুরমের সিপিএম নেতা বালকৃষ্ণনের বাড়িতে সিবিআই গেলে তাদের আটকে রাখা হয়। ২০১৫ সালে সিবিআইকে আক্রমণ করে আয়কর দফতরের কর্মীরা। কিছুদিন আগে উত্তরপ্রদেশে একজন গ্যাংস্টারকে ধরতে গিয়ে ৭-৮ জন পুলিশকর্মী নিহত হয়। আমরা এগুলোকে সমর্থন করছি না। কিন্তু বাংলাকে একটা চক্রান্তের আবহে এনে পরিকল্পিত চিত্রনাট্য অনুযায়ী সবটা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আর সিপিএম তো নিজেদের অতীত মনে করে মুখ খোলাই উচিত নয়। বিজেপি-সিপিএম তাদের অতীত ভুলে গেলে চলবে!

আরও পড়ুন- ৯ দিনেই মোহভঙ্গ রায়ডুর! জগনের দল থেকে ইস্তফা প্রাক্তন ক্রিকেটারের

Latest article