বড়দিন (Christmas) ও বর্ষবরণের (NewYear) উৎসবের মাঝেই ঘটে যায় অনেক রকম অপ্রীতিকর ঘটনা। রাতভর চলে হুল্লোড় এবং সেই ভিড়ে মাদকের রমরমার আশঙ্কা থাকে। হোটেল-রেস্তরাঁয় মধ্যরাত পর্যন্ত চলা আনন্দের মাঝেও মাদকের ব্যবহারের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। মাদকের বিক্রি রুখতে এ বার বর্ষশেষের আগে কলকাতা পুলিশের নার্কোটিক্স বিভাগ এবং ‘নার্কোটিক্স কন্ট্রোল বুরো’ (এনসিবি)-র কর্তারা বিশেষ পরিকল্পনা করছেন।
আরও পড়ুন-বিদ্যাসাগরের তৈরি স্কুল নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের
শহরের হোটেল, রেস্তরাঁ, পানশালাগুলিতে লুকিয়ে মাদকের কারবার চলছে এমন অভিযোগ নতুন নয়। পাঁচতারা হোটেলগুলিও এই অভিযোগের আওতায় পড়ে। মাদকের রমরমা রুখতে এবারও কলকাতা পুলিশ অতর্কিতে হানায় জোর দিচ্ছে। কলকাতা পুলিশের তরফে প্রতিটি থানাকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পানশালা বা রেস্তরাঁর সংখ্যা যেখানে বেশি, সেখানকার থানাগুলিকে বাড়তি সতর্কতা বজায় রাখতে হবে।
আরও পড়ুন-লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ নিয়ে ফেসবুকে বিত.র্কিত পোস্ট অনুপমের
মূলত বছর শেষ এবং শুরুর কয়েক সপ্তাহ জুড়ে রেস্তরাঁ বা পানশালাগুলিতে ভিড় অন্য সময়ের তুলনায় একটু বেশি থাকে। হোটেল, ডিস্কোতে রাতভর উৎসব চলে। ধর্মতলা, পার্ক স্ট্রিট, শেক্সপিয়র সরণি, ই এম বাইপাসের রেস্তরাঁ-পানশালাগুলিতে ভিড় থাকে দেখার মত। কমবয়সীরা বেশি ভিড় করে অনেক জায়গায়। সেই সব এলাকার জন্য অতিরিক্ত সতর্কতা নিয়েছে লালবাজার। চারশোরও বেশি সাদা পোশাকের পুলিশকর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছে। পার্টি বা ডিস্কোয় গোপনে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলেজপড়ুয়াদের একাংশের মধ্যে নিয়মিত মাদক সেবনের বিষয়টি নজরে এড়ায়নি লালবাজারের। হাতখরচ জোগাড় করতে তাঁদের অনেকে আবার মাদক কেনাবেচার সঙ্গেও যুক্ত।
আরও পড়ুন-ডারবানে খেলবে মহামেডান, আজ সামনে নেরোকা
এনসিবি-র তরফেও বিশেষ পরিকল্পনা থাকছে। কলকাতার পার্টিগুলিতে মিথাকুইনোন, কোকেন, এলএসডি, অ্যাটিভান, এমডিএমএ, হেরোইন জাতীয় মাদকের চাহিদা বেশি থাকে। সাঙ্কেতিক নামে সেগুলি বিক্রি হয়। মাদক আনা-নেওয়া করতে কুরিয়র পরিষেবা, ডার্ক-ওয়েবের সাহায্যও নেওয়া হয়। তাই শহরে মাদকের প্রবেশ আটকানোই চ্যালেঞ্জ। সারা বছর নজরদারি চললেও বর্ষশেষে সেই নজরদারি বাড়িয়ে দিতে হয়। সেই মতো পরিকল্পনা করা হয়েছে এবং বাস্তবায়িত করা হবে।