সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে হারিয়ে কাঁদছে ময়দান

Must read

প্রতিবেদন : দুঁদে রাজনীতিবিদ হলেও মাঠের সঙ্গে নিবিড় যোগ ছিল প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। তাই তাঁর প্রয়াণে গোটা ময়দানে শোকের ছায়া নেমেছে। আদ্যন্ত মোহনবাগানি ছিলেন সুব্রত। প্রিয় ক্লাবের ম্যাচ মাঠে বসে দেখতেন। রাজনীতির ময়দান চষে বেড়ালেও তাঁর ময়দান-প্রেমে কোনও খামতি ছিল না।

আরও পড়ুন-রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণে ৩০০০ নিয়োগ

সিএবির বার্ষিক সাধারণ সভা, ওয়ার্কিং কমিটিতে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দক্ষিণ কলকাতা জেলা টেবল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট। কলকাতায় প্রথম এশিয়ান টিটি চ্যাম্পিয়নশিপ হওয়ার পিছনে তাঁর বড় অবদান ছিল। কবাডিতে দুটো রাজ্য সংস্থার ঝামেলায় দীর্ঘ ২০ বছর বাংলার ছেলেমেয়েরা জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে পারেনি। সুব্রতবাবুর উদ্যোগেই সমস্যা মেটে। ময়দানের কবাডি তাঁবু ছিল তাঁর প্রতিদিনের সান্ধ্যকালীন আড্ডার জায়গা। বাংলার খেলাধুলা কীভাবে এগোতে পারে সেসব নিয়ে চলত আলোচনা। রাজ্য কবাডি সংস্থার প্রেসিডেন্ট ছিলেন সুব্রতবাবু।

আরও পড়ুন-গান স্যালুটে চিরবিদায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে, শেষ শ্রদ্ধা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

তাঁর প্রয়াণে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই শোকস্তব্ধ ছিল মোহনবাগান ক্লাব। শুক্রবার মোহনবাগান ক্লাবের পতাকা ছিল অর্ধনমিত। সবুজ-মেরুন ক্লাব তাঁবুতে প্রয়াত সুব্রতবাবুর ছবিতে মাল্যদান করেন দুই প্রাক্তন ফুটবল তারকা সুব্রত ভট্টাচার্য, সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং অন্যতম শীর্ষ কর্তা দেবাশিস দত্ত। পরে রবীন্দ্র সদনে গিয়ে তাঁর মরদেহকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে আসেন আরও দুই শীর্ষ কর্তা টুটু বসু, সৃঞ্জয় বসু এবং দেবাশিসবাবুরা। সৃঞ্জয় বলেন, “মোহনবাগান ক্লাবে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কোনও পোস্ট লাগত না। ওঁর সঙ্গে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক ছিল।” দেবাশিসের কথায়, “সুব্রতদা ক্লাবে আসতেন মন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতার পোশাক ছেড়ে সাধারণের মতো। কখনও কোনও দরকারে উনি খালি হাতে ফেরাননি।” বিওএ সচিব স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “উনি ছিলেন মনের মানুষ। একদম খেলা-পাগল লোক। হাসপাতালে দেখতে গিয়েছি, তখনও খেলার কথা। বললাম এখন আপনি বিশ্রাম নিন। বাড়ি ফিরুন। পরে কথা হবে। তা আর হল না।”

Latest article