রাত জেগে সৎকারের তদারকি কাউন্সিলরের

শুধু তাই নয় দাহ করার জন্য প্রয়োজনীয় কাঠ এবং অন্যান্য সামগ্রীর ব্যবস্থাও করেন তিনি। চারটি দেহ বৈদ্যুতিক চুল্লিতে এবং চারটি দেহ ম্যানুয়াল চুল্লিতে দাহ করে গভীর রাতে বাড়ি ফেরেন তিনি

Must read

সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : হাসপাতাল থেকে একের পর এক নিয়ে আসছেন মৃতদেহ। সারারাত জেগে তদরকি করছেন সৎকারের। শ্মশানে দাঁড়িয়ে থেকে করছেন সমস্ত ব্যবস্থা। মালনদীতে হড়পা বানের দুর্ঘটনায় এভাবেই দিনরাত এক করে মৃত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়েছেন মাল পুরসভার ২নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর পুলিন গোলদার। বৃহস্পতিবার সকালেই মাল হাসপাতালে পৌঁছে যান পুলিনবাবু।

আরও পড়ুন-বেপরোয়া বাইকের বিরুদ্ধে ব্যাপক পুলিশি অভিযান

মৃতদেহগুলো সঠিকভাবে গাড়িতে তুলে জলপাইগুড়িতে পাঠান তিনি। এর ফাঁকেই মাল শ্মশানে গিয়ে ম্যানুয়াল চুল্লিটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে সেখানে গজিয়ে ওঠা আগাছা কেটে সাফ করে ওই অব্যবহৃত চুল্লিটিকে ব্যবহারযোগ্য করে তোলেন। শুধু তাই নয় দাহ করার জন্য প্রয়োজনীয় কাঠ এবং অন্যান্য সামগ্রীর ব্যবস্থাও করেন তিনি। চারটি দেহ বৈদ্যুতিক চুল্লিতে এবং চারটি দেহ ম্যানুয়াল চুল্লিতে দাহ করে গভীর রাতে বাড়ি ফেরেন তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন ১১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অজয় লোহারও সঙ্গে ছিলেন। সবগুলি মৃতদেহ দাহ করার পর রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ শ্মশান থেকে ফেরেন তিনি। দিনভর এই মৃতদেহগুলি সৎকারের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি মৃতদের পরিবারের সাথেও যোগাযোগ রেখে চলেছেন তিনি। শুক্রবারও তিনি বেশ কয়েকজন মৃত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে গিয়ে দেখা করেন তিনি। মাল হাসপাতালে ভর্তি থাকা ১৩ জনের মধ্যে ৯ জনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

Latest article