সংবাদদাতা, পুরুলিয়া : অপপ্রচার যত চলবে, ততই বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে বিরোধীরা। উন্নয়নের তথ্য দিয়ে এভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে থাকার বার্তা দিলেন সংখ্যালঘুরা। মঙ্গলবার পুরুলিয়া রবীন্দ্রভবনে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যালঘু সেলের কর্মিসভায় ঘোষণা হল, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলায় তৃণমূলের পক্ষে এককাট্টা থাকবেন সংখ্যালঘুরা।
আরও পড়ুন-নোটবন্দি ব্যর্থ, আবার স্পষ্ট হল কেন্দ্রের তথ্যেই
ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মুক্তার আলি, রাজ্য সংখ্যালঘু উন্নয়ন নিগমের সহসভানেত্রী মরিয়ম খান, শিখ সম্প্রদায়ের যশপাল সিং, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের রবীন্দ্রনাথ মাঝি প্রমুখ। ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া, শান্তিরাম মাহাতো, সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, উজ্জ্বল কুমার, সুমিতা সিং মল্ল, নিয়তি মাহাতো, মেঘদূত মাহাতো, শেখ রহমামিন প্রমুখ।
আরও পড়ুন-হংকং ফ্লু নিয়ে অযথা আতঙ্ক নয়, বলল কেন্দ্র
মুক্তার বলেন, উন্নয়ন নিয়ে অপপ্রচার নয়, তথ্য দিতে হবে। একটি পুস্তিকা দেখিয়ে বলেন, এটি পড়লেই বোঝা যাবে, উন্নয়ন কতটা হয়েছে। ২০১০-১১-য় রাজ্যে সংখ্যালঘু উন্নয়নখাতে বরাদ্দ ছিল ৪৭২ কোটি টাকা। এবছর বরাদ্দ হয়েছে ৫১৬৬.৯৯ কোটি টাকা। বেড়েছে দশগুণের বেশি। মাদ্রাসাশিক্ষা, উচ্চশিক্ষা ছাড়াও সংখ্যালঘু উন্নয়নে পরিকাঠামো নির্মাণে বিপুল অর্থ বরাদ্দ হয়েছে বলে জানান।
আরও পড়ুন-সাতদফা দাবি নিয়ে সংসদে অনড় তৃণমূল
জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চলছে। সেটা রুখতে কর্মীদের এলাকাভিত্তিক উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরতে হবে। সংখ্যালঘু ভোটারদের মধ্যে বিভাজনের চেষ্টা রুখতে হবে। মনে রাখতে হবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কেউ রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের কথা ভাবেন না। উনিই উন্নয়নের কান্ডারি।