নোটবন্দি ব্যর্থ, আবার স্পষ্ট হল কেন্দ্রের তথ্যেই

২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর নোটবাতিলের ঘোষণার সময়ই প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, এই পদক্ষেপের ফলে দেশে কমবে জালনোটের সংখ্যা

Must read

নয়াদিল্লি : বিভিন্ন সময়ে কেন্দ্রের পেশ করা তথ্যই প্রমাণ করে দিচ্ছে মোদি সরকারের নোটবাতিলের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ব্যর্থ। ছ’বছর পর সংসদে সম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে একথা স্বীকার করতে বাধ্য হল কেন্দ্রীয় সরকার। লোকসভায় কংগ্রেস সাংসদ এন উত্তম কুমার রেড্ডির প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন স্বীকার করেন, বাজারে নগদের লেনদেনের পরিমাণ বা নগদ নোটের পরিমাণ কমেনি। উল্টে বিজেপি জমানায় নগদ টাকার পরিমাণ আড়াই গুণ বেড়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন-হংকং ফ্লু নিয়ে অযথা আতঙ্ক নয়, বলল কেন্দ্র

নোটবাতিলকে নরেন্দ্র মোদির মাস্টারস্ট্রোক বলে দাবি করেছিল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের প্রচার ছিল কালো টাকা এবং জাল নোট বন্ধ করতে নোটবাতিল হল নরেন্দ্র মোদির সার্জিক্যাল স্ট্রাইক। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর নোটবাতিলের ঘোষণার সময়ই প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, এই পদক্ষেপের ফলে দেশে কমবে জালনোটের সংখ্যা। কিন্তু ছ’বছর বাদে সরকারি পরিসংখ্যানই মোদির দাবিকে সমর্থন করছে না। নোটবাতিলের পর প্রতিবছরই আরও বাড়ছে জালনোটের পরিমাণ। সংসদে পেশ করা পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৪ সালের মার্চে বাজারে চালু নোট এবং মুদ্রার মূল্য ছিল ১৩ লক্ষ কোটি টাকা। ২০২২-এর মার্চে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩১.৩৩ লক্ষ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন-‘কাজ করবেন রাজ্যে, কেন্দ্রের হারে টাকা দেওয়া যাবে না’ ডিএ নিয়ে স্পষ্ট বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন স্বীকার করে নিয়েছেন, ২০১৬ সালের নোটবাতিলের পর বাজারে নগদের পরিমাণ কিছুটা কমলেও পরে তা আবার বাড়তে শুরু করে। সরকারি পরিসংখ্যানে স্পষ্ট, জিডিপির অনুপাতে বাজারে নগদের পরিমাণ বেড়েছে। ২০১৪- এর মার্চে যা ছিল ১১.৬ শতাংশ, ২০২২ -এর মার্চে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৩.৭ শতাংশ। অর্থাৎ সরকারি পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, নোটবাতিলের ফলে মানুষের উপকার হয়নি, বরং ক্ষতি হয়েছে।

Latest article