প্রধানমন্ত্রী বা উপাচার্য কারওর নামই থাকবে না, লেখা হবে ৩ ভাষায়

মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিবাদে মাথা হেঁট কেন্দ্রের, বিশ্বভারতী থেকে সরে যাচ্ছে সেই ফলক

Must read

প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিবাদের চাপে মাথা নত করল কেন্দ্রীয় সরকার৷ বিশ্বভারতী থেকে সরানো হবে বিতর্কিত ফলক (Visva Bharati- Plaque)৷ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম বাদ দিয়ে হেরিটেজ ফলকে শুধু প্রধানমন্ত্রী ও নিজের নাম রেখেছিলেন সদ্যপ্রাক্তন উপাচার্য৷ এই ঘটনায় প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বলেন, এটা বাংলার অপমান৷ তাঁর নির্দেশে বিশ্বভারতীর সামনে টানা প্রতিবাদ–আন্দোলন চালায় তৃণমূল কংগ্রেস৷ অবশেষে এই প্রতিবাদের জেরে বিশ্বভারতী থেকে বিতর্কিত ফলক সরানোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হল কেন্দ্র৷ জানা গিয়েছে, বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজি এই তিনটি ভাষা নতুন ফলকে লেখা৷ সংশ্লিষ্ট ফলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য বা উপাচার্য কারও নামই থাকবে না। অন্যদিকে, সদ্য প্রাক্তন হওয়া উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীরও নাম না রাখার জন্য নির্দেশ এসেছে। পরিবর্তে ফলকে কী লেখা থাকবে, তা নির্ধারণ করার জন্য বিশ্বভারতীকে চার অধ্যাপককে নিয়ে বিশেষ কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, বাংলার প্রতিবাদের কাছে কার্যত মাথা নত করল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। বিদ্যুৎ-বিদায়ের পর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলক নিয়ে নির্দেশ কার্যত বাংলার প্রতিবাদকেই মান্যতা দেওয়া। হেরিটেজ ফলকে বিশ্বকবির নাম বাদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন উপাচার্য নিজের নাম লেখায় নেত্রীর নির্দেশে বিশ্বভারতীর উল্টোদিকে টানা প্রতিবাদ চালিয়ে যায় তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই চাপের কাছেই মাথা নত করতে বাধ্য হল বিজেপি সরকার।
শিক্ষামন্ত্রকের এমন নির্দেশ আসার পরই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ফলক (Visva Bharati- Plaque) সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ফলকের লেখা কী হবে তা ঠিক করে শীঘ্রই কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকে পাঠাবে চার অধ্যাপকের কমিটি। এই খবরে আনন্দে উদ্বেল গোটা বাংলা।

আরও পড়ুন- মহিলা বিল পাশের কৃতিত্ব জাহির, অথচ নির্বাচনে প্রার্থীতালিকায় মহিলারা ব্রাত্য!

Latest article