সংসদে সরব তৃণমূল

দেশের বয়স্ক মানুষদের স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে পদক্ষেপগুলো কী কী।

Must read

১৫ বছরের বেশি বয়সের নাগরিকদের ৭৮ শতাংশের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ২০২১ এর গ্লোবাল ফিনডেক্স রিপোর্ট থেকে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকারের লিখিত প্রশ্নের জবাবে একথা জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভাগবত কারাড়। তিনি এও জানান, দেশের কত শতাংশ মানুষ এখনও সুদে বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋণ নেন সে সংখ্যা জানা নেই সরকারের। সাংসদ জানতে চেয়েছিলেন, দেশের কত শতাংশ মানুষ এখনও সুদে বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋণ নেন। সে প্রশ্নের জবাবেই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী একথা জানান। ঘুরিয়ে তিনি বলেন, দেশের প্রান্তিক মানুষদের প্রথাগত ঋণ বা ব্যাঙ্কের থেকে ঋণ নেওয়ায় উৎসাহ দিতে প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনা, প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা, ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম ফর মাইক্রো ফাইনান্স ইনস্টিটিউশন চালু করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-অবিবাহিত তরুণীদের সন্তান হলে পরিচয়পত্রে মায়ের নামই যথেষ্ট

দেশের বয়স্ক মানুষদের স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে পদক্ষেপগুলো কী কী। রাজ্য ভিত্তিক বৃদ্ধাশ্রমগুলির সংখ্যা কত এবং সেখানে কী কী সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায় পরিসংখ্যান দিয়ে তা জানতে চেয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সামাজিক ন্যায় বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক জবাবে জানিয়েছেন, বৃদ্ধাশ্রমগুলি দেখভালের জন্য কেন্দ্রের তরফে নানান উদ্যোগ এবং প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় বয়োশ্রী যোজনার মাধ্যমে বিনামূল্যে বয়সজনিত কারণে প্রয়োজনীয় নানান সরঞ্জাম দেওয়া হয়। তিনি আরও জানিয়েছেন, আগে শুধুমাত্র বিপিএল তালিকাভুক্তরাই এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হতে পারতেন। বর্তমানে এই প্রকল্পের পরিধি আরও বাড়ানো হয়েছে।

আরও পড়ুন-অপব্যবহারের অভিযোগ

আমফান, আয়লা, ফণী, ইয়াসের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে এখনও পর্যন্ত কত টাকা দিয়েছে, তা জানতে চেয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মালা রায়। তাঁর লিখিত প্রশ্নের উত্তরে জবাব দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছেন, সাইক্লোন বা যে কোনও ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ধাক্কা সামলানোর প্রাথমিক দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। কেন্দ্রীয় সরকার শুধুমাত্র রাজ্যের প্রস্তাব, রিপোর্ট অনুযায়ী পদক্ষেপ করে থাকে। পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, আয়লার জন্য রাজ্য পেয়েছে ১৬৬.৮৭ কোটি টাকা। আমফানের জন্য রাজ্য পেয়েছে ২২৫০.২৮ কোটি টাকা। ইয়াসের জন্য রাজ্য পেয়েছে ৩০০ কোটি টাকা। বড় বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের আন্তঃমন্ত্রক পর্যায়ের বিশেষ দল পর্যবেক্ষণ করে এসে রিপোর্ট দেয়। তার ভিত্তিতেই সহায়তা৷

Latest article