আজ ইন্ডিয়ার বৈঠক

এলাকায় জনসংযোগ বাড়ান, সাংসদদের নির্দেশ নেত্রীর

Must read

প্রতিবেদন : দিল্লির চাণক্যপুরীর বঙ্গভবনে দলীয় সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে দলের লোকসভা এবং রাজ্যসভার সাংসদদের আগামী দিনে সমন্বয় বজায় রেখে লড়ার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ, লোকসভা এবং পাশাপাশি রাজ্যসভার সাংসদরাও নিজ নিজ এলাকায় জনসংযোগ বৃদ্ধি করার কাজে মন দিয়ে এবং সুখে-দুঃখে মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াক। রাজ্যসভার ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের (INDIA Alliance Meeting) আগে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি স্পষ্ট জানালেন, লোকসভায় নিরাপত্তা বিকৃত হওয়ার ঘটনা কেন্দ্রের গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছুই নয়। জানা গিয়েছে, সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, ওদের কাছে বিষাক্ত গ্যাসও থাকতে পারত। লোকসভায় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার ঘটনা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে হট্টগোল করায় ইন্ডিয়া শিবিরের ৯২ জন সাংসদকে এখনও পর্যন্ত সাসপেন্ড করা হয়েছে। সেই ঘটনায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অমিত শাহ টেলিভিশন চ্যানেলে বিবৃতি বা সাক্ষাৎকার দিলেও, কেন তিনি সংসদের কক্ষে বক্তব্য রাখছেন না সে-প্রশ্ন তুলে সাংসদদের বৈঠকে তিনি বলেন, এভাবে সাংসদদের সাসপেন্ড করা যায় বলে আমি জানতাম না। অমিত শাহের ক্রিমিনাল বিলটিকে পাশ করানোর জন্য বিরোধী শিবিরের সাংসদদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদের বাইরে মন্তব্য করলেও, কেন ভিতরে বিবৃতি দিচ্ছেন না সে-প্রশ্নে হতবাক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এটা কেমন হল! আমিও সাংসদ ছিলাম, এরকম কোনওদিন দেখিনি। মমতার কথায়, ক্রিমিনাল বিলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিল। নতুন সরকার আসবে, তা হলে কেন বিল পাশ করানো হচ্ছে? নতুন সরকার এসে বিলগুলি পর্যালোচনা করতে পারে।
তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বাংলা কখনও এদের সমর্থন করে না। কেন বারবার বাংলাকে কলুষিত করার চেষ্টা। আমাদের সাইবার ক্রাইম বিভাগ দেশের মধ্যে শীর্ষে।
এদিকে, মঙ্গলবার ইন্ডিয়া জোটের (INDIA Alliance Meeting) বৈঠকের আগের সন্ধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে যান আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। যতদিন প্রাণ থাকবে, ততদিন তিনি লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে জানান তিনি। মমতার কথায়, বিজেপির কোনও ব্যক্তির সঙ্গে আমার কোনও সমস্যা নেই। আমার লড়াই নীতির বিরুদ্ধে।
এদিন সাংসদদের সঙ্গে আলাপচারিতায় নেত্রী বলেন, বিজেপি যা খুশি তাই করছে। ওদের সবসময় কোনও না কোনও অ্যাজেন্ডা থাকে। তিন বছর আগে কেন্দ্রা আমাকে ভাটিকান সিটিতে যাওয়া থেকে আটকে ছিল কেন্দ্র। আমি কোনও বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। ওরা বিভাজন করে। আমি গোবলয় বা হিন্দিবেল্ট বলে কখনও বিভাজন করিনি। পুরোটাই আমার দেশ বলে আমি মনে করি।

আরও পড়ুন- মুখবন্ধ খামে জমা পড়ল জ্ঞানবাপী সমীক্ষার রিপোর্ট

Latest article