লাচ্চা-সিমুই বিলি করে ইদের দিন প্রচারে তৃণমূল

প্রতিটি অঞ্চলে বুথভিত্তিক কর্মিসভার পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে ভোটের প্রচার চালান তৃণমূল কর্মীরা

Must read

সংবাদদাতা, হাওড়া : বৃহস্পতিবার ছুটির দিনে হাওড়ায় জোরকদমে ভোটের প্রচার চালাল তৃণমূল। ইদ উপলক্ষে পাঁচলা এলাকার বাড়ি বাড়ি এবং পথচলতি মানুষদের হাতে লাচ্চা ও সিমুই বিলি করে ভোটের প্রচার চালান যুব তৃণমূল কর্মীরা। দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে উলুবেড়িয়ার হীরাপুর, বেলাড়ি, কালীনগর প্রভৃতি অঞ্চলে ছোট ছোট কর্মিসভা করেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি ও পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়। ছিলেন হাওড়া জেলা(গ্রামীণ) যুব তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন-উদ্ধার হল টাইটানের ধ্বংসাবশেষ

প্রতিটি অঞ্চলে বুথভিত্তিক কর্মিসভার পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে ভোটের প্রচার চালান তৃণমূল কর্মীরা। মন্ত্রী পুলক রায় জানান, ‘প্রতিটি অঞ্চলে কর্মিসভা করা হয়েছে। একই সঙ্গে বুথ ধরে ধরে ছোট ছোট বৈঠক ও দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার চলছে। আমরা ডোর-টু-ডোর প্রচারাভিযানের ওপর বিশেষ জোর দিচ্ছি। সব কটি পঞ্চায়েত এলাকার বাড়ি বাড়ি প্রচার শেষ হওয়ার পর এলাকায় করা হবে মিছিল ও পদযাত্রা।’ উল্লেখ্য, হাওড়ার বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় ইতিমধ্যে সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, দলের অন্যতম মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী-সহ রাজ্য স্তরের একাধিক নেতা প্রচার চালিয়ে গিয়েছেন। তাঁদের প্রচার ঘিরে এলাকাবাসীদের উৎসাহ ছিল তুঙ্গে।

আরও পড়ুন-গুজরাতের মতোই গণহত্যা মণিপুরে

প্রতিটি প্রচারাভিযানেই মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। হাওড়া (গ্রামীণ)যুব তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের বুথভিত্তিক বৈঠক প্রায় শেষ। বাড়ি বাড়ি প্রচার চলছে জোরকদমে।’ এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার পাঁচলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে চলল ভোটপ্রচার। সকাল থেকেই এলাকার তৃণমূল কর্মীরা প্রতিটি বাড়িতে লাচ্চা-সিমুই বিতরণ করে ভোটপ্চার চালান। ইদ উপলক্ষে লাচ্চা-সিমুই বিলির মাধ্যমে ভোটপ্রচারের পাশাপাশি সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ একত্রে আনন্দে মেতে ওঠেন। পাঁচলা অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি মেহেবুব আলম বলেন, ‘এটাই বাংলার আসল চিত্র। এখানে হিংসার কোনও জায়গা নেই। বিজেপি পরিকল্পিতভাবে গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু বাংলার মানুষ তা হতে দেবে না। সব সম্প্রদায়ের মানুষ এক হয়ে বাংলায় প্রতিটি উৎসব পালন করেন। ইদের দিনেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।’

Latest article