তিন অভিযোগে কমিশনে

এজেন্সির স্বেচ্ছাচার, যথেচ্ছ বিধিভঙ্গ

Must read

প্রতিবেদন : দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ-গুচ্ছ জমা দিল তৃণমূল কংগ্রেস (ECI- TMC)৷ ভোট বিধি চালু হয়ে যাওয়ার পরেও যেভাবে ভারতীয় জনতা পার্টি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে বিধিভঙ্গ করছে তার বিরুদ্ধেই প্রতিবাদপত্র৷ আগামী সোমবার এই অভিযোগ নিয়ে ফের কমিশনের বৈঠক হবে৷
শুক্রবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাতে যায় তৃণমূল প্রতিনিধি দল৷ এই দলে ছিলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা ও চার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, দোলা সেন, সাকেত গোখেল, সাগরিকা ঘোষ৷ বৈঠক শেষে শশী পাঁজা বলেন, মূলত তিনটি বিষয় নিয়ে আমরা অভিযোগ জানিয়ে এসেছি জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে৷ ১. কেন্দ্রের সরকার এজেন্সিগুলোকে প্রকাশ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের (ECI- TMC) বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে৷ কখনও মহুয়া মৈত্র, কখনও মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, কখনও কাউন্সিলর জুঁই বিশ্বাসের বিরুদ্ধে৷ সিবিআই, ইডি, আইবি-কে নামানো হয়েছে৷ এর সঙ্গে নতুনভাবে যোগ হয়েছে এনআইএ৷ তারাও এখন নির্লজ্জের মতো তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে জিজ্ঞাসাবাদ, আটক এমনকী গ্রেফতার করছে৷ মূল উদ্দেশ্য হল, তৃণমূলকে বিব্রত করা এবং প্রচার থেকে নেতা-নেত্রীদের সরিয়ে রাখা৷ স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে ব্যবহার করে ভোটে জেতার ভিন্ন চক্রান্ত৷ ২. তৃণমূল কংগ্রেসের মনে হয়েছে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নয়৷ বিজেপি নেতারা কু-কথার বন্যা ছোটাচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হচ্ছে না৷ প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীর সঙ্গে ফোনে কথা বলতে গিয়ে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন৷ তারপরেও কমিশন পদক্ষেপ করছে না৷ কমিশনের নিরপেক্ষতা মনে করছেন না সাধারণ মানুষ৷ ৩. যথেচ্ছ বদলি করা হচ্ছে পুলিশ অফিসার ও আমলাদের৷ এটা কি যথার্থ? আর সেটাই যদি হয় তাহলে কেন্দ্র সরকারের অফিসারদের কেন বদলি করা হবে না? আইন শুধু রাজ্য সরকারগুলির উপর বলবৎ হবে এমনটাই কি কমিশনে নির্দেশ আছে?
সোমবার কমিশনের সঙ্গে অভিযোগগুলি নিয়ে স্পষ্ট আলোচনা করবেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা৷ বিজেপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করছে৷ এজেন্সিগুলিকে নির্লজ্জভাবে কাজে লাগাচ্ছে৷ তৃণমূল কংগ্রেস এই স্বৈরাচারীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবে৷ প্রয়োজনে রাস্তায় নামবে৷

আরও পড়ুন- আজ ঢোলায় অভিষেকের কর্মিসভা, প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন নেতৃত্ব

Latest article