চন্দননগরে জয়জয়কার তৃণমূল কংগ্রেসের, ৩২ শে ৩১ আসনে জয়

Must read

সুমন করাতি, হুগলি : ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নযজ্ঞেই আস্থা রাখল চন্দননগর। বিধানসভার পর পুরসভা নির্বাচনেও তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) অশ্বমেধের ঘোড়া ছুটছে। সোমবার পুরভোটের ফলাফল আসা শুরু হতেই কার্যত সবুজ আবিরে ঢাকল চন্দননগরের আকাশ। সেই সঙ্গে বিজেপি শূন্য হল চন্দননগর। পুরনিগমের ৩৩টি আসনের মধ্যে ভোট হয়েছিল ৩২টিতে। তার মধ্যে ৩১টি আসনেই জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) প্রার্থীরা। কোনওক্রমে একটি আসন পেয়ে শিবরাত্রির সলতে হয়ে জ্বলছে বামেরা। বাকি বিজেপি থেকে কংগ্রেস, সব ভ্যানিশ। বামেরা মাত্র ১টি আসনে জয়ী। ফলাফলই বলে দিচ্ছে সবুজ ঝড় উঠেছে চন্দননগরে। শতাংশের হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ৫৯.৮ শতাংশ, সিপিএম ২৭.৩৬ শতাংশ, বিজেপি ১০ শতাংশ আর কংগ্রেসের কপালে জুটেছে মাত্র ১.৫ শতাংশ ভোট। সোমবার সকাল থেকে স্থানীয় কানাইলাল বিদ্যমন্দিরে শুরু হয় ভোট গণনার কাজ। গণনা শুরু হতেই ধীরে ধীরে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা এসে ভিড় জমাতে থাকেন গণনাকেন্দ্রের নির্দিষ্ট দূরত্বে। বহু খুঁজেও কোথাও দেখা মেলেনি বিরোধীদের। সকাল আটটা থেকে গণনা শুরু হতেই তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের এগোনোর খবর আসতে থাকে। উড়তে থাকে সবুজ আবির ও দলের পতাকা। জয়ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে এলাকা। গণনা যত এগিয়েছে ততই নিশ্চিত হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়। ‍‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ’, ‍‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ’ স্লোগানে গমগম করতে থাকে গোটা এলাকা।

আরও পড়ুন – উন্নয়নের রোড ম্যাপ তৈরি করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী 

উল্টোদিকে সাতসকালেই হাওয়া বুঝতে পেরে ক্রমশ পাতলা হতে শুরু করে বিরোধীদের জমায়েত। বিজেপি, বাম এবং কংগ্রেস সমর্থকরা বেলা বাড়তেই বাড়ির পথ ধরেন। তারপর এলাকার দখল নিয়ে নেন তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) কর্মী- সমর্থকরা। জয়ী প্রার্থীরা একে একে গণনাকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে এলে তাঁদের নিয়ে ফের আর এক রাউন্ড আবির খেলায় মাতেন কর্মীরা। তাসা, ঢোলের শব্দে তখন কান পাতা দায়। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের পাশাপাশি অনেক সাধারণ মানুষও গণনাকেন্দ্রের আশপাশে জড়ো হয়েছিলেন। তাঁরা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের রথ যেভাবে গোটা রাজ্যে ছুটে বেড়াচ্ছে এটা তারই সুফল। সেই কবে ফরাসিদের আমল থেকে চন্দননগরের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি সর্বজনবিদিত। এবারও সেখানকার মানুষ অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গেই তাঁদের মত প্রয়োগ করেছেন। তাই গোটা বাংলার উন্নয়নযজ্ঞে শামিল হল হুগলি জেলার অন্যতম প্রাচীন জনপদ চন্দননগর।

Latest article