ধোনি নিয়ে বিরাট-মন্তব্যে ক্ষুব্ধ বোর্ড

Must read

দুবাই : এশিয়া কাপের ২২ গজে চেনা ফর্মে বিরাট কোহলি। তিন ম্যাচে দু’টি হাফ সেঞ্চুরি-সহ মোট ১৫৪ রান। গড় ৭৭। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও ফের বিতর্ক উসকে দেন বিরাট। রবিবার তিনি জানিয়েছেন, টেস্ট নেতৃত্ব ছাড়ার সময় একমাত্র এম এস ধোনি (Virat Kohli- MS Dhoni) ছাড়া আর কেউই তাঁকে মেসেজ করেননি। অর্থাৎ কঠিন সময়ে তাঁর পাশে ধোনি ছাড়া কেউ ছিল না।
বিরাটের এই মন্তব্য ফের ঝড় তুলেছে বিসিসিআইয়ের অন্দরমহলে। এক বোর্ড কর্তা জানিয়েছেন, ‘‘বিরাট সবসময় সবার সমর্থন পেয়েছে। সেটা বোর্ড হোক বা সতীর্থদের। তাই কেউ পাশে ছিল না বলাটা ঠিক নয়। ও যখনই বিশ্রাম চেয়েছে, পেয়েছে। ও যখন টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাডে়, তখন প্রায় সব কর্তাই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ওকে ভবিষ্যতের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। হঠাৎ করে কেন বিরাট এমনটা বলল, তা বুঝতে পারছি না।’’

আরও পড়ুন: আইএসএল: ফিরছে দর্শক, খুশি সুনীল

এর আগেও বিসিসিআইয়ের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন বিরাট (Virat Kohli- MS Dhoni)। গত বছর টি-২০ বিশ্বকাপের আগেই বিরাট ঘোষণা করেছিলেন, টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার পর টি-২০ নেতৃত্ব ছেড়ে দেবেন। সেই সময় বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে ফোন করে বিরাটকে অধিনায়কত্ব না ছাড়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু সিদ্ধান্তে বিরাট অনড় ছিলেন।
পরে বিরাট এই প্রসঙ্গে জানান, টি-২০ নেতৃত্ব ছাড়ার কথা তিনি যখন বোর্ডকে জানিয়েছিলেন, সবাই সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিল। কেউ নেতৃত্বে থেকে যাওয়ার জন্য তাঁকে অনুরোধ করেনি। এ নিয়ে সেই সময় কম জলঘোলা হয়নি। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেই সময় প্রধান নির্বাচক চেতন শর্মাকে আসরে নামতে হয়েছিল। চেতন বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিলেন, বৈঠকে উপস্থিত প্রত্যেকেই বিরাটকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।
এই প্রসঙ্গে সরব হয়েছেন সুনীল গাভাসকরও। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সোমবার বলেন, ‘‘ভারতীয় দলের ড্রেসিংরুমের ভিতরের পরিস্থিতি সম্পর্কে আমার কোনও ধারণা নেই। তবে ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বিরাট যখন ওর সঙ্গে যে যোগাযোগ করেছিল তার (ধোনি) নাম নিয়েছে। তখন যারা যোগাযোগ করেনি, তাদের নামও বলা উচিত ছিল।’’

এদিকে, প্রায় এক মাস বিশ্রাম নিয়েছিলেন বিরাট। এ নিয়েও কম সমালোচনা হয়নি। পাকিস্তান ম্যাচের পর এই বিতর্ক নিয়েও সরাসরি মুখ খুলেছেন কিং কোহলি। বিরাটের সাফ কথা, ‘‘বিশ্রাম নেওয়ার মধ্যে কোনও নেতিবাচক কিছু নেই। যে কেউ নিতে পারে। ব্যক্তিগতভাবে এই বিরতিটা আমার খুব প্রয়োজন ছিল। শারীরিকভাবে না হলেও মানসিক ক্লান্তি কাটানোর জন্য।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘টানা খেলতে খেলতে অনেক সময়ই আমরা খেলার আনন্দটাই হারিয়ে বসি। সেটাই খুঁজে পেতে চেয়েছিলাম। আমি এখন আবার ক্রিকেটের মধ্যে সেই আনন্দ খুঁজে পাচ্ছি। খেলাটা উপভোগ করছি।’’

Latest article