BSF কমান্ডারের লালসার শিকার মহিলা কনস্টেবল

Must read

ন্যক্কারজনক ঘটনা। নদিয়ার (Nadia) ক্যাম্পেই কৃষ্ণগঞ্জে BSF কমান্ডারের হাতে ধর্ষণের শিকার মহিলা কনস্টেবল। এই মুহূর্তে নির্যাতিতা এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ভবানীপুর থানায় জিরো FIR দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত কমান্ডারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এবার এই নিয়ে কী বলবে গেরুয়া শিবির! যে বিএসএফের ক্যাম্পেই মহিলারা সুরক্ষিত নন, সেখানে তারা সাধারণ মানুষকে কী নিরাপত্তা দেবে!

 আরও পড়ুন: নৃশংস! প্রেমিকাকে পুড়িয়ে মারল প্রেমিক

একের পর অভিযোগে বিদ্ধ বিএসএফ। কোচবিহারে তাদের নৃশংস আক্রমণে প্রাণ গিয়েছে রাজবংশী যুবকের। সেই অভিযোগের এখনও কোনও বিচার হয়নি। তার মধ্য়েই অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ঘটনা এলো প্রকাশ্যে। নিজের ক্যাম্পেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের লালসার শিকার বিএসএফের মহিলা কনস্টেবল। ধর্ষণে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে এসে SSKM হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু প্রথমে সীমান্তরক্ষী বাহিনী এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে চায়। সেই কারণে নদিয়ায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। কলকাতায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে নির্যাতিতা নিজেই ভবানীপুর থানায় জিরো এফআইআর দায়ের করেন। এই জিরো এফআইআর ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে যে কোনও থানায় দায়ের করা যায়। এই থেকেই স্পষ্ট, নিজের ক্যাম্প এলাকায় অভিযোগ দায়ের করার ভরসা পাননি মহিলা বিএসএফ কনস্টেবল। শেষ পর্যন্ত অভিযুক্ত কমান্ডারকে সাসপেন্ড করে মুখ রক্ষার চেষ্টা করেছে বিএসএফ। এদিকে বিএসএফ-র পরিধি বাড়িয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু সীমান্তবর্তী অঞ্চলের মানুষকে কী নিরাপত্তা দেবে তারা! তাদের ক্যাম্পে মহিলা সহকর্মীরাই তো সুরক্ষিত নন। এই নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।

নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে ঘটনার কথা জানিয়ে তীব্র নিন্দা করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এবার বিজেপি কী বলবে? রাজ্যের যে কোনও ঘটনায় পুলিশ-প্রশাসনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করায় গেরুয়া শিবির। অথচ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দ্রুত অভিযুক্তরা ধরা পড়ে। মহিলাদের জন্য দেশের মধ্যে নিরাপদতম শহর কলকাতা। অথচ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন বিএসএফ ক্যাম্পেই মহিলারা সুরক্ষিত নন। মহিলা কর্মী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের লালসার শিকার হচ্ছেন। সেই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাও হয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তরফে। এই নিন্দনীয় ঘটনায় এখন নীরব বিজেপি। তাদের এই ভূমিকা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন কুণাল।

Latest article