আজ ধরনায় মহিলা মোর্চা

https://jagobangla.in/after-losing-in-politics-hemant-blasted-the-agencys-pressure/

Must read

প্রতিবেদন : সিপিএমই এখন বিজেপি হয়েছে। বিজেপির পিছনে লুকিয়ে পড়েছে সিপিএম। এই বিজেপিকে আর বাড়তে দেওয়া যাবে না। বাংলায় তারা বিভাজনের রাজনীতি শুরু করেছে। তাদের বিরুদ্ধে জিতব আমরাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে এককাট্টা লড়াইয়ের ডাক দিয়ে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সোমবার রেড রোডের ধরনা মঞ্চ থেকে বলেন, সবাই এককাট্টা থাকুন। বাংলায় ৪২-এ ৪২ করে দিল্লির বুকে বিকল্প সরকার তৈরি করব আমরা। সেই সরকার চলবে তৃণমূল নেত্রীর ইশারায়।

আরও পড়ুন-রাজনীতিতে হেরে এজেন্সির চাপ, আস্থা বিতর্ক ভাষণে তোপ দাগলেন হেমন্ত

তিনি বলেন, বিজেপিকে হারাতে পারে তৃণমূলই। সেজন্য ছাত্র-যুবদের বিশেষ দায়িত্ব নিতে হবে। মানুষের কাছে উন্নয়ন নিয়ে যেতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে-সমস্ত জনমুখী প্রকল্প তৈরি করেছেন, তার সুবিধা পাচ্ছেন বাংলার মানুষ। যাঁরা সুবিধা পাচ্ছেন, তাঁরা কেন ভোট দেবেন না তৃণমূলকে? তাঁদের বোঝাতে হবে। একশো শতাংশ ভোটের দাবি নিয়ে আমরা মানুষের কাছে যাব। এরপর গদ্দার অধিকারীকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, গদ্দার অধিকারী দলবদলু, একটা চোর, চিটিংবাজ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নাম ধরে ডাকছে। আমাদের নেত্রীকে যে অপমান করছে, তাকে ছেড়ে দেবেন না। ভোটটা এমনভাবে করান, যেন গদ্দার অধিকারীর নাম ও নিশান রাজনৈতিকভাবে মুছে দেওয়া যায়। গদ্দারকে হটিয়ে বাংলাকে বাঁচাতে হবে। বাংলার বুকে বিষ ছড়াচ্ছে গদ্দার। বিভাজনের রাজনীতি করছে, দমন-পীড়ন চালালে আমরা সহ্য করব না। তৃণমূলের আইটি সেলের চেয়ারম্যান দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইতিহাস মনে রাখবে ঝাঁসির রানি বা মাতঙ্গিনী হাজরা হিসেবে। আর নরেন্দ্র মোদিকে মানুষ চিরকাল হিটলার, মীরজাফর হিসেবেই মনে রাখবে। নরেন্দ্র মোদি হচ্ছে সেই কুচুটে বন্ধু, যে পাঞ্জায় না পেরে ভাতে বিষ মিশিয়ে দিচ্ছে। আগে কোনও জিনিস কিনলে সেই টাকা থেকে রাজ্য ও কেন্দ্র দুই সরকারের খাতাতেই মানুষের ট্যাক্স যেত। এখন জিএসটি করে মোদি পুরোটাই নিয়ে নিচ্ছে। আর সিপিএম হচ্ছে স্যান্ডো গেঞ্জির বুক পকেট। কাজে লাগে না কোনও, তাও নস্টালজিয়া হয়ে পড়ে আছে বাংলার রাজনীতিতে।

আরও পড়ুন-প্রতিবন্ধীদের পাশে রাজ্য

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, বাংলার মানুষের হকের টাকা মেরে দিয়েছে কেন্দ্র। রাজ্যের বঞ্চিত শ্রমিকদের সেই টাকা মেটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে ধরনামঞ্চ থেকে তিনি ঘোষণা করেছেন, ২১ ফেব্রুয়ারি ২১ লক্ষ শ্রমিককের অ্যাকাউন্টে বকেয়া টাকা দেবে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে কুর্নিশ জানান তৃণমূলের ছাত্র-যুবরা। তাঁদের কথায়, সারা দেশে এরকম বুকের পাটা একজনেরই আছে। তিনি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলার মানুষের বকেয়ার দাবিতে অভিযান চলেছে। কিন্তু কেন্দ্র কিছুই করেনি, উল্টে হেনস্থা করছে বাংলার খেটে খাওয়া মানুষকে। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ দুর্নীতির অভিযোগ করছে। বছরের পর বছর ধরে ইডি-সিবিআই তদন্ত করেও দুর্নীতির কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি। শুধু দুর্নীতির মিথ্যাচারে তৃণমূল সরকারকে ফাঁসাতে চাইছে কেন্দ্রের সরকার। এদিন জেলা থেকে ছাত্র পরিষদের সদস্যরা মিছিল করে আসে ধরনামঞ্চে। এদিন ছাত্র পরিষদের সঙ্গে দায়িত্বে ছিল তৃণমূলের আইটি সেলও। ধরনামঞ্চে ছিলেন তৃণমূল রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, শশী পাঁজা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অরূপ বিশ্বাস, পার্থ ভৌমিক, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী, দোলা সেন, বিধায়ক দেবাশিস কুমার, অশোককুমার দেব বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, জয়প্রকাশ মজুমদার, জুন মালিয়া, ঋজু দত্ত, রাজন্যা হালদার, সার্থক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।

Latest article