নীল গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন বাংলা সাহিত্যে উত্তমকুমার। তাঁর জনপ্রিয়তা সিনেমার নায়কদের হার মানাত— এসব কথা আমরা সকলেই জানি৷ সুনীলদাকে যদি কেউ জিজ্ঞেস করত আপনি আপনার লেখার মাধ্যমে পাঠকদের কী দিতে চান? উনি সবসময়ই উত্তর দিতেন ‘আনন্দ’। এই আনন্দ ওঁর জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল। উনি ওঁর জীবনে, লেখায় খুব নিবিড়ভাবে বলতেন আনন্দ কর, জীবন সংক্ষিপ্ত, আনন্দ করে নাও যতটা পার।
আরও পড়ুন-সাগরে ৪০ হাজার বাড়িতে শীঘ্রই পৌঁছবে পানীয় জল
ওঁর লেখার কথা কে না জানে। কিন্তু ওঁর জীবন থেকেও বিস্তর শেখার ছিল আমাদের। কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা বাদ দিলে (সেসব ঘটনার কথা কখনও হয়তো লিখব কোনও স্মৃতিকথায়), সেইসব হাতে গোনা কয়েকটি ঘটনা যদি বাদ দিই তাহলে ওঁর জীবনটা একটা মডেল হতে পারে অনেকের কাছে। কীসের মডেল হতে পারে? কীভাবে বাঁচতে হয়, তার মডেল হতে পারে।
রবীন্দ্রনাথ রক্তকরবী নাটকে একটা কথা বলেছিলেন, বেঁচে থাকা আর টিকে থাকা আলাদা বিষয়। টিকে যে থাকে তাকে ঠিক বাঁচা বলে না, তার মুক্তি পেয়ে যাওয়াই মঙ্গল। জীবনটা বিধাতা আমাদের দিয়েছেন বাঁচার জন্যে, টিকে থাকার জন্যে নয়।
কিন্তু আমরা বাঁচতে আর পারি কতটুকু? আমরা টিকে থাকি। টিকে থাকার ক্লান্তি আমাদের কাজকর্ম, জীবনকে ছেয়ে ফ্যালে। সুনীলদা টিকে থাকতে চাননি৷ ওঁকে দেখেছিলাম বেঁচে থাকতে। বাঁচার মতন বাঁচা যাকে বলে৷
আরও পড়ুন-অগস্টে এক বছরে সর্বোচ্চ বেকারত্ব ভারতে, টুইট বার্তায় সরব সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস
ওঁর জীবনে প্রতিটি দিন ছিল দোল, প্রতিটি রাত ছিল দীপাবলি। ওঁর মেজাজ ছিল বেপরোয়া পায়রা ওড়ানো, বাজি পোড়ানো জমিদারের মতো। সমাজের নিয়মনীতিকে উপহাস করতেন এবং ওঁর জীবনে ‘কোনটা হারেম, কোনটা যে প্রেম’ সেকথা কোনও কোনও সন্ধেবেলা উনি ঘুলিয়েও ফেলতেন নিশ্চয় তবে রঙিন ফোয়ারায় মাতোয়ারা সেসব সন্ধ্যা যতই থাকুক, ওঁর জীবনে প্রেমের আসন ছিল একেবারে ওঁর হৃদয়ের পবিত্রতম স্থানটিতে। প্রেমের মর্যাদা ওঁর মূল্যবোধে ছিল অনেক উঁচুতে। একটি দুর্মর প্রেমিক-মন ছিল সুনীলদার৷ অতি পরিণত, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের এমন একটি প্রেমিক-মন ছিল যা বহুলাংশে ছেলেমানুষ! অপরিণত কিশোরের মতো।
আরও পড়ুন-উত্তম কুমারের জন্মদিবস উপলক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রদ্ধার্ঘ্য
এদিকে এই সুনীলই তাঁর কর্মক্ষেত্রে যুদ্ধপটু, তুখোড় কূটনীতিক, অতীব তীক্ষ্ণবুদ্ধিসম্পন্ন৷ শৃঙ্খলাপরায়ণ লেখক, লেখার রাজনীতি ওঁর থেকে ভাল সেইসময় খুব কম জনই বুঝতেন৷ সাবলীল নদীর স্বচ্ছ জলের মতো ছিল ওঁর লেখা কিন্তু ওঁর রাজনীতিবোধ ছিল চোরাবালির ঘূর্ণি। উনি যে কখন কেন কোন রাজনীতি, কোন কূটনীতি প্রয়োগ করতেন তা ওঁর ছায়াও জানতে পারত না অনেকসময়।
মৃত্যুর পরের লেখার বা কোনও কীর্তির অমরত্বে উনি একেবারেই বিশ্বাস করতেন না। বরঞ্চ ওঁর লেখা আর উক্তি থেকে এটা বারবার উঠে আসে উনি মৃত্যুর পরে পৃথিবীতে একটা নাম হয়ে থেকে যেতে চাননি। লিখেছেন ‘মরার পরে বইয়ের হলদে পাতায় নাম হয়ে থেকে কোনও লাভ নেই, আমার নিজের তো কোনও লাভ নেই বটেই। সে বই কে পড়ল, কী পোকায় খেল তাতে আমার কী? আমি তো আর তখন কোথাও নেই। আমি যা উপভোগ করতে পারব না সেসব নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই।’ ওঁকে যদি এরপর পাল্টা প্রশ্ন করা হত যে, ‘কিন্তু আপনার লেখা পড়ে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম অনুপ্রাণিত হোক আপনি চান না?’ তখন উনি কিছুটা উপহাসের সুরে বলতেন, ‘ওরে বাবা, সে তো সাংঘাতিক ব্যাপার। আমার তো অনেক দোষ, নিজেরই স্বভাবচরিত্র একেবারে গোল্লায় গেছে আমার লেখা পড়ে আবার মানুষ অনুপ্রাণিত হবে? ওসব নিয়ে সত্যি বলছি, আই ডোন্ট বদার। শোনো, আমি বাংলায় লেখা ছাড়া আর কিছু ভালভাবে পারি না তাই বাংলায় লিখি। সেই লেখার ভবিষ্যৎটবিষ্যৎ নিয়ে জীবনে ভাবিনি।’ এই ধরনের কথা সুনীলদা বহুবার বলেছেন, লিখেছেন। ওঁর কাজ, ওঁর পত্রিকা কৃত্তিবাস এসব ওঁর পরে কে দেখবে, কীভাবে চলবে এসব নিয়ে উনি মুহূর্তের জন্যেও ভাবেননি৷ ওঁর মতে, মৃত্যুর পরের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবাটা একটা ভাবালুতাভরা পাগলামি৷ বলতেন, ছেলে পড়াশোনায় ভাল, সে দাঁড়িয়ে গেছে। আমার পরে যা টাকা থাকবে স্বাতীর চলে যাবে, এগুলো আমার দায়িত্ব ছিল, এগুলো সব ঠিকঠাক হয়ে গেছে। আর কোনও চিন্তা নেই৷
আরও পড়ুন-ডায়মন্ড হারবারে এল ৩০০ টনের বেশি রুপোলি শস্য, ইলিশ নিয়ে ফিরল ট্রলার
একদিন এক নবীন সাংবাদিক ওঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘লেখক হিসেবে আপনার দায়বদ্ধতা কোথায়?’ উনি বললেন, ‘ভেবে দেখিনি৷ ভেবে লাভও নেই আর এখন ভাবতেও পারব না কারণ মদ খাবার সময় হয়ে গেছে, চলি কেমন।’ স্নব ছিলেন হাবেভাবে৷ খুবই স্বল্পভাষী ছিলেন৷ কতজন ওঁর বাড়ি যেতেন, ওঁর সঙ্গে সম্পর্কিত ছিলেন কিন্তু ওঁকে সহজে মনের কথা বলা যেত না। ওঁর মধ্যে এমন একটা ব্যক্তিত্ব ছিল যা নীরবে দূরত্ব তৈরি করতে পারত।
আরও পড়ুন-অনুভবে কুমোরটুলির প্রতিমাদর্শন দৃষ্টিহীনদের
দুর্মুখ ছিলেন কিছুটা। কেউ হয়তো ওঁর পড়ার ঘরে না-বলে ঢুকল অথবা ওঁর জিনিসপত্র ঘাঁটাঘাঁটি করল ক্ষেত্রবিশেষে সে কিন্তু মোক্ষম কথা শুনত। ‘তুমি জানো না কারুর বাড়িতে এসে না-বলে জিনিসপত্র ঘাঁটতে নেই? সহবত শেখোনি তুমি?’ তাঁর এই ধরনের কঠিন উক্তি বহুবার আমার কানে এসেছে। মানেননি চিকিৎসকের কোনও নিষেধ। মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগেও ব্লু লেবেল স্কচ পান করেছেন সান্ধ্য আসরে। তখন উনি মুম্বই থেকে কেমো নিয়ে ফিরেছেন সদ্য, তাঁর তখন একফোঁটা তেলমশলা খাওয়াতেও নিষেধ। তিনি অবশ্যই সেই নিষেধ মানেননি। সিগারেট ধরিয়েছেন। মদ্যপান জারি রেখেছেন। যাকে ফুডি বলে আমার মতে সুনীলদা সেটা ছিলেন না। বেশির ভাগ রাতে নামমাত্র আহার করতেন। তবে ঝাল খেতে খুব পছন্দ করতেন। ঝাল আর টক ছিল তাঁর প্রিয় স্বাদ। মিষ্টি ছিল দু-চক্ষের বিষ। বেশ কমই খেতে দেখেছি বেশিরভাগ সময়। তবে তাঁর পানীয় এবং সিগারেট সেবন ছিল মাত্রাতিরিক্ত। বেসামাল হতেন না, কিন্তু প্রতিটি দিন যে পরিমাণ পানীয় আর সিগারেট তাঁর চলত তা ভাবলে এখনও চমকে যেতে হয়।
আরও পড়ুন-বিরোধী দলনেতার মুখ পুড়ল সুপ্রিম কোর্টেও
বেপরোয়া ভাবে রঙিন একটা জীবন কাটিয়ে, সমাজের ভণ্ডামি নিয়ে বিদ্রুপ করতে করতে, কখনও নিজেকে নিয়েও মশকরা করতে করতে, প্রেম করতে করতে, ফুর্তির ফোয়ারা ছুটিয়ে, অসংখ্য বই লিখতে লিখতে একদিন সুনীলদা দিকশূন্যপুরে চলে গেলেন। গভীরভাবে ভেবে দেখলে তাঁর জন্য শোক করার কিছু নেই, যেভাবে চেয়েছিলেন সেভাবেই বেঁচেছিলেন তিনি। পূর্ণমাত্রায় বেঁচে ছিলেন হইহই করে। আমরা তো কোনওমতে টিকে আছি। তাঁর লেখা পড়ে, তাঁকে দেখে তাঁর মতো করে রঙিন বাঁচাটা এখনও শিখে উঠতে পারলাম না।
আরও পড়ুন-নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক ৭ই
একটি গল্পে উনি একবার লিখেছিলেন, ‘আয়না আমরা সবাই সবাইকে ভালবাসি’ এটা কিন্তু এমনি সার্বজনীন মানুষে মানুষে যে ভালবাসা সেই প্রসঙ্গে লেখেননি, লেখাটা ছিল এইরকম, প্রেমিকাকে প্রেমিক বলছে, ‘তুই তোর অন্য ছেলেবন্ধুকে ভালবাসতে পারিস, দু-একটা চুমু খেতে পারিস বা চুমুর পর আরও বেশিদূর যদি যাস তাতেই বা কার কী, তাতে আমার একটু হিংসে হবে, তবে একটুই হিংসে সেটা বেশি হিংসে নয়। আমিও আমার অন্য প্রেমিকাদের ভালবাসতে পারি। এমনকি তোর অন্য প্রেমিকরাও আমার অন্য প্রেমিকাদের ভালবাসতে পারে। আয় আমরা সবাই সবাইকে ভালবাসি। তাতে কারুর কোনও ক্ষতি নেই।’ প্রায়ই উনি প্রেমকে একেবারে মুক্তি দিতেন এইভাবে।
বহুবার লিখেছেন, বলেছেন যে উনি কখনও বিয়ে করতে চাননি। নীললোহিত যেমন অবিবাহিত সেইরকম থাকতে চাইতেন অল্প বয়স থেকে। ‘অর্ধেক জীবন’ নামে তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ‘প্রেম করছি ঠিক আছে, কিন্তু বিয়ের কথা ভাবতাম না৷ এদিকে স্বাতী নাম্নী যে বালিকার সঙ্গে তখন আমার প্রণয় চলছে সে একটি চিঠি লিখে আমায় জানিয়েছে যে সে আমাকে ছাড়া জীবনে আর কাউকেই বিবাহ করবে না। সমস্ত পাণিপ্রার্থীদের সে ফিরিয়ে দেবে। একথা জানার পরে আমাকে এগোতেই হোল।’
আরও পড়ুন-জলের অপচয় রুখতে পাইপে বসছে মিটার
জীবনে একটা প্রেমে জড়িয়ে বিয়ে করেছিলেন, তা নাহলে বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানটিকে কোনও ভক্তি-শ্রদ্ধা তিনি করতেন না৷ তাঁর প্রথমদিকের লেখায় নায়করা বিয়ে করত না, স্বাধীন মুক্ত জীবন কাটাত আর তাঁর শেষ জীবনের লেখায় নায়িকারা অনেক সময়ই বিয়ে করত না। কারুর বাঁকা কথা পরোয়া না-করে দারুণ উপভোগ করত জীবনটাকে। সেই নায়িকারা প্রেমে ধাক্কা খেয়ে বিয়ে না-করা নিরীহ দুঃখী দিদিমণি নয় তারা রীতিমতো রঙিন, প্যাশনেট, উচ্ছল নারী৷
মানুষের ‘নিজস্ব বিপ্লব’ তাঁর কাছে ছিল মুক্তির উপায়৷ কোনও সম্মিলিত অভ্যুত্থানের থেকে প্রতিটি মানুষের একার বিপ্লবকে তিনি বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করতেন৷ ‘কবির মৃত্যু— লোরকা স্মরণে’ কবিতায় ‘ইনক্লাব জিন্দাবাদ’ বলতে বলতে যখন শাসক প্রেরিত সেপাইরা লোরকাকে খুন করছে, তখনও সুনীলের লোরকা ভেবেছেন ‘মানুষের মুক্তি আসুক, বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক, প্রতিটি মানুষের নিজস্ব বিপ্লব’— এই যে ‘প্রতিটি মানুষের নিজস্ব বিপ্লব’ কথাটা লিখলেন এটাই সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সিগনেচার। প্রতিটি মানুষ তার একার শক্তিতে যতটা যেতে পারে সেই যাওয়াটা তাঁর কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল৷
আরও পড়ুন-হোয়াটসঅ্যাপে হবে সমাধান
সুনীলদাকে নিয়ে একটা বই লিখবার ইচ্ছে আছে আমার৷ তাঁর বাড়ি, তাঁর বাড়িতে রবিবারের বৈঠক, তুমুল বাক্বিতণ্ডায় যেসব বৈঠকের দিনে অনেক সময় কাক আর চিলেদের ছাদে বসতে বেশ সমস্যা হত, তারপর তাঁর মন্ত্রগুপ্ত রাজনৈতিক অবস্থান, তাঁর সরল কিশোরসুলভ প্রেমিক মন, ফুর্তিতে ভরপুর জমিদারি মেজাজ— এসব নিয়ে একটা বই লেখার ইচ্ছে সুপ্ত আছে আমার মনে।
তাঁর প্রশ্নাতীতভাবে মুক্ত, উদার একটা মন ছিল। তিনি দার্শনিক হতে চাননি। কিন্তু চার্বাক দর্শনের একটা প্রতিরূপ তিনি কলকাতাকে, শান্তিনিকেতনকে আর তাঁর পাঠকদের দেখিয়েছিলেন। ‘যাবৎ জীবেৎ, সুখং জীবেৎ।’ ‘ভাল থাকো, সুখে থাকো আর কী চাই।’ এই বার্তা তাঁর হাবেভাবে ফুটে উঠত। কিন্তু আমরা সেই ভাল থাকার পদ্ধতিটা কিছুতেই তাঁর কাছ থেকে শিখে নিতে পারিনি। এই প্রভাতে তিনি নেই, তাঁর লেখার প্রাণ, তাঁর জীবনের জৌলুস একদিন অসংখ্য মানুষকে মাতিয়ে রেখেছিল৷ সেইসময় তিনি এলে কলকাতার আসরগুলো আলোয় আলো হয়ে যেত৷ তাঁর জন্মদিনটা ছিল পাঠক, লেখক, কবিদের কাছে দারুণ খুশির একটি দিন৷ যেখানে তিনি যেতেন, সেখানে লাগত উৎসবের রং। তিনি নেই৷ তাঁর সঙ্গে তিনি তাঁর আসর রঙিন করা আলোটাও নিয়ে চলে গিয়েছেন৷ এখনকার আসরগুলোয় যে আলো জ্বলে সেগুলো বেশিরভাগই জোর করে জ্বালানো নিরুত্তাপ আলো। আসরগুলো ভেঙেও গিয়েছে তিনি চলে যাবার পর। ‘বুধসন্ধ্যা’ বলে বাংলা সাহিত্যবৃত্তের একটা ক্লাব তখন খুব চর্চার বিষয় ছিল। তিনি চলে যাবার পর ‘বুধসন্ধ্যা’ উঠে যায়। বন্ধুবৃত্তে সবাই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যায়৷
আরও পড়ুন-শিলিগুড়িতে নজরদারি প্রকল্প, শহরে ১০০ সিসিটিভি ক্যামেরা, মাদকাসক্তদের জন্য নবজীবন
তিনি যাবার পরে আসরগুলো বয়স্কদের চণ্ডীমণ্ডপ হয়ে গেল আর পার্টিগুলো হয়ে গেল শুধু জনসংযোগ বাড়ানোর মাঠ৷ উদ্দামস্ফূর্তি, সাবলীল আনন্দের সব প্রাণপ্রাচুর্যে ভরা আড্ডাগুলো হারিয়ে গেল চিরদিনের মতো৷