তিস্তার বিপর্যয়ে কালিম্পংয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের রিপোর্ট পাঠান হল নবান্নে

প্রসঙ্গত, ৪ অক্টোবরের তিস্তার বিপর্যয়ে উদ্ধার কাজ এখনও চলছে। জিটিএ প্রধান অনীত থাপা জানিয়েছেন, বহু মানুষ এখনও ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন।

Must read

গত কয়েক মাস ধরেই সংবাদ শিরোনামে সিকিম (Sikkim)। মেঘ ভাঙা বৃষ্টি এবং তিস্তার হড়পা বানের ফলে বিশাল পরিমাণ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল সিকিম। মৃত্যু হয়েছিল বহু মানুষের। ভেসে গিয়েছিল কয়েকশো ঘরবাড়ি। এ রাজ্যের কালিম্পংয়েও প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার জেরে কয়েক হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়েছিলেন। এবার নবান্নে পাঠানো হল কালিম্পং জেলা সংক্রান্ত প্রাথমিক রিপোর্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী কালিম্পং জেলায় তিস্তার হড়পা বানের ফলে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

আরও পড়ুন-মহারাষ্ট্রের রায়গড়ে ফার্মা কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত ৭

নবান্ন সূত্রে খবর, জেলা প্রশাসন এবং ‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (জিটিএ) ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে সমীক্ষা করেই প্রাথমিক রিপোর্টে সেটা উল্লেখ করেছে। বাড়িঘর, গাড়ি, দোকান সহ আরও বিভিন্ন ধরনের ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত রিপোর্ট আরেক দফায় জমা দেওয়া হবে। বুধবার জিটিএ’র সভায় এই রিপোর্ট পেশ করা হয়। এই রিপোর্ট সম্পূর্ণভাবে তৈরি করার পর কেন্দ্র এবং রাজ্যের কাছে এই সংক্রান্ত বিষয়ে আবেদন জানানো হবে।

আরও পড়ুন-কেরালায় ৫ বছরের মেয়েকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি

প্রসঙ্গত, ৪ অক্টোবরের তিস্তার বিপর্যয়ে উদ্ধার কাজ এখনও চলছে। জিটিএ প্রধান অনীত থাপা জানিয়েছেন, বহু মানুষ এখনও ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন। কালিম্পং ১ এবং লাভা ব্লক সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই দুটি ব্লকের ৩৩৯ টি বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। ৫১ টি বাড়ি আংশিকভাবে ভেঙে গিয়েছে। প্রথমে সরকারের ১০টি ত্রাণ শিবিরে ১,৮৩৪ জন আশ্রয় নিয়েছিলেন। এই মুহূর্তে, ৪০১ জন এই ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন। শুধু তাই নয়, এলাকার বিদ্যুৎ,পানীয় জল, স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলি দ্রুত চালু করার ব্যবস্থা করার প্রচেষ্টা চলছে। জোর কদমে পুনর্গঠনের কাজ চলছে। তিস্তার এই আকস্মিক বিপর্যয়ে কালিম্পংয়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্য সরকার তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। কালিম্পংকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতে রাজ্য সরকার ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে ।

Latest article