আলতামিরার বাইসন :
ইমোজির পূর্বসূরি
মারিয়ার বয়স তখন আট। ছোট্ট মেয়ে ছুটে বেড়াচ্ছে গুহার ভিতরে। বাবা সাওতুওলা গুহার মেঝে খুঁড়ে চলেছেন। হঠাৎ গুহার ছাদে একদল রঙিন বাইসনের ছবি দেখল মারিয়া। এক ছুটে বাবাকে ডেকে আনল। সাওতুওলা তো প্রথমে মারিয়ার কথার কোনও গুরুত্ব দিচ্ছিল না। পরে দেখল সত্যিই তো! আলতামিরা গুহার বাইসনের ওই ছবিগুলো তেলরঙের। তবে বাইসনের ছবিতে অদ্ভুতভাবে দেখতে পেল ছ’টি পা। তাদের বুঝতে অসুবিধা হল না যে বাইসন ছুটছে। তাদের শিকার করতে বেরিয়েছে একদল গুহামানুষ। তখনও মানুষ ‘হোমো সেপিয়ানস্’ হয়ে ওঠেনি। কথা বলতে শেখেনি। শুধু গুহার দেওয়ালে ছবি এঁকে বোঝাতে শিখেছে মনের কথা। সেদিনের আলতামিরা গুহার বাইসনের ওই ছবিগুলোই আসলে আজকের ইমোজির পূর্বসূরি। পুরো বাইসনটিকে কালো কালি দিয়ে আউটলাইন করা হয়েছে প্রথমে, তারপর রং করা হয়েছে, শেডিং করা হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় রঙ চেঁচে সরিয়ে ফেলে, নতুন করে রঙের উপর দাগ এনগ্রেভ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-সব্যসাচী লেখক বলাইচাঁদ
সেই থেকেই শুরু ছবির সাহায্যে মনের কথা বলা। আলতামিরা গুহার ছবিগুলোর বয়স ১৪০০০ বছরেরও বেশি। তখন চলছে বরফ-যুগের শেষ পর্ব। বিজ্ঞানীরা যাকে প্যালিওলিথিক বা প্রাচীন প্রস্তরযুগ বলেন। তখনও ভাষা পায়নি শব্দের সুনির্দিষ্ট মাধ্যম। নানা ইঙ্গিতে ভাব বিনিময় করত মানুষ। মুখে বর্ণময় ভাষা নেই, কিন্তু মনে কথা আছে। সেই কথা হয়ে উঠল ছবি। প্রকৃতি থেকে নেওয়া হল রং, গাছের ডালের তুলি, আর পাহাড়ের ছাদ ও দেওয়াল হল ক্যানভাস। মানুষের যোগাযোগের ইতিহাসে শুরু হল ছবির যুগ।
আরও পড়ুন-সুপ্রিম কোর্ট : দেশের কোনও নির্বাচনে স্থগিতাদেশ জারি বা হস্তক্ষেপের অধিকার নেই আদালতের
মুরগির মেটে আর লাল কাঁচালঙ্কা : হল্লা চলেছে যুদ্ধে
এরপর গুহা থেকে বেরিয়ে এল মানুষ। হয়ে উঠল হোমো সেপিয়ানস্। দল বেঁধে বসবাস করতে শিখল। নিজেদের যোগাযোগের জন্য তৈরি হল ভাষা। কিন্তু এ ভাষায় শব্দ নেই। আছে যোগাযোগের কিছু সীমিত চিহ্ন।
ফ্রান্স এবং স্পেনের সীমান্তে পিরেনিজ পর্বতের নিচে বেশ কিছু উপজাতি বাস করত। তাদের মধ্যে সব সময় সংঘাত লেগেই থাকত। তারা একে অপরের ভাষা বুঝতে পারত। যোগাযোগের জন্য ছিল কিছু আঞ্চলিক রূপক। একদিন সকালে এক উপজাতি দেখল, তাদের অঞ্চলে কয়েকটি পরিবারের মাঝখানে যে ফাঁকা উঠোন রয়েছে, সেখানে সকালবেলা একটি লাল কাপড়ে মোড়া অবস্থায় মুরগির মেটে আর লাল কাঁচালঙ্কা রেখে গেছে কেউ। ঘুম থেকে উঠে সবাই আতঙ্কিত। কারণ অনেকদিন পরে তারা আবার যুদ্ধের আমন্ত্রণ পেয়েছে। পাশের উপজাতিরা ‘চিকেন লিভার আর রেড চিলিস’ দিয়ে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। ইমোজির বহু আগে এভাবেই ব্যক্তির মনের কথা, গোষ্ঠীর মনের কথা প্রকাশ করেছে মানুষ। সেই পথ ধরেই ইমোজি এসেছে আমাদের কাছে।
আরও পড়ুন-বিচার ব্যবস্থার প্রতি পূর্ণ আস্থা ও সম্মান আছে তৃণমূল কংগ্রেসের
পুনর্মূষিক ভব
ভাষার শুরুই হয়েছে ছবি থেকে। সে-ছবি বদলেছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। রূপ পেয়েছে বর্ণমালার। এখন আবার সে-ছবিই হয়ে উঠেছে ভাষা। ভাব প্রকাশের মাধ্যম। প্রযুক্তি সব সেবাকেই সহজ করে দিচ্ছে। এখন মানুষের ভাব প্রকাশও সহজ হচ্ছে ইমোজির মাধ্যমে। অধিকাংশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই পরিষেবা রয়েছে। এমনকী অনেক প্রতিষ্ঠান এখন নতুন নতুন ইমোজি তৈরি করে অনলাইনে বিক্রিও করছে। কিন্তু পরিষেবাটি অনেকটা মোবাইল ডিভাইস-নির্ভর এবং সফটওয়্যার-নির্ভর হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন-৪৫ বছর টানা জয় মৃণালকান্তির
ফাস্টেস্ট গ্রোয়িং ল্যাংগুয়েজ
নাম তাঁর শিগোতাকা কুরিতা। ১৯৯৯ সালে এই জাপানি নকশাকার প্রথম ইমোজি নিয়ে কাজ করেন। তখন তিনি ১৭৬টি অতি ছোট ছবি এঁকেছিলেন। মাত্র তিন কিলোবাইট জায়গা নেওয়া এই ছবিগুলোতে প্রকাশ পেয়েছিল নানা অনুভূতি। জাপানি টেলিকম প্রতিষ্ঠান এনটিটি ডোকোমোর জন্য কাজটি করেছিলেন শিগোতাকা। তিনি বিশ্বাস করতেন, ‘১২ পিক্সেলের (১৪৪টি ডট) মধ্যে ১৭৬টি ভাবনা ফুটিয়ে তুলতে হবে যাতে মানুষ, জায়গা, অনুভূতি— সবই থাকবে। শিগোতাকা এই কাজটি করেছিলেন মাত্র পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে। নিজের অজান্তেই একটা নতুন ধারা চালু করে ফেলেন তিনি। ২০১১ সালে অ্যাপল তাদের আইওএস সিস্টেমের কি–বোর্ডে ইমোজি যোগ করেছে। তাদের দাবি, ইমোজি হল পৃথিবীর ‘ফাস্টেস্ট গ্রোয়িং ল্যাংগুয়েজ’। ২০১৩ সালে অক্সফোর্ড অভিধানেও ইমোজি শব্দটি জায়গা করে নেয়।
আরও পড়ুন-১৭ মাস বেতন নেই চন্দ্রযানের যন্ত্রাংশ উৎপাদনকারী সংস্থায়
জাপানি ভাষায় ই-মানে ছবি, মো-মানে লেখা, এবং জি-মানে চরিত্র। সহজ করে বললে, লেখা ও ছবিতে ফুটিয়ে তোলা চরিত্রই হল ‘ইমোজি’।
ইমোজিতে বাজিমাত
মোবাইল কমিউনিকেশনকে আরও ঝকঝকে করতে ইমোজির আবির্ভাব। এসএমএসে চট করে মনের ভাব প্রকাশ করার কাজেই শুরু হল এই পিকটোগ্রাফের ব্যবহার। শুরু থেকেই হিট ইমোজি। একে একে প্রায় সব মোবাইল কোম্পানিই ইমোজির প্রেমে পড়ল। শুরু হল ইমোজির বিবর্তন। সময় এগোচ্ছে, বদলে যাচ্ছে মোবাইল ফোন। ফিচার ফোন থেকে অ্যান্ড্রয়েড, আইফোন। এসএমএস থেকে হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp), টেলিগ্রাম (Telegram), ফেসবুক (Facebook), ইনস্টাগ্রাম (Instagram)। বাড়তে থাকল ইমোজির ব্যবহার। তৈরি হল একের পর এক মুখ, ইমোশন ও তার নানা ব্যবহার। এই সৃষ্টিকে সম্মান জানিয়েই ১৭ জুলাই দিনটিকে বিশ্ব ইমোজি দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
আরও পড়ুন-সুপ্রিম কোর্ট : দেশের কোনও নির্বাচনে স্থগিতাদেশ জারি বা হস্তক্ষেপের অধিকার নেই আদালতের
আজকাল প্লেনে হোক কিংবা ট্রেনে, নিমেষে কয়েক কোটি ইমোজির আদানপ্রদান হয়। প্রেম থেকে প্রত্যাখ্যান— সবেতেই বাজিমাত ইমোজির। আড়ালে আবডালে, ইমোজির বিকল্প কেউ নেই। মনের ভাব প্রকাশ করতে ওস্তাদ সে। মিষ্টি হাসি থেকে গোমড়ামুখো— সবরকম ইমোজিই বেশ ভালমতোই ব্যবহার হয়। ভারতে তবে সবথেকে বেশি ব্যবহার হয়, মুখবন্ধ স্মাইলি এবং রেড হার্ট। আলতামিরার বাইসন :
ইমোজির পূর্বসূরি
মারিয়ার বয়স তখন আট। ছোট্ট মেয়ে ছুটে বেড়াচ্ছে গুহার ভিতরে। বাবা সাওতুওলা গুহার মেঝে খুঁড়ে চলেছেন। হঠাৎ গুহার ছাদে একদল রঙিন বাইসনের ছবি দেখল মারিয়া। এক ছুটে বাবাকে ডেকে আনল। সাওতুওলা তো প্রথমে মারিয়ার কথার কোনও গুরুত্ব দিচ্ছিল না। পরে দেখল সত্যিই তো! আলতামিরা গুহার বাইসনের ওই ছবিগুলো তেলরঙের। তবে বাইসনের ছবিতে অদ্ভুতভাবে দেখতে পেল ছ’টি পা। তাদের বুঝতে অসুবিধা হল না যে বাইসন ছুটছে। তাদের শিকার করতে বেরিয়েছে একদল গুহামানুষ। তখনও মানুষ ‘হোমো সেপিয়ানস্’ হয়ে ওঠেনি। কথা বলতে শেখেনি। শুধু গুহার দেওয়ালে ছবি এঁকে বোঝাতে শিখেছে মনের কথা। সেদিনের আলতামিরা গুহার বাইসনের ওই ছবিগুলোই আসলে আজকের ইমোজির পূর্বসূরি। পুরো বাইসনটিকে কালো কালি দিয়ে আউটলাইন করা হয়েছে প্রথমে, তারপর রং করা হয়েছে, শেডিং করা হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় রঙ চেঁচে সরিয়ে ফেলে, নতুন করে রঙের উপর দাগ এনগ্রেভ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-চার গোলে জয় ডায়মন্ড হারবারের
সেই থেকেই শুরু ছবির সাহায্যে মনের কথা বলা। আলতামিরা গুহার ছবিগুলোর বয়স ১৪০০০ বছরেরও বেশি। তখন চলছে বরফ-যুগের শেষ পর্ব। বিজ্ঞানীরা যাকে প্যালিওলিথিক বা প্রাচীন প্রস্তরযুগ বলেন। তখনও ভাষা পায়নি শব্দের সুনির্দিষ্ট মাধ্যম। নানা ইঙ্গিতে ভাব বিনিময় করত মানুষ। মুখে বর্ণময় ভাষা নেই, কিন্তু মনে কথা আছে। সেই কথা হয়ে উঠল ছবি। প্রকৃতি থেকে নেওয়া হল রং, গাছের ডালের তুলি, আর পাহাড়ের ছাদ ও দেওয়াল হল ক্যানভাস। মানুষের যোগাযোগের ইতিহাসে শুরু হল ছবির যুগ।
আরও পড়ুন-প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি বাবা-মাকে উৎসর্গ করলেন যশস্বী
মুরগির মেটে আর লাল কাঁচালঙ্কা : হল্লা চলেছে যুদ্ধে
এরপর গুহা থেকে বেরিয়ে এল মানুষ। হয়ে উঠল হোমো সেপিয়ানস্। দল বেঁধে বসবাস করতে শিখল। নিজেদের যোগাযোগের জন্য তৈরি হল ভাষা। কিন্তু এ ভাষায় শব্দ নেই। আছে যোগাযোগের কিছু সীমিত চিহ্ন।
ফ্রান্স এবং স্পেনের সীমান্তে পিরেনিজ পর্বতের নিচে বেশ কিছু উপজাতি বাস করত। তাদের মধ্যে সব সময় সংঘাত লেগেই থাকত। তারা একে অপরের ভাষা বুঝতে পারত। যোগাযোগের জন্য ছিল কিছু আঞ্চলিক রূপক। একদিন সকালে এক উপজাতি দেখল, তাদের অঞ্চলে কয়েকটি পরিবারের মাঝখানে যে ফাঁকা উঠোন রয়েছে, সেখানে সকালবেলা একটি লাল কাপড়ে মোড়া অবস্থায় মুরগির মেটে আর লাল কাঁচালঙ্কা রেখে গেছে কেউ। ঘুম থেকে উঠে সবাই আতঙ্কিত। কারণ অনেকদিন পরে তারা আবার যুদ্ধের আমন্ত্রণ পেয়েছে। পাশের উপজাতিরা ‘চিকেন লিভার আর রেড চিলিস’ দিয়ে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। ইমোজির বহু আগে এভাবেই ব্যক্তির মনের কথা, গোষ্ঠীর মনের কথা প্রকাশ করেছে মানুষ। সেই পথ ধরেই ইমোজি এসেছে আমাদের কাছে।
আরও পড়ুন-মোহনবাগানরত্ন গৌতম
পুনর্মূষিক ভব
ভাষার শুরুই হয়েছে ছবি থেকে। সে-ছবি বদলেছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। রূপ পেয়েছে বর্ণমালার। এখন আবার সে-ছবিই হয়ে উঠেছে ভাষা। ভাব প্রকাশের মাধ্যম। প্রযুক্তি সব সেবাকেই সহজ করে দিচ্ছে। এখন মানুষের ভাব প্রকাশও সহজ হচ্ছে ইমোজির মাধ্যমে। অধিকাংশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই পরিষেবা রয়েছে। এমনকী অনেক প্রতিষ্ঠান এখন নতুন নতুন ইমোজি তৈরি করে অনলাইনে বিক্রিও করছে। কিন্তু পরিষেবাটি অনেকটা মোবাইল ডিভাইস-নির্ভর এবং সফটওয়্যার-নির্ভর হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন-গিনেসে রোনাল্ডো
ফাস্টেস্ট গ্রোয়িং ল্যাংগুয়েজ
নাম তাঁর শিগোতাকা কুরিতা। ১৯৯৯ সালে এই জাপানি নকশাকার প্রথম ইমোজি নিয়ে কাজ করেন। তখন তিনি ১৭৬টি অতি ছোট ছবি এঁকেছিলেন। মাত্র তিন কিলোবাইট জায়গা নেওয়া এই ছবিগুলোতে প্রকাশ পেয়েছিল নানা অনুভূতি। জাপানি টেলিকম প্রতিষ্ঠান এনটিটি ডোকোমোর জন্য কাজটি করেছিলেন শিগোতাকা। তিনি বিশ্বাস করতেন, ‘১২ পিক্সেলের (১৪৪টি ডট) মধ্যে ১৭৬টি ভাবনা ফুটিয়ে তুলতে হবে যাতে মানুষ, জায়গা, অনুভূতি— সবই থাকবে। শিগোতাকা এই কাজটি করেছিলেন মাত্র পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে। নিজের অজান্তেই একটা নতুন ধারা চালু করে ফেলেন তিনি। ২০১১ সালে অ্যাপল তাদের আইওএস সিস্টেমের কি–বোর্ডে ইমোজি যোগ করেছে। তাদের দাবি, ইমোজি হল পৃথিবীর ‘ফাস্টেস্ট গ্রোয়িং ল্যাংগুয়েজ’। ২০১৩ সালে অক্সফোর্ড অভিধানেও ইমোজি শব্দটি জায়গা করে নেয়।
জাপানি ভাষায় ই-মানে ছবি, মো-মানে লেখা, এবং জি-মানে চরিত্র। সহজ করে বললে, লেখা ও ছবিতে ফুটিয়ে তোলা চরিত্রই হল ‘ইমোজি’।
আরও পড়ুন-এক মৃত্যু ফিরিয়ে দিল সাতটি জীবন, সাক্ষী কলকাতা
ইমোজিতে বাজিমাত
মোবাইল কমিউনিকেশনকে আরও ঝকঝকে করতে ইমোজির আবির্ভাব। এসএমএসে চট করে মনের ভাব প্রকাশ করার কাজেই শুরু হল এই পিকটোগ্রাফের ব্যবহার। শুরু থেকেই হিট ইমোজি। একে একে প্রায় সব মোবাইল কোম্পানিই ইমোজির প্রেমে পড়ল। শুরু হল ইমোজির বিবর্তন। সময় এগোচ্ছে, বদলে যাচ্ছে মোবাইল ফোন। ফিচার ফোন থেকে অ্যান্ড্রয়েড, আইফোন। এসএমএস থেকে হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp), টেলিগ্রাম (Telegram), ফেসবুক (Facebook), ইনস্টাগ্রাম (Instagram)। বাড়তে থাকল ইমোজির ব্যবহার। তৈরি হল একের পর এক মুখ, ইমোশন ও তার নানা ব্যবহার। এই সৃষ্টিকে সম্মান জানিয়েই ১৭ জুলাই দিনটিকে বিশ্ব ইমোজি দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
আজকাল প্লেনে হোক কিংবা ট্রেনে, নিমেষে কয়েক কোটি ইমোজির আদানপ্রদান হয়। প্রেম থেকে প্রত্যাখ্যান— সবেতেই বাজিমাত ইমোজির। আড়ালে আবডালে, ইমোজির বিকল্প কেউ নেই। মনের ভাব প্রকাশ করতে ওস্তাদ সে। মিষ্টি হাসি থেকে গোমড়ামুখো— সবরকম ইমোজিই বেশ ভালমতোই ব্যবহার হয়। ভারতে তবে সবথেকে বেশি ব্যবহার হয়, মুখবন্ধ স্মাইলি এবং রেড হার্ট।