‘লড়াই হবে উন্নয়নের নিরিখে, ধর্ম ভাগাভাগির বিরুদ্ধে নয়’ নাড্ডাকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

বাংলায় এসে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সরকারকে বিজেপি-র (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda) আক্রমণ করেছে।

Must read

বাংলায় এসে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সরকারকে বিজেপি-র (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda) আক্রমণ করেছে। এর পরেই জবাব দিলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। রবিবার বিকেলে ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে রওনা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অভিষেক কেন্দ্রকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন,, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে আসুন। আমি রাজ্য সরকারের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে যাব। দেখি বাংলার জন্য কোন সরকার বেশি কাজ করেছে! এরপরেই তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, লড়াই হবে উন্নয়নের নিরিখে। ধর্ম-ভাগাভাগির বিরুদ্ধে নয়।’

আরও পড়ুন-ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার বার ডান্সারের ঝুলন্ত দেহ, গ্রেফতার লিভ ইন সঙ্গী

ফের একবার অভিষেক বলেন, বাংলা ভাগ হতে দেবে না রাজ্যের তৃণমূল সরকার। যতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছে বাংলা ভাগ হবে না। এরপরেই বিরোধীদের একযোগে আক্রমণ করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বলেন, রামধনু জোট হয়েছে। বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস হাত মিলিয়ে লড়েছে। এদিন বাংলায় এসেই নাড্ডা স্বীকার করে নিয়েছেন, এখানে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি সব আসনে প্রার্থী দিতে পারবে না। এই বিষয়ে বিরোধীদের সমর্থন চেয়েছেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সাভাপতি। এর উত্তরেই অভিষেক বলেন, রাজ্যে অনেকদিনই হাত মিলিয়েছে বিরোধীরা। পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে সমবায়- সব জায়গায় রামধনু জোট হয়েছে। অভিষেক বলেন, মানুষ আগেও বিরোধীদের পরিকল্পনা বানচাল করে দিয়েছেন, আগামী দিনেও করবেন।

আরও পড়ুন-‘ত্রিপুরায় তৃণমূল জিতলে মুখ্যমন্ত্রী হবেন ত্রিপুরার ভূমিপুত্র’, জানালেন কুণাল ঘোষ

বিরোধীদের কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, “আগে প্রার্থী ঠিক করুন। অসুবিধা হলে আমাকে বলুন। দায়িত্ব নিয়ে বলছি আমি প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেব। কিন্তু দেখে নিন কে, কোথায় দাঁড়াবেন। ক্ষমতা থাকলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক ভাবে, মানুষকে সংগঠিত করে লড়াই করুন।”

আরও পড়ুন-‘বাম-কংগ্রেস অশুভ শক্তির জোট’ ত্রিপুরায় মন্তব্য কুণাল ঘোষের

অভিষেকের অভিযোগ, “বিচারব্যবস্থার একাংশ, সংবাদমাধ্যমের একাংশ, ইডি, সিবিআই, কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে একজোট করে তৃণমূলকে আটকানোর চেষ্টা চলছে।”

Latest article