২৪ শয্যার সিসিইউ ইউনিটের পর কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ২০০ শয্যার নতুন ভবন গড়বে রাজ্য

সিসিইউ ইউনিটের জন্য আলাদা ভবন, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা-সহ প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তুলতে খরচ হয়েছে ১ কোটি টাকা।

Must read

সংবাদদাতা, কাঁথি : কাঁথি মহকুমা হাসপাতালকে ঢেলে সাজার উদ্যোগ নিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। পরিকাঠামোগত উন্নয়ন বাড়ানোর পাশাপাশি ২৪ শয্যাবিশিষ্ট সিসিইউ ইউনিট চালু-সহ নানা ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে সাজিয়ে তোলা হবে মহকুমা হাসপাতালটিকে। সিসিইউ ইউনিটের জন্য আলাদা ভবন, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা-সহ প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তুলতে খরচ হয়েছে ১ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন-উপাচার্যর বিরুদ্ধে অভিযোগ করায়, নোটিশ অধ্যাপককে

রোগীর চাপ কমাতে এবার হাসপাতাল চত্বরে আরও একটি ২০০ শয্যাবিশিষ্ট ভবন গড়ে তোলা হবে। নবজাতক শিশুদের জন্মগত ত্রুটির চিকিৎসায় হাসপাতালে গড়ে তোলা হবে ডিস্ট্রিক্ট আর্লি ইন্টারভেনশন সেন্টার। এরকম বেশ কিছু পরিকাঠামো গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে হাসপাতালের নতুন রূপ দেওয়া হবে। ফলে রোগী ও পরিজনেরা উপকৃত হবেন। বর্তমানে এই হাসপাতালে ৩০০ শয্যা রয়েছে। কাঁথি ছাড়াও এগরা মহকুমার একটি অংশের মানুষও এই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল। দিঘা, মন্দারমণি-সহ অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রে বেড়াতে আসা পর্যটকরা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ভরসা এই মহকুমা হাসপাতাল। মা ও শিশুদের চিকিৎসার জন্য এখানে পৃথক ‘মাতৃমা’ ভবন গড়া হয়েছে। সেখানে সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট চালু হয়েছে।

আরও পড়ুন-রাস্তা মেরামতির জন্য বিধাননগরকে ৮০ কোটি

৬ শয্যার হাইডিপেন্ডেন্সি ইউনিটও চালু হয়েছে। আউটডোর পরিষেবা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন বিভাগ নিয়ে আলাদা বিশালাকার ভবন আছে। সম্প্রতি কাঁথি পুরসভার সহায়তায় স্বল্পমূল্যে আশ্রয়স্থল চালু করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেখানে খাট-সহ বিছানা, পানীয় জল, স্নানাগার, শৌচালয় মাত্র ৩০ টাকায় রোগীর পরিজনরা ব্যবহার করতে পারেন। সংলগ্ন ‘মা’ ক্যান্টিনে আছে ৫ টাকায় খাবারের ব্যবস্থা। রয়েছে স্বল্পমূল্যে পানীয় জলের ব্যবস্থা। হাসপাতালে সৌন্দর্যায়নে হয়েছে ফুলের বাগান, ফোয়ারা। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে সিসিইউ চালু করতে পর্যাপ্ত মেডিক্যাল অফিসার, নার্স, টেকনিশিয়ান, গ্রুপ-ডি কর্মী প্রয়োজন।

আরও পড়ুন-এশিয়াডে প্রজ্ঞাদের নিয়ে আশায় আনন্দ

সেগুলি মিটলেই ইউনিটটি চালু করে দেওয়া যাবে। সুপার অরূপরতন করণ বলেন, হাসপাতালে রোগীদের প্রবল ভিড় থেকে মুক্তি পেতে ২০০ শয্যার অতিরিক্ত ভবন গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেখানে প্রতিটি বিভাগের আলাদা ওয়ার্ড থাকবে। পাশাপাশি পুরুষ ও মহিলাদের ৫টি করে শয্যাবিশিষ্ট ইমারজেন্সি ওয়ার্ড গড়ে তোলা হবে। ইতিমধ্যে ভবন নির্মাণের ব্যাপারে স্বাস্থ্য দফতরের অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। পূর্ত দফতরকে কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, নবজাতক শিশুদের জন্মগত ত্রুটি, যেমন পায়ের গন্ডগোল, হার্টের ভালভের অসুখগুলিকে মাতৃমা ভবনের উপরে একটি ভবনে (ডিআইইসি সেন্টার) নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চিহ্নিতকরণের পর ‘শিশুসাথী’ প্রকল্পের মাধ্যমে কলকাতায় সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।

Latest article