এর নামই মোদি জমানার সবকা বিকাশ! বিমান ভাড়াকেও টপকে গেল এবার রেল

একাধিকবার দুর্ঘটনা-প্রাণহানি, নিম্নমানের খাবার, বেচে দেওয়া হচ্ছে স্টেশনও

Must read

প্রতিবেদন : কথায় বলে বিমান (Airfare) চড়ে পয়সাওয়ালারা। মোদি জমানায় ট্রেনে চড়াও দায় হয়ে উঠেছে আমজনতার। কারণ দ্বিতীয় শ্রেণির (এসি) টিকিটের দাম পৌঁছে গিয়েছে ৯,৩৯৫ টাকা। সেইসঙ্গে স্লিপার কোচ কমে দাঁড়িয়েছে ৫৪ শতাংশে। ২০১৪-র আগে অর্থাৎ মোদি সরকার ক্ষমতায় আাসর আগে যা ছিল ৭৩ শতাংশ। এই পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট দেশে পয়সাওয়ালা ছাড়া বাকিদের জন্য কোনও কিছুই আর সরকারের দায় নয়। একটা সময় রেল পরিষেবা ছিল ভারতবর্ষের গর্বের বিষয়। আমজনতার লাইফ লাইন। নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত এমনকী পয়সাওয়ালারাও গর্ব অনুভব করতেন। আর মোদির সবকা সাথ-সবকা বিকাশের ঠেলায় দেশে পয়সাওয়ালা ব্যবসায়ী ছাড়া আমজনতার কাছে রেল এখন অধরা হয়ে উঠেছে। অনেকেই মশকরা করে বলছেন, এর থেকে সস্তার বিমানযাত্রা করা অনেক সহজ। দ্বিতীয় শ্রেণির এসি কোচের একটি টিকিটের দাম যদি ৯,৩৯৫ টাকা হয় তাহলে চার কিংবা পাঁচজনের পরিবারের একপিঠের রেল সফরের খরচ দাঁড়ায় প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা। এর সঙ্গে রয়েছে আনুষঙ্গিক খরচ। অথচ বাস্তব অভিজ্ঞতা বলে তিন মাসে আগে কেউ বিমানের টিকিট কাটলে এর থেকে অনেক কম খরচে সফর করতে পারবে। সব দেখে-শুনেও চুপ প্রধানমন্ত্রী। ভারতীয় রেল মোদি-জমানায় গরিমা হারিয়েছে অনেকটাই। রেল রক্ষণাবেক্ষণের ন্যূনতম কাজ হয় না। তা না হলে পরপর এতগুলো ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় কয়েকশো মানুষের প্রাণ যেত না। দীর্ঘদিন ধরেই রেলের খাবারের মান পড়েছে। অথচ দফায় দফায় বেড়েছে টিকিটের দাম। বন্দে ভারতের মতো দেখনদারির ট্রেনের উদ্বোধন করে মোদি সরকার ভারতের বিকাশ তুলে ধরতে চেয়েছে দেশবাসীর কাছে। টাকা তুলতে বেসরকারি সংস্থার কাছে বেচে দিয়েছে স্টেশনও। কিন্তু দেশের লাইফলাইন রেলের জন্য যে বাজেট বরাদ্দ থাকা উচিত তার ছিঁটেফোঁটাও নেই। কায়দা করতে গিয়ে রেল বাজেটটাও তুলে দিয়েছে মোদি সরকার। গর্বের ভারতীয় রেল কবেই যে বিজেপির রেল হয়ে গিয়েছে টের পাননি আমজনতা। বছরে একবার বা দু’বার সপরিবার ভ্রমণ করতে গিয়ে টিকিট (Airfare) কাটার সময় আঁতকে উঠছে মধ্যবিত্ত চাকুরে বা নিম্নমধ্যবিত্তরা। অজান্তেই তাঁরা বলে উঠছেন, এই কী বিকাশের নমুনা! এ জন্যেই ভোট দেওয়া?
রেলের প্রতি এই চূড়ান্ত অবহেলা, উদাসীনতা, বড়লোকি চাল নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমল কংগ্রেস। দলের স্পষ্ট বক্তব্য, দেশবাসীর পাহারাদার বলে নিজেকে মসিহা ঘোষণা করা প্রধানমন্ত্রী ব্যস্ত নিজের ব্র্যান্ডিং করতে। ভোট বাজারে চমকের রাজনীতি এখন তার তুরুপের তাস। মিথ্যে প্রতিশ্রুতি শুনতে শুনতে দেসবাসীর কাছে তথাকথিত মোদিঝড় বলে আর কিছু নেই। দেশের মানুষ বুঝে গিয়েছেন এই সরকার থাকলে একদিকে মূল্যবৃদ্ধি-বেরোজগারি-সহ ধর্মের জিগিরই সার হবে। আসল কাজটি হবে না।

আরও পড়ুন- আহমেদাবাদে বিশ্বকাপ ফাইনাল ‘বন্ধ’ করার হুমকি খালিস্তানি জঙ্গি নেতার

Latest article