বাংলার কুটিরশিল্প এবং বিশ্ববাণিজ্যের মেলবন্ধন, পুরীর বঙ্গনিবাসে গ্রামীণ স্থাপত্য

পুরীতে রাজ্য সরকারের অতিথিশালা ‘বঙ্গনিবাস’-এর নকশাতেও মুখ্যমন্ত্রীর সৃজনশীল ভাবনার প্রতিফলন।

Must read

সৌম্য সিংহ: পুরীতে রাজ্য সরকারের অতিথিশালা ‘বঙ্গনিবাস’-এর নকশাতেও মুখ্যমন্ত্রীর সৃজনশীল ভাবনার প্রতিফলন। গ্রাম বাংলা এবং নগর-সংস্কৃতির যেন এক চোখজুড়ানো মিলনস্থল। দিগন্তবিস্তৃত সমুদ্রের নীল আর বঙ্গনিবাসের সবুজ প্রাঙ্গণ মিলেমিশে একাকার হয়ে যাওয়ার প্রতীক্ষায়। প্রায় ৮৫ কোটি টাকার এই অত্যাধুনিক প্রকল্পের কাজ শুরু হতে চলেছে খুব তাড়াতাড়ি।

আরও পড়ুন-বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা খতিয়ে দেখবে শিক্ষা দফতর, অনুমোদন বাতিলের তদন্তের নির্দেশ

দু’বছরের মধ্যেই বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নির্মাণের কাজ চলবে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। কাজের দায়িত্ব বর্তেছে রাজ্য পূর্ত দফতরের উপরে। লক্ষণীয়, এই অতিথিশালার জন্য জায়গা পছন্দ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। কিছুদিন আগে ওড়িশা সফরের সময় চূড়ান্ত হয়েছিল বিষয়টা। ভুবনেশ্বরে জননেত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছিল ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পটনায়কের। ২ একর জমি দিয়ে বাংলার প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন নবীন। প্রস্তাবিত অত্যাধুনিক অতিথিশালার নাম ‘বঙ্গনিবাস’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই দেওয়া।

আরও পড়ুন-ভ্রাতৃদ্বিতীয়া কোনও ধর্মীয় উৎসব নয়

পূর্তমন্ত্রী পুলক রায় বললেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ামাত্রই আমরা দ্রুত কাজ শুরু করছি। অনুমোদন পেয়েছে চূড়ান্ত নকশা। মোট ২,৩১,৩৭২ বর্গফুট জায়গা জুড়ে তৈরি হচ্ছে এই অত্যাধুনিক অতিথিশালা। সবমিলিয়ে রেসিডেন্সিয়াল ইউনিটের সংখ্যা ১০৩। আপাতত খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৮৫ কোটি টাকা। এখানে একদিকে থাকবে বিষ্ণুপুরের রাসমঞ্চের স্থাপত্যের অনুকরণ, অন্যদিকে থাকবে প্রাচীন শহুরে স্থাপত্যের প্রতিফলন। ফুটে উঠতে পারে গ্রামবাংলার ধানের গোলার আদলও। দেখা যাবে বিশ্ববাংলার হাত ধরে গ্রাম-বাংলার কুটিরশিল্প এবং বিশ্ববাণিজ্যের মেলবন্ধন। অতিথিশালায় থাকবে দুটো ব্লক। দক্ষিণ দিকে ভিভিআইপি এবং ভিআইপি ব্লক। এখানে সবমিলিয়ে রেসিডেন্সিয়াল ইউনিটের সংখ্যা ৩৫।

আরও পড়ুন-উসকানির দায় কেন নেবে না সিপিএম ও এক শ্রেণির মিডিয়া

উত্তরের ব্লক অন্যান্যদের থাকার জন্য। এখানে ইউনিট সংখ্যা মোট ৬৮। রেস্তোরাঁ, কিচেন, ব্যাঙ্কোয়েট, প্যান্ট্রি, কনফারেন্স রুম, সবই একেবারে হাতের কাছেই। একদিকে দিগন্ত বিস্তৃত সাগর, অন্যদিকে সবুজের সমারোহ। উত্তর আর দক্ষিণের মাঝে চোখ জুড়ানো উদ্যান। অবিরত চলছে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে অক্সিজেন নির্গমণের পালা। হ্যাঁ, থাকছে গাড়ি রাখার জায়গাও। থাকার খরচ কিন্তু পুরীর অনেক বিলাসবহুল হোটেল কিংবা রিসর্টের থেকে অনেকটাই কম। সবমিলিয়ে এক ব্যতিক্রমী ভাবনার অত্যাধুনিক প্রতিফলন।

Latest article