দু’বার দেশের সেরার শিরোপা পেয়েছে বীরভূম জেলা

Must read

মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ নজরে বীরভূম (Birbhum)। কারণ বাম জমানায় পিছিয়ে ছিল এই জেলা। উন্নয়নে দু’দুবার কেন্দ্রীয় সরকার দেশে সেরার স্বীকৃতি দিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষ নজরে বীরভূম (Birbhum) জেলা। বাম আমলে একেবারে পিছিয়ে ছিল এই জেলা। সারা দেশের মধ্যে কাজের নিরিখে দু’দুবার কেন্দ্র সরকারের কাছ থেকে পুরস্কার ছিনিয়ে নিয়েছে বীরভূম জেলা পরিষদ। সেই জেলা পরিষদের দু’বারের বিদায়ী সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে ইলামবাজারে জেলা পরিষদের ১৩ নং আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রাস্তা : পিএমজিএসওয়াই: ৩০২ কিমি রাস্তা তৈরি হয়েছে। খরচ ২৮.৬৪ কোটি। আরআইডিএফ ২৭-২৮ (২২-২৩ অর্থবর্ষে) কুড়িটি রাস্তা। মোট ৯১.৪৮ কিমি রাস্তা। খরচ ৫৫.৩০ কোটি। এফসি: ৩৯টি স্কিম ধরা হয়। ১২.৮০ লক্ষ খরচ। পথশ্রী ৩০১টি রাস্তা। দৈর্ঘ্য ৪৪২ কিমি। খরচ ১৩৫.৩৩ কোটি।
ব্রিজ : নলহাটি আরওবি, গুনুটিয়া ব্রিজ, লাঘাটা ব্রিজ, ইলামবাজারে দ্বিতীয় ব্রিজ, জয়দেবে অজয় নদের উপর নির্মীয়মাণ সেতু জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করেছে।
পরিবেশ দূষণ : সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট (২২-২৩ অর্থবর্ষে) ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬০টি গ্রামে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ শুরু হয়েছে। লিক্যুইড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট (২২-২৩ অর্থবর্ষে) কাজ শুরু হয়েছে ৪১১টি গ্রামে।
পানীয় জল : ঘরে ঘরে পরিস্রুত পানীয় জল। ২৫০টি প্রকল্প চলছে ১১৫ এফসি: পানীয় জলের জন্য ৭৪টি স্কিম ধরা হয়। মোট ৯৬০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে।
সুস্বাস্থ্য নির্মাণ কেন্দ্র : জেলায় মোট ২১টি হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার। ৩১৬ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে। ব্লক প্রাইমারি হেলথ ইউনিট ২০টি। খরচ ৯০১ লক্ষ টাকা। ৭২টি সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র। যার মধ্যে সম্প্রতি ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এবং পরিবার কল্যাণ দফতরের অধীন বড়শাল সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র ন্যাশনাল কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স স্ট্যান্ডার্ডে যোগ্য বিবেচিত হয়েছে।
সরকারি পরিষেবা : ১০,৯৫,৬৪৮টি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেওয়া হয়েছে। কিসান ক্রেডিট কার্ড (২২-২৩ অর্থবর্ষে) নতুন কার্ডের বাইরে ৫২০২২টি কার্ডের পুনর্নবীকরণ হয়েছে। কৃষকবন্ধু (২২-২৩ অর্থবর্ষে) ৪,৯৯,৪২২ জনকে কৃষকভাতা দেওয়া হয়েছে। কৃষক সম্মাননিধি (২২-২৩ অর্থবর্ষে) ২,১০,১৬৫ জনকে প্রদান করা হয়েছে। বাংলা শস্যবিমা: (২২-২৩ অর্থবর্ষে) রবিশস্যের জন্য ৩৫,৫৪৮ এবং খারিফ শস্যের জন্য ১,৪৮,৪৭৫ জন উপকৃত হন। অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ স্কলারশিপ (২২-২৩ অর্থবর্ষে) ৫০৫২০ জনকে শিক্ষাশ্রী স্কলারশিপ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও ৩৪৩৮৬ জনকে অন্যান্য স্কলারশিপ দেওয়া হয়েছে। সবুজসাথীতে ৪,৯৭,৮৭২ জনকে সাইকেল প্রদান করা হয়েছে। জাতিগত শংসাপত্র (২২-২৩ অর্থবর্ষে) ২,৭৩,৭৪০ জনকে প্রদান করা হয়েছে। জয়বাংলা পেনশন স্কিমে (২২-২৩ অর্থবর্ষে) তফসিলি বন্ধু ৫৭৯৯২ জন এবং জয় জোহর ৫,৯৭০ জন এবং অন্যান্য ২৩,০৭৪ জনকে দেওয়া হয়েছে। রূপশ্রী ৬৮,০৩০ জনকে দেওয়া হয়েছে। ২২-২৩ অর্থবর্ষে কন্যাশ্রী কে ওয়ান ৯৯,৬৪১ জনকে, কন্যাশ্রী কে টু ২১,৩৬৫ জনকে দেওয়া হয়েছে। আইসিডিএস ৫,১৯১ কেন্দ্র চালু আছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেয়েছেন ৮,৪৫,৮৬৪ জন উপভোক্তা। বিএসকে গ্রামীণ মানুষের কাজের সুবিধার জন্য ১৯৭টি চালু আছে। ৪৬,৮৩,৯০৪টির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এমজিএনআরইজিএ: কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ না পাওয়া সত্ত্বেও ২৯,৬৫,৬০৮ শ্রমদিবস সৃষ্টি হয়েছে। যার গড় ২৭.০৫ শ্রমদিবস। খরচ ৭,৫১ লক্ষ টাকা। আবাস যোজনায় ২০১৬-১৭ থেকে ২০২১-২২ পর্যন্ত ২,৩৮,৪৪৪ পরিবারকে গৃহনির্মাণে সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ৫৯,৭২৫ জনকে অনুমোদন দেওয়া সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ বন্ধ থাকায় প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া সম্ভব হয়নি। সংখ্যালঘু দফতরের ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ (২২-২৩ অর্থবর্ষে) ২,৫৬,৩০০ জনকে দেওয়া হয়েছে। টার্ম লোন (২২-২৩ অর্থবর্ষে) ৯৮৫০ জনকে দেওয়া হয়েছে।
কর্মতীর্থ জেলায় ২৮টি চালু আছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠী (২২-২৩ অর্থবর্ষে) ৫২৯০টি তৈরি হয়েছে। ৫২,৯৪১ গোষ্ঠীকে ১,৪০৫ কোটি ও রিভলভিং ফান্ড দেওয়া হয়েছে ৫৭৬৪টি গোষ্ঠীকে মোট ৮৬৪ লক্ষ টাকা।

আরও পড়ুন- নিউটাউন থানায় এফআইআর অভিযোগকারিণীর

Latest article