কেন্দ্রের বঞ্চনায় সরব দুই মন্ত্রী জবাব দেবেন বাংলার মানুষ, বীরভূম-হাওড়ায় কুৎসার জবাব

দেশের বিরোধীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। নইলে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ৯৫ শতাংশ কেস কেন বিরোধী দলের বিরুদ্ধে থকবে।

Must read

প্রতিবেদন : বীরভূম ও হাওড়ায় উপচে পড়া জোড়া সভায় বিরোধীদের কুৎসার জবাব দিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও ডাঃ শশী পাঁজা। দু’জনেই মঙ্গলবার বীরভূমের মুরারই এবং হাওড়ার শিবপুর সদরের সম্মেলনে তুলোধোনা করেন বিজেপিকে। একদিকে রাজ্যের ন্যায্য টাকা আটকে রাখা, অন্যদিকে এজেন্সি রাজনীতির বিরুদ্ধে সরব হন দুই মন্ত্রী ও সভায় উপস্থিত অন্যান্য সাংসদ-বিধায়করা। চৈত্রের প্রচণ্ড দাবদাহ উপেক্ষা করেও দুই সভায় নজরকাড়া ভিড় ছিল।

আরও পড়ুন-‘মানুষ যাঁকে সার্টিফিকেট দেবে তাঁকে প্রার্থী করবে তৃণমূল’, বাঁকুড়া থেকে বার্তা অভিষেকের

শশী পাঁজা বলেন, রাজ্যে গোলমাল পাকানোর ছক কষছে বিজেপি। উন্নয়নকে রুখে দেওয়ার চেষ্টা করছে তারা। কিন্তু ওদের এই চক্রান্ত সফল হবে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্য জুড়ে যে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে তাও আরও দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে চলবে। শত চেষ্টা করেও রাজ্যের উন্নয়ন আটকাতে পারবে না ওরা। তাঁর কথায়, এই রাজ্যের বিজেপির বিধায়ক ও সাংসদদের জিজ্ঞাসা করছি, তাঁরা মানুষের পরিশ্রমের টাকা কেন আটকে রাখতে বলছেন? কেন মানুষের প্রাপ্য টাকা দিয়ে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছে দাবি জানাচ্ছেন না? নাম না করে এদিন লোডশেডিং বিধায়ককে একহাত নিয়েছেন মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তিনি বলেন, মিরজাফর গিয়েছে, তাই দলে শান্তি আছে এখন। যত অশান্তির কারণ ছিলেন তিনি। আজকে যে এক শান্তিনিষ্ঠ তৃণমূল পরিবার দেখছেন, তার কারণ দলে মেদিনীপুরের মিরজাফর নেই। মঙ্গলবার মুরারই পশুহাট থেকে নাম না করে এভাবেই বিরোধী দলনেতাকে তীব্র আক্রমণ করলেন নৈহাটির বিধায়ক তথা সেচ ও জলপথ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। মুরারইয়ের একই মাঠে বিরোধী দলনেতা সোমবার জনসভা করেন। মঙ্গলবার সেখানেই তৃণমূলের পাল্টা জনসভায় বহুগুণ মানুষের সমাগমে তিলধারণের জায়গা ছিল না। পার্থ বলেন, এই বিশ্বাসঘাতকের সঙ্গে মিরজাফরের কোনও পার্থক্য নেই, তাঁকে কেউ চিনত না। হাতে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলের কাছে পরিচয় করিয়ে দেন। এই বেইমান-কুলাঙ্গার বঙ্গ রাজনীতির কলঙ্ক।

আরও পড়ুন-রাজ্যে মিড ডে মিলের দুর্নীতির অভিযোগের পাল্টা প্রতিক্রিয়া ব্রাত্য বসুর

দেশের বিরোধীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। নইলে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ৯৫ শতাংশ কেস কেন বিরোধী দলের বিরুদ্ধে থকবে। এতেই বিজেপির উদ্দেশ্য স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। বিজেপিকে তোপ মন্ত্রী শশী পাঁজার। সম্মেলনে সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, বিজেপি যতই চক্রান্ত করুক সফল হবে না। দুয়ারে সরকারের মধ্যমে মানুষের বাড়িতে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে গেছে। উন্নয়নকে আটকাতে পারবেনা বিজেপি। ওদের এই অপচেষ্টার জবাব আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে আরও একবার পেয়ে যাবে বিজেপি। সম্মেলনে হাওড়া সদরের একাধিক বিধায়ক সহ তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনের আগে কামারডাঙা থেকে তৃণমূলের হাওড়া সদর কার্যালয় পর্যন্ত একটি পদযাত্রাও হয়।

আরও পড়ুন-পাঞ্জাবের ভাটিন্ডা মিলিটারি স্টেশনে গুলি, নিহত চার

কেন্দ্রীয় বন্চনার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, অত্যাচারী শাসক হিটলারকে ২৪ সালে যদি দিল্লি থেকে সরাতে না পারি তাহলে আমাদের জীবনে অন্ধকার নেবে আসবে। এদিন মুরারইয়ের সভায় ছিলেন পাণ্ডবেশ্বর বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরি এবং বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়।

Latest article