অসম্মানিত হতে পারেন, উপাচার্যরা অবিলম্বে ইস্তফা দিন : ব্রাত্য বসু

কালিদাস হয়ে যাচ্ছেন রাজ্যপাল। গাছের যে ডালে বসে আছেন তা নিজেই কাটছেন। প্রশাসন চালাতে যে দক্ষতার প্রয়োজন হয় তা রাজ্যপালের নেই।

Must read

প্রতিবেদন : কালিদাস হয়ে যাচ্ছেন রাজ্যপাল। গাছের যে ডালে বসে আছেন তা নিজেই কাটছেন। প্রশাসন চালাতে যে দক্ষতার প্রয়োজন হয় তা রাজ্যপালের নেই। যাদবপুরের সমাবর্তন নিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে এভাবেই তুলোধোনা করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। যেভাবে রাজ্যপাল উপাচার্যকে অপসারণ করেছেন তা আইনের পরিপন্থী বলেও এদিন জানান তিনি।

আরও পড়ুন-কুণালের সঙ্গে বৈঠকে এসে বিস্ফো.রক দাবি করলেন চাকরিপ্রার্থীরা, ২৭ লক্ষ নিয়ে প্রতা.রণা বিকাশের

রাজ্যপালের তুঘলকি কার্যকলাপের জেরে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল যাদবপুরের সমাবর্তন। তবে সব বাধা সরিয়ে রবিবার সুষ্ঠুভাবে শেষ হয় সমাবর্তন। যদিও এদিনের অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, ইউজিসির চেয়ারম্যান। ডিগ্রি প্রদান করেন সহ-উপাচার্য। সমাবর্তনের আগের দিন রাতেই অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে অপসারণ করেন রাজ্যপাল। কিন্তু উপাচার্য না থাকলে সমাবর্তন হতে পারে না। তাই উচ্চশিক্ষা দফতর রবিবারের জন্য বিশেষ ক্ষমতা দিয়েছিল অন্তর্বর্তী উপাচার্যকে।

আরও পড়ুন-সুরে ভাসবে তিলোত্তমা, ২৫-এ শুরু সঙ্গীতমেলা

রবিবার সমাবর্তনের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোর্ট মিটিং শুরু হয়। সেই বৈঠকে দুই পক্ষের চিঠিই পেশ করা হয়। তারপর ভিসির উপস্থিতিতে নির্ধারিত সময়ের কিছু পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপেন এয়ার থিয়েটারে শুরু হয় সমাবর্তন। সেখানে যদিও পৌরোহিত্য করেন রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। সহ-উপাচার্য অমিতাভ দত্ত পড়ুয়াদের হাতে তুলে দেন শংসাপত্র। আগাগোড়া পাশেই ছিলেন বুদ্ধদেব সাউ। এদিন সমাবর্তন চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের একাংশ বিক্ষোভে শামিল হয়। এর প্রতিবাদে শংসাপত্র নিলেন না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএমসিপির সভানেত্রী রাজন্যা হালদার। এদিকে যেভাবে সমাবর্তনের আগের দিন রাতে উপাচার্যকে অপসারণ করল রাজভবন, তা একেবারেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরিপন্থী বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

আরও পড়ুন-পর্তুগিজ চার্চে প্রার্থনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, পাশে ডেরেক

তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, কোনও উপাচার্যকেই রাজ্যপাল বরখাস্ত বা নিয়োগ করতে পারবেন না। চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে এই কথা। সেক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কেউই বরখাস্ত হননি। ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা ভাবতে চাই। উনি যা করছেন তা উচ্চশিক্ষার জন্য ভয়াবহ। ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎকে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে পরিকল্পনামাফিক।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে অগ্রাহ্য করছেন রাজ্যপাল। আমি বাকি উপাচার্যদের বলব তাঁরাও গলাধাক্কা খেতে পারেন। আমি অনুরোধ করব ওদের মুখের উপর পদত্যাগপত্র ছুঁড়ে দিন। এরপর রাজ্যপালকে তীব্র কটাক্ষ করে ব্রাত্য বসু বলেন, উনি প্রোমোশন চাইছেন। উপরাষ্ট্রপতি না হলেও যাতে সমতুল্য কোনও পদ পাওয়া যায় সেই চেষ্টাই উনি করছেন। প্রশাসন চালাতে যে দক্ষতার প্রয়োজন হয় এই রাজ্যপালের নেই। নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা এক আশ্চর্য মানুষ তিনি। ওঁর বিদায় আসন্ন।

Latest article