জিএসটি ক্ষতিপূরণে কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতি.বাদে সরব চন্দ্রিমা

রাজ্যে অনলাইন গেম, লটারি, ঘোড়দৌড়ের মতো খেলায় পণ্য পরিষেবা কর জিএসটির হার বাড়ছে।

Must read

প্রতিবেদন : রাজ্যে অনলাইন গেম, লটারি, ঘোড়দৌড়ের মতো খেলায় পণ্য পরিষেবা কর জিএসটির হার বাড়ছে। গত জুলাই মাসে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ ধরনের খেলায় করের হার বেড়ে হচ্ছে ২৮ শতাংশ। এই মর্মে রাজ্য জিএসটি আইনের একটি সংশোধনী বিল বৃহস্পতিবার সর্বসম্মতিক্রমে বিধানসভায় গৃহীত হয়েছে।

আরও পড়ুন-জাতীয় সঙ্গীতকাণ্ডে তৃণমূলের স্পষ্ট বার্তা, বিজেপি বিধায়কদের প্রশ্রয় দিচ্ছে আদালত

বিলের উপর আলোচনা শেষে জবাবি ভাষণে অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, কাউন্সিলের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ-সহ কয়েকটি রাজ্যের জোরদার সওয়ালেই নানা ধরনের জুয়া ও অনলাইন গেমে জিএসটির হার বাড়িয়েছে কেন্দ্র। কারণ অনলাইন গেমে তরুণ প্রজন্মের আসক্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার। রাজ্যের অর্থ দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য-সহ একাধিক রাজ্যের অর্থমন্ত্রী এসব ক্ষেত্রে ২৮ শতাংশ হারেই জিএসটি চাপানোর পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। সেই দাবি মেনে অনলাইন গেমিং, ক্যাসিনো এবং ঘোড়দৌড়ে ২৮ শতাংশ হারে কর চাপানোর বিষয়ে জুলাই মাসে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জিএসটি পরিষদ।

আরও পড়ুন-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সূর্যরা ডারবানে

সেইমতো বিভিন্ন রাজ্যে জিএসটি আইনের সংশোধনী পাশ করানো হয়। অর্থমন্ত্রী জানান, ১ অক্টোবর থেকেই নতুন হারে কার্যকর করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে। অর্থমন্ত্রী জানান, এ-রাজ্যে রাজ্যপালের অনুমোদনের জন্য বিলটি আটকে থাকার কারণে এখানে বর্ধিত হারে কর চালু করা যায়নি। তবে এক্ষেত্রে নতুন আইন তৈরি হওয়ার পরে পয়লা অক্টোবরকে ভিত্তি তারিখ হিসেবে ধরে ওই সময় থেকেই লটারি, অনলাইন গেমস, ঘোড়দৌড়ে বর্ধিত হারে জিএসটি কার্যকর করা হবে। আলোচনা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে সংশোধনীটি বিধানসভায় গৃহীত হয়। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে এদিন অর্থমন্ত্রী জিএসটি ক্ষতিপূরণে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরব হন। তিনি জানান, ওই খাতে রাজ্যের ২১০০ কোটি টাকা রয়েছে। কিন্তু তার মধ্যে ৪৬৭ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সরকার এখনও পর্যন্ত দেয়নি।

Latest article