বিশ্বকর্মার বরপুত্রীরা

আজ বিশ্বকর্মা পুজো। তিনি ছিলেন দেবতাদের ইঞ্জিনিয়ার। কথিত আছে, বিশ্বকর্মা না কি লঙ্কা নগরীর নির্মাণ করেছিলেন। আবার গড়েছিলেন বিশ্বভুবন। তাই ইঞ্জিনিয়ার বা প্রকৌশলী মানেই তাঁর মতোই শক্তসমর্থ পুরুষ, এটাই প্রচলিত ধারণা। কিন্তু ইতিহাস খুঁজলে দেখা যাবে মহিলা ইঞ্জিনিয়ার কিছু কম নেই সেই তালিকায়। সেই প্রাক-স্বাধীনতার যুগ থেকেই তাঁরাও বিশ্বকর্মারই বরপুত্রী। লিখেছেন শর্মিষ্ঠা ঘোষ চক্রবর্তী

Must read

বিজ্ঞান যদি হয় তত্ত্বমূলক অগ্রগতি তাহলে ইঞ্জিনিয়ারিং মানে তারই ব্যবহারিক প্রয়োগ। সেই প্রয়োগ খুব সহজ আধ্যাত্মিক,বিষয় নয়। ইঞ্জিনিয়ার মানেই কঠিন, পরিশ্রমসাধ্য একটি পেশা। তাই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো একটি ক্ষেত্রে শুধু পুরুষেরই ছিল একচ্ছত্র আধিপত্য। মেয়েরা ইঞ্জিনিয়ার হবে! সে কেমন কথা! মেয়ে মানেই নরম সরম তাই পারিবারিক ঘেরাটোপই তাঁদের একমাত্র জায়গা। এই যুগ-যুগান্তের ইতিহাস স্রোতের বিরুদ্ধে যেতে হলে লড়াই করতে হয়েছে একজন নারীকে। একটা সময় স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে উচ্চশিক্ষার দোরে পা রাখারও অনুমতি ছিল না তাঁদের। কিন্তু সেই নারীই নিজের দায়িত্বে এবং কৃতিত্বের মান্ধাতার ধারণার পরিবর্তন ঘটিয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হলেও নারীর মনোজগতের স্বাধীন চিন্তা-চেতনার পালে হাওয়া লেগেছিল তারও বেশ কিছু আগে।

আরও পড়ুন-মহালয়ায় মাতৃরূপে প্রথমবার ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত

ভারত তার প্রথম মহিলা ইঞ্জিনিয়ারকে পেল ১৯৪৪ সালে। একজন নয়, একেবারে তিনজন, যাঁর মধ্যে অন্যতম হলেন কেরলের খ্রিস্টান পরিবারের মেয়ে পি কে থ্রেসিয়া। থ্রেসিয়ার সঙ্গে একই সময় পাশ করেছিলেন আরও দু’জন মহিলা এ. লালিথা এবং লেমাম্মা জর্জ। এই তিনজনেই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ অফ গুইন্ডি(সিইজি)তে পড়াশুনো করতেন। থ্রেসিয়া ছিলেন সিভিল এবং এ. লালিথা ইলেকট্রিক্যালে।
মাত্র পনেরো বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল এ. লালিথার। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময় লালিথা ততদিনে স্বামীকে হারিয়েছেন এবং এক সন্তানের মা। লড়াই ছিল তাঁর জীবনের সঙ্গী। ঠিক করেই নিয়েছিলেন ইঞ্জিনিয়ার হবেন। ওই সময় প্রথম মহিলা ইঞ্জিনিয়ার, যিনি ১৯৬৪  সালে নিউইয়র্কে প্রথম এবং কেমব্রিজে দ্বিতীয় ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অফ উইমেনস ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড সায়েনটিস্ট(ICWES)-এ অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ছিলেন ব্রিটিশ উইমেন ইঞ্জিনিয়ারিং সোসাইটির নির্বাচিত সদস্যা। পাশাপাশি কেরলের মেয়ে পি কে থ্রেসিয়া সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে তাঁর গোটা কর্মজীবনে বানিয়েছিলেন ৩৫টি ব্রিজ, হাসপাতাল বিল্ডিং ও অনেককিছু। তাঁদের ইতিহাসটা তখনই লেখা হয়ে গিয়েছিল। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পাশ করা থ্রেসিয়া পিডব্লুডি-র অধীনে কাজ করেন। নিষ্ঠা ও দক্ষতার জোরে একসময় তিনি হন পিডব্লুডি-র প্রথম মহিলা চিফ ইঞ্জিনিয়ার। শুধু ভারতের নয়, গোটা এশিয়ার প্রথম মহিলা চিফ ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন-প্রেমিক শরৎচন্দ্র

সালটা ১৯৪৫। স্বাধীনতা উত্তর পর্বে যখন তৈরি হচ্ছিলেন ব্রিটিশ ভারতবর্ষের প্রথম টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার। যাঁর নাম রাজলক্ষ্মী রেড্ডি। রক্ষণশীল ব্রাহ্মণ পরিবারের মেয়ে রাজলক্ষ্মীর পক্ষে সহজ ছিল না ওই সময় দাঁড়িয়ে এমন একটা পেশা নির্বাচন করা। কিন্তু অদম্য জেদ এবং অধ্যবসায় তাঁকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
দক্ষিণ ভারতের মাদ্রাজ, বর্তমানে চেন্নাইয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ(সিইজি) গুইন্ডির কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং প্রথম চালু করল টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স। ওই সময় রাজলক্ষ্মী ওই কলেজেরই ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তি হন। কিন্তু সম্পূর্ণ নতুন এই ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সটি চালু হওয়ার পরেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং-ই পড়বেন। আসলে সবসময় নতুন কিছু, মৌলিক কিছু করে দেখানোর ইচ্ছে তাঁকে তাড়িয়ে বেড়াত তাই এক মুহূর্তেও দেরি না করে ভর্তি হয়ে যান টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং-এ। এর পরবর্তীতে রাজলক্ষ্মী ব্যাঙ্গালোরে টেলিফোন ইন্ডাস্ট্রিতে জয়েন করেন কিন্তু সেখানে বেশিদিন ছিলেন না। কারণ আরও বড় কিছু অপেক্ষা করছিল তাঁর জন্য। তিনি ডাক পেলেন দিল্লি অল ইন্ডিয়া রেডিও থেকে। সেখানে সাউন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে জয়েন করেন। AIR-এ কাজ করতে গিয়ে দেশের সেইসময়কার বহু নামী ব্যক্তিত্বের সান্নিধ্যে আসেন যার মধ্যে ছিলেন পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু, লতা মঙ্গেশকর প্রমুখরা। এরপর নাগপুর অল ইন্ডিয়া রেডিওতে নিযুক্ত হন। পরবর্তীকালে তিনি হয়েছিলেন হায়দরাবাদ কমলা নেহরু পলিটেকনিক ফর উইমেনের প্রিন্সিপাল। সেখানে তিনি অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং আর্কিটেকচার, কম্পিউটার  সায়েন্স ইত্যাদি কোর্সের সঙ্গে গার্মেন্টস টেকনোলজি কোর্সটিকেও চালু করেন। জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায়ে তিনি আবার অল ইন্ডিয়া রেডিওতে ছিলেন এবং সেখান থেকে অ্যাসিস্ট্যান্ট স্টেশন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে অবসর নেন। এরপর হায়দরাবাদেই প্রতিষ্ঠা করেন লক্ষ্মী ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট যেখানে নানাধরনের ভোকেশনাল ট্রেনিং করানো হত।

আরও পড়ুন-লৌকিক উৎসবের এক মহাযজ্ঞ রান্নাপুজো  

এতো গেল স্বাধীনতার আগের কথা। স্বাধীন হওয়ার পরেও এই দেশ তথা রাজ্য পেয়েছে বাংলার প্রথম মহিলা ইঞ্জিনিয়ার এবং ভারতের প্রথম মহিলা মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ইলা মজুমদারকে। তিনি শিবপুর বিই কলেজের প্রথম ছাত্রী। ভারতের প্রথম মহিলা যিনি দেরাদুনের অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিতে ভারী যন্ত্রাংশ তৈরির বিভাগে কাজ করেছেন। কলকাতার প্রথম (ভারতের দ্বিতীয়) মহিলা পলিটেকনিক কলেজের প্রতিষ্ঠাতা। বাংলাদেশের ঢাকা শহরে প্রথম মহিলা পলিটেকনিক কলেজের স্থাপিত হয় ইলা মজুমদারের তত্ত্বাবধানে। এছাড়া বাঙালি ইঞ্জিনিয়ারদের তালিকায় রয়েছে আর বেশ কিছু নাম, যেমন রাজেশ্বরী চট্টোপাধ্যায়, যিনি ছিলেন কর্নাটকের প্রথম মহিলা ইঞ্জিনিয়ার এবং বাংলার প্রথম মহিলা কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার।

আরও পড়ুন-মেট্রো ডেয়ারি মামলা খারিজ

আর একজনের কথা না বললেই নয়, তিনি ভিনিতা গুপ্তা। রুরকি ইউনিভার্সিটি, অধুনা যার নাম পরিবর্তিত হয়ে হয়েছে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, রুরকি থেকে ইলেকট্রনিক্স এবং কমিউনিকেশন নিয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রি গ্রহণ করেন। ১৯৭৪ আমেরিকায় চলে যান এবং সেখানে ইউনিভার্সিটি অফ কালিফোর্নিয়াতে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশুনো করেন। আমেরিকাতেই প্রতিষ্ঠা করেন ডিজিটাল লিঙ্ক কর্পোরেশন, বর্তমানে যার নাম (কুইক ঈগল নেটওয়ার্ক)। তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রথম কোনও মহিলা যিনি বিদেশে তাঁর কোম্পানি শুরু করেন।

আরও পড়ুন-কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, ডেঙ্গু রোধে সিঙ্গাপুরের চিকিৎসা চান

সাফল্য জাতপাত, চেহারা, লিঙ্গ দিয়ে আসে না। সাফল্য আসে কঠোর পরিশ্রমে। যেখানে পুরুষ এবং নারী বলে কিছু হয় না। একজন নারীও চাইলে সবটাই পারে। সে পারে হাওয়ায় ভর করে মহাকাশেও পাড়ি দিতে। যেমন দিয়েছিলেন অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কল্পনা চাওলা। তিনিই হয়েছিলেন প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা যিনি মহাকাশ পাড়ি দেন। কার্নালে জন্ম কল্পনার। চণ্ডীগড়ের পাঞ্জাব ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ব্যাচেলরস ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। এরপরে ১৯৮২ সালে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন মহাকাশ প্রকৌশলে ডাবল মাস্টার্স এবং পিএইচডি অর্জনের জন্য।

আরও পড়ুন-চলতি মাসেই খুলে যাচ্ছে ভুটান গেট

প্রথম অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি পান পাঞ্জাব ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করে ১৯৮৮ সালে কলরডো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডক্টরেট করেন ওই বছরেই নাসায় কাজ শুরু করে দেন। ১৯৯৫ তে নাসা কল্পনাকে মহাকাশচারী হিসেবে বেছে নিয়েছিল। প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৯৮ সালে প্রথম আকাশে ওড়ার সুযোগ পান। তাঁর স্বপ্নের উড়ান আকাশে থেমে যায় ২০০৩ সালে।
ঠিক কল্পনার মতোই উড়ানের স্বপ্ন দেখতেন  ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রথম মহিলা ইঞ্জিনিয়ার ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট হিনা জয়সওয়াল। তিনিই দেশের প্রথম মহিলা ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট এবং ইঞ্জিনিয়ার। চণ্ডীগড়ের বাসিন্দা হিনা। হিনার বাবা ডি কে জয়সওয়াল আর মা অনিতা জয়সওয়াল। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান হিনা। ছোটবেলা থেকেই তাঁর সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা।

আরও পড়ুন-আজ বিশ্বকর্মার আরাধনা, বাংলায় শিল্পের নবজোয়ার, শিল্পশহর দুর্গাপুর ফিরে পেয়েছে প্রাণ

২০১৫  সালে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাশ করেন হিনা। শুক্রবার নিজের কোর্স সম্পূর্ণ করে অপারেশনাল হেলিকপ্টার ইউনিটে যোগ দেন তিনি। ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের জন্য ২০১৪ সালেই বেছে নেওয়া হয় হিনাকে। এই কোর্স আইএএফের ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রাঞ্চে ৫ জানুয়ারি ২০১৫ সালে শুরু করেন হিনা। এর আগে এয়ার মিসাইল স্কোয়াড্রোনের জন্য ফ্রন্টলাইন সারফেসে কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। রীতিমতো পুরুষদের মতোই কঠিন ট্রেনিংয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয় তাঁকে।
বেঙ্গালুরুর ইয়ালাহাঙ্কা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ১১২ নম্বর হেলিকপ্টার ইউনিটের ফ্লাইট লেফটেন্যান্টের ভূমিকাও দীর্ঘদিন পালন করেন।

আরও পড়ুন-সেরা পারফরমারের স্বীকৃতি কাটোয়ার বিজ্ঞানীর

সম্প্রতি বিশ্বের দরবারে বাংলার আর এক উজ্জল জ্যোতিষ্ক সমুদ্রবিজ্ঞানী ড. কোয়েনা মুখোপাধ্যায়। সমুদ্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে গবেষণার জন্য ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে এবছর পুরস্কৃত হচ্ছেন তিনি। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের মেয়ে কোয়েনা। প্রতি দু’বছর অন্তর ফ্রান্সের ব্রেস্ট শহরে সমুদ্র বিজ্ঞান সম্পর্কিত বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কনফারেন্সের আয়োজন করে ক্যাম্পাস মন্ডিয়াল দে লা মের। এই কনফারেন্সে সমুদ্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে যে দশজন মহিলা বিজ্ঞানীকে সম্মানিত করা হবে তাঁদের মধ্যে একজন কোয়েনা।
ছোট থেকেই মেধাবী কোয়েনা রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুল থেকে বিজ্ঞান নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর হলদিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে ইন্সট্রুমেন্টেশন ও কন্ট্রোল বিষয়ে বি টেক এবং এনআইটি হামিদপুর থেকে এম টেক করেন। ২০১৬ সালে আইআইটি দিল্লি থেকে পিএইচডি শেষ করেন।

আরও পড়ুন-রঘুনাথপুর শিল্পাঞ্চলে মাতোয়ারা শ্রমিকেরা

কোয়েনার গবেষণা রোবোটিকসের উপর, রোবোটিকস আন্ডার ওয়াটার। ডুবোজাহাজ নয়, শুধুমাত্র রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্য নিয়ে কীভাবে সমুদ্রের নিচে যাতায়াত করা যায়। সমুদ্রের নিচে মাছ জলের গতির বিরুদ্ধে যাতায়াত করে, এই বিষয়টা মাথায় রেখেই তিনি গবেষণা চালাচ্ছেন।


প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় সংখ্যা বাদ দিলেও এদেশে প্রথিতযশা মহিলা ইঞ্জিনিয়ারদের অভাব নেই। যাঁদের মধ্যে অন্যতম কিছু নাম হল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার প্রিয়া বালসুব্রহ্মণ্যম, যিনি এইমুহূর্তে পৃথিবীর অন্যতম সংস্থা অ্যাপেল আইফোন অপারেশনস-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত। বিশ্বাস করেন জীবন বাঁচা উচিত নিজের শর্তে। আঁচল গুপ্তা যিনি এই মুহূর্তে রয়েছেন ফেসবুকের সিকিউরিটি ডিরেক্টর পদে। ফেসবুকে জয়েন করার আগে তিনি দায়িত্বভার সামলেছেন মাইক্রোসফট স্কাইপের চিফ ইনফরমেশন সিকিউরিটি অফিসার হিসেবেও। তাঁর জীবনের ঝুলিতেও রয়েছে বহু কৃতিত্ব। ইলেকট্রিক্যাল, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার রুচি সাংভি। রুচি প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে ফেসবুকে চাকরি পেয়েছিলেন। রয়েছেন আরও অনেক নারী, যাঁরা গৌরবান্বিত করেছেন এই মাতৃভূমিকে।

Latest article