পথের পাঁচালী (১৯৫৫)
পরিচালনা : সত্যজিৎ রায়
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে, অস্কারজয়ী চিত্র পরিচালকের প্রথম ছবি, ‘পথের পাঁচালী’। গল্পে দুর্গাপুজো এসেছে খুব স্বাভাবিক ছন্দে। গ্রামবাংলার দুর্গাপুজোকে পর্দায় দেখা ওই প্রথম। আর পুজোকে কেন্দ্র করে দর্শক পেয়েছিল বুকে মোচড় দেওয়া কিছু দৃশ্য। নিশ্চিন্দপুর গ্রামের দারিদ্রপীড়িত দুটি বালক-বালিকা, অপু ও দুর্গার চোখ দিয়েই দুর্গাপুজোকে দেখিয়েছিলেন প্রতিথযশা পরিচালক। ওই প্রথম পুজোয় বাড়ির মানুষের বাড়ি ফেরার প্রতীক্ষা কাকে বলে তা দেখে চোখ ভিজেছিল দর্শকের। পরিচালক এ-ও দেখিয়েছিলেন কীভাবে ধনী-দরিদ্রের বিভেদ সাময়িক ঘুচে যায় এই দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করেই। কচিকাঁচাদের আনন্দ-সহ রায়বাড়ির দুর্গোৎসবের সামান্যই কয়েকটি ঝলক ছিল কিন্তু প্রত্যেকটিই একাত্ম করেছিল পর্দা ও বাস্তবকে। তবে এসব সত্ত্বেও আজও ‘পথের পাঁচালী’র অমর দৃশ্যপট হয়ে আছে পুজো নয়, পুজোর অনুষঙ্গ, দিগন্ত জোড়া কাশবন আর সেই কাশবনের মধ্যে দিয়ে দুই বালক-বালিকার দে-দৌড়!
আরও পড়ুন-গান ভালবেসে গান
দেবী (১৯৬০)
পরিচালনা : সত্যজিৎ রায়
প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের ‘দেবী’ গল্প অবলম্বনে এই ছবিটি বানিয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়। যদিও এই ছবির জন্য তাঁকে সে-সময় যথেষ্ট সমালোচনার সামনে পড়তে হয়েছিল। টাইটেল কার্ড প্রদর্শনের সময় থেকেই এখানে মা দুর্গার মূর্তি গড়ে ওঠা দেখানো হয়েছে যা নামের সঙ্গে ভীষণ সঙ্গতিপূর্ণ। মায়ের সাবেকি মৃন্ময়ী মূর্তির ধীরে ধীরে পূর্ণতা পাওয়া শুরুতেই ছবির আবহ তৈরি করে দেয়। এ-ছাড়া ধুমধাম-সহ দুর্গোৎসব উদযাপনও দেখানো হয়েছে ছবিতে। গল্প গড়ে উঠেছিল একটি স্বপ্নদৃশ্যকে কেন্দ্র করে। শ্বশুর কালীকিঙ্কর স্বপ্নে দেবীরূপে দেখেছিলেন তাঁর কনিষ্ঠ পুত্রবধূ দয়াময়ীকে, যে চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন শর্মিলা ঠাকুর। এরপর পুত্রবধূকে সাক্ষাৎ দেবীর অংশ রূপে পুজো করতে শুরু করেন কালীকিংকর। ধীরে ধীরে তাঁর এই অন্ধবিশ্বাস ও আচরণের প্রভাব পড়তে থাকে পরিবারে এবং ক্রমশ ছারখার হতে থাকে সব। সাধারণ একটি মেয়ের জীবন বয়ে চলে অন্যখাতে। ছবি বিশ্বাস, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, শর্মিলা ঠাকুরের দুর্দান্ত অভিনয়ে সমৃদ্ধ ছিল এই ছবি। শর্মিলার সেই দেবী রূপ আজও মানুষের মনে গেঁথে আছে। আরও ছিলেন অনিল চট্টোপাধ্যায়, ছবি বিশ্বাস, করুণা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো দাপুটে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা।
আরও পড়ুন-পুজো যেভাবে দেখলেন রবীন্দ্রনাথ
অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি (১৯৬৭)
পরিচালক : সুনীল বন্দ্যোপাধ্যায়
এক পর্তুগিজ সাহেবের বাংলা গান ও বাংলার সংস্কৃতিকে ভালবাসার পরিণামের গল্প এই ছবি। অ্যান্টনি হেন্সম্যান নামের এই সাহেব কবিগানে ছিলেন অত্যন্ত দক্ষ। এতটাই যে বাঙালি কবিয়ালরা টক্করে তাঁর সঙ্গে এঁটে উঠতে পারছিলেন না। ফলে তিনি হয়ে ওঠেন সকলের চক্ষুশূল। কিন্তু পিছু হঠতে নারাজ ছিলেন অ্যান্টনি। মূলত কবিগান ছবির বিষয় হলেও এ ছবিতে দুর্গাপুজো এসেছে গল্পের টানেই। পর্তুগিজ সাহেব তাঁর ভালবাসার মন রাখতে আয়োজন করেছিলেন দুর্গাপুজোর। কিন্তু বিধর্মীর পুজো মেনে নেয়নি তৎকালীন সমাজের মাথারা। ছবিতে অ্যান্টনির ভূমিকায় উত্তমকুমারের অনবদ্য অভিনয় আজও সমান জনপ্রিয়। সঙ্গে ছিলেন তনুজাও।
আরও পড়ুন-এবার পুজো মাতাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর অ্যালবাম
জয় বাবা ফেলুনাথ (১৯৭৯)
পরিচালনা : সত্যজিৎ রায়
এই ছবির পুরোটাই দুর্গাপুজো কেন্দ্রিক। কাশীর ঘোষালবাড়ির ঠাকুরদালানে প্রতিমা গড়া হচ্ছে। প্রতিমা গড়ছেন বৃদ্ধ শশী পটুয়া। আর কাজের ফাঁকেই গল্প করছেন বাড়ির সবচেয়ে ছোট সদস্য রুক্মিণীকুমার ওরফে রুকুর সঙ্গে। শশীবাবুর মুখ থেকেই শোনা যায়, দুর্গাপুজোর পৌরাণিক কাহিনি। সহজ সরল ভাষায় রুকুকে বলার সঙ্গে সঙ্গে পরিচালক যেন দর্শককেও সবটা আরেকবার ঝালিয়ে দেন! শুধু তা-ই নয়, গল্পের সঙ্গেও দুর্গা প্রতিমার সরাসরি যোগসূত্র তৈরি করেন লেখক-পরিচালক। সব মিলিয়ে দুর্গাপুজোর আবহ ছিল ছবির সিংহভাগ জুড়ে।
আরও পড়ুন-বন্ধ কল্যাণীর টুইন টাওয়ার
হিরের আংটি (১৯৯২)
পরিচালনা : ঋতুপর্ণ ঘোষ
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে ঋতুপর্ণ ঘোষের প্রথম ছবি। ছবির পুরো নেপথ্য জুড়েই ছিল দুর্গাপুজো। তবে লেখক এবং পরিচালক তাঁদের স্বকীয়তার ছাপ রেখেছিলেন প্রতি পরতে। উৎসবের আয়োজন, জাঁকজমক, পারিবারিক মিলন এ-সবের পাশাপাশি টানটান এক রহস্য দানা বাঁধছিল যা সব বয়সি দর্শকের জন্যই ছিল দারুণ উপভোগ্য। এক দুর্গাপুজোয় রতনলালবাবুর বাড়িতে উপস্থিত হয় গন্ধর্বকুমার। নিজেকে সে রতনলালের পৈতৃক সম্পত্তির উত্তরাধিকারী বলে দাবি করে। এই সম্পত্তির মধ্যেই ছিল মহামূল্য একটি হিরের আংটি। পরে ধরা পড়ে সে আসল গন্ধর্বকুমার নয়ই। তার আংটি চুরির উদ্দেশ্য ও তা চরিতার্থ করার রহস্য নিয়েই ছিল ছবির গল্প। বসন্ত চৌধুরি, মুনমুন সেন, অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন ছবিতে।
আরও পড়ুন-পুজোয় মাতবেন ভুটানের নাগরিকেরা
উৎসব (২০০০)
পরিচালনা : ঋতুপর্ণ ঘোষ
‘উৎসব’ ছবির মূল ভিত্তিই দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে পারিবারিক রি-ইউনিয়ন। দেশের বাড়িতে মা থাকেন। ছেলেমেয়েরা থাকে বাইরে বাইরে। একমাত্র পুজোর সময়েই সকলের বাড়ি ফেরা। একত্র হওয়া। আনন্দোৎসবের মাঝেও চলতে থাকে সম্পর্কের টানাপোড়েন। চোরাস্রোত বইতে থাকে বন্ধ দরজার ওপারে। একইসঙ্গে বাড়ি প্রোমোটারের হাতে তুলে দেওয়া নিয়ে চলে পরিকল্পনা। প্রেম-অপ্রেম-গোপন প্রেম এ নিয়েও দ্বন্দ্ব চলে। সবটা মিলে ‘উৎসব’-এর আড়ালে চলে নানা ওঠাপড়া। বাড়ির বড় মেয়ের কিশোরীবেলার তুতো দাদার সঙ্গে প্রেম হওয়া যখন পরের প্রজন্মকেও ছোঁয় তখন কিন্তু আশঙ্কা আঁকড়ে ধরে। আর বাড়ির ছোট মেয়ের বাউন্ডুলে এক শিল্পীকে বিয়ে করা নিয়েও চলে চোরাগোপ্তা কথা। এই দুই চরিত্রে প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণার অভিনয় বিশেষ প্রশংসিত হয়। এ-ছাড়াও ছিলেন মাধবী মুখোপাধ্যায়, মমতা শঙ্কর, দীপঙ্কর দে প্রমুখ। ছবিটির জন্য পরিচালক ‘গোল্ডেন লোটাস অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন-রঘুনাথগঞ্জের ৪০০ বছরের পেটকাটি দুর্গা
দেবীপক্ষ (২০০৪)
পরিচালনা : রাজা সেন
একটু অন্যভাবে দুর্গাপুজোকে এই ছবিতে ব্যবহার করেছিলেন পরিচালক রাজা সেন। দুর্গোৎসব যেমন মিলনোৎসব তেমনই তার মূল সুর কিন্তু শুভ-অশুভের দ্বন্দ্বে শুভের বিজয়। ছবির নামে দুর্গাপুজোর গন্ধ থাকলেও আসলে এক ধর্ষিত মেয়ের গল্প বলেছেন পরিচালক যে শাস্তি দিতে চায় দোষীদের। অর্থাৎ দুর্গা ও অসুরের লড়াইকেই অন্য আঙ্গিকে ব্যবহার করেছেন। মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। সঙ্গে ছিলেন শতাব্দী রায়, কোয়েল মল্লিক।
আরও পড়ুন-ধর্ম যার যার, উৎসব সবার স্লোগানের জীবন্ত উদাহরণ এই তিলোত্তমার বুকে…
অন্তরমহল (২০০৫)
পরিচালনা : ঋতুপর্ণ ঘোষ
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোটগল্প ‘প্রতিমা’ অবলম্বনে এই ছবি বানিয়েছিলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ। জমিদার ভুবনেশ্বর চৌধুরি। তাঁর দুই স্ত্রী। প্রথমা স্ত্রী মহামায়া বংশের উত্তরাধিকারী দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ভুবনেশ্বর দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন যশোমতীকে। আর ছিল এক কুমোর! মূলত এদের ঘিরেই গল্প। প্রধানত দুর্গা প্রতিমাই গড়েন বলে সেই কুমোরের ডাক পড়েছিল জমিদার বাড়িতে। কিন্তু শর্ত একটাই, মায়ের মুখ গড়তে হবে কুইন ভিক্টোরিয়ার আদলে। এর মাধ্যমে ব্রিটিশদের তুষ্ট করাই ছিল ভুবনেশ্বরের উদ্দেশ্য। চিরকালীন সংস্কারের আবহে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে পুরো ছবি। কিন্তু প্রেক্ষাপটে মা দুর্গা! অভিনয়ে ছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, সোহা আলি খান, জ্যাকি শ্রফ এবং অভিষেক বচ্চন।
আরও পড়ুন-দুর্গাপুজোয় মেতে উঠেছে অসুর সম্প্রদায়
দশমী (২০১২)
পরিচালক : সুমন মৈত্র
এই ছবির মূল প্রেক্ষাপট ছিল দুর্গাপুজো। তার প্রেক্ষিতেই বন্ধুত্ব, প্রেমকে ধরা হয় সুনিপুণভাবে। তুলি আর অভি একসঙ্গে বেড়ে উঠেছিল উত্তর কলকাতায়। পড়াশোনার জন্য তুলি বিদেশ চলে গেলেও ছোটবেলার বন্ধুত্বে ভাটা পড়েনি। এক দুর্গাপুজোয় কলকাতা ফেরে তুলি। পুজোর পাঁচদিনে কীভাবে বদলে যায় দুই বন্ধুর জীবন তা নিয়েই ছবির গল্প। মুখ্য চরিত্রে ছিলেন কোয়েল মল্লিক, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, পীযূষ গঙ্গোপাধ্যায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-গুড়াপে কেদারনাথ দর্শন
বেলাশেষে (২০১৫)
পরিচালক : নন্দিতা রায়, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়
এক দুর্গাপুজোয় বিশ্বনাথ মজুমদার তাঁর সব ছেলে-মেয়ে-বউ-জামাইদের ডেকে পাঠান কিছু কথা জানানোর উদ্দেশ্যে। সেইমতো সকলে একত্রিতও হয় বাড়িতে। বাবা কী জানাতে পারেন এ নিয়ে পুজোর আনন্দ-হইচইয়ের মধ্যেও অবিরত চলে চর্চা। শেষ অবধি বিশ্বনাথ তাঁর পরিবারের সকলের সামনে জানিয়েছিলেন তিনি তাঁর ৪৯ বছরের দাম্পত্যে ইতি টানতে চান। স্ত্রী আরতিরও এ নিয়ে দ্বিমত নেই! হতভম্ব ছেলেমেয়েরা এরপর কী করেন তা নিয়েই ছবির গল্প। মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। এ-ছাড়াও ছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, অপরাজিতা আঢ্য, খরাজ মুখোপাধ্যায়, মনামি ঘোষ।
আরও পড়ুন-পুজোয় মাতবেন ভুটানের নাগরিকেরা
বিসর্জন (২০১৭)
পরিচালনা : কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়
এই ছবিতেও দুর্গাপুজোকে ব্যবহার করা হয়েছে ভিন্ন ভাবে। পুজো নয়, ভাসান এই ছবির বিষয়। জলে ভাসমান মা দুর্গার মুখের জায়গায় জয়া এহসানের মুখ এক অপূর্ব দৃশ্যকল্প। সারা মুখে মাখামাখি সিঁদুর, নাকে বিরাট নথ, সারা গায়ে গয়নার সাজ। এক হিন্দু মেয়ে কীভাবে এক মুসলিম যুবকের আশা-ভরসার ভরকেন্দ্র হয়ে ওঠে কাহিনিতে তাই বুনেছেন কৌশিক। মুখ্য চরিত্র পদ্মা (জয়া) ও নাসিরের ভূমিকায় ছিলেন আবির চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে গণেশ মণ্ডলের চরিত্রে স্বয়ং পরিচালক। ২০১৯-এ এই ছবির সিক্যুয়েল ‘বিজয়া’ মুক্তি পায়। সেখানেও দুর্গাপুজো শুধু মাত্র উৎসব হিসেবে নয়, অন্যতম চরিত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
আরও পড়ুন-দুর্গাপুজোয় মেতে উঠেছে অসুর সম্প্রদায়
মা (২০১৮)
পরিচালনা : সৃজিত মুখোপাধ্যায়
একটি সত্য ঘটনা অবলম্বন করে এই ছবিটি তৈরি করেছিলেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সিঙ্গল ফাদার হিসেবেই প্রবাসী বাঙালি হিমাদ্রি মেয়ে উমাকে মানুষ করছিল। কর্মসূত্রে তারা থাকে সুইজারল্যান্ডে। বাবার কাছ থেকেই উমা শুনেছে দুর্গাপুজোর হাজার গল্প। তাই স্বপ্ন দেখত একদিন সেও দুর্গাপুজো দেখবে! উমা দুরারোগ্য অসুখে আক্রান্ত হওয়ার পর তার মনের ইচ্ছে পূরণ করতে তাকে নিয়ে দুর্গাপুজো দেখাতে দেশে ফেরে হিমাদ্রি। ভরা বর্ষাকাল কিন্তু উমার বেঁচে থাকার সময়সীমা নির্দিষ্ট। তাই অকালবোধনের আয়োজন করে অসাধ্যসাধন করে তার বাবা! উমা বোঝে না, সে তার মতো করে দ্যাখে সত্যি দুর্গাপুজো, দ্যাখে শহর জুড়ে আলোর রোশনাই। উপভোগ করে উৎসব। এই ছবিতে বাবা-মেয়ের চরিত্র রিল ও রিয়েলে এক হয়ে গিয়েছিল। কারণ অভিনয় করেছিলেন যিশু সেনগুপ্ত ও তার মেয়ে সারা সেনগুপ্ত। তবে শুধুমাত্র উল্লেখিত চলচ্চিত্রগুলিই নয়, আরও অনেক ছবিতেই দুর্গাপুজো এসেছে প্রাসঙ্গিকভাবেই। পুরো ছবি জুড়ে না হলেও বা পুজোকে কেন্দ্র করে ঘটনাবলি আবর্তিত না হলেও কাহিনিতে পুজোর বিস্তার থেকেছে অনেক ছবিতেই। তার মধ্যে আছে স্বনামধন্য পরিচালক তরুণ মজুমদারের ‘আলো’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’, অরিন্দম শীলের ‘দুর্গা সহায়’, ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন’ প্রমুখ।