বিরোধী বৈঠকের মাঝে তামিলনাড়ুর শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে ইডির হানা, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, সরব ডিএমকে

সোমবার সাতসকালেই তামিলনাড়ুর শিক্ষামন্ত্রী কে পনুমুদি এবং তাঁর সাংসদ-পুত্র গৌতম সিঙ্গমণির চেন্নাইয়ের বাংলোয় তল্লাশি শুরু করে ইডি

Must read

প্রতিবেদন : বেঙ্গালুরুতে বিজেপি-বিরোধী জোট বৈঠকের মধ্যে চেনা ছকে প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু মোদি সরকারের। সোমবার বেঙ্গালুরুতে যখন বিরোধী জোটের নেতারা একজোট হন ঠিক তার আগেই তামিলনাড়ুর শিক্ষামন্ত্রী ও তাঁর সাংসদ ছেলের বাড়িতে তল্লাশি চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। পুরনো অভিযোগে এজেন্সি দিয়ে হয়রানির চেষ্টা।

আরও পড়ুন-রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ভয়ঙ্কর-বিরল রোগ ALS-এর পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবার বাংলাতেই

এভাবে এজেন্সির অপব্যবহারের কড়া নিন্দা করেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন-সহ বিরোধী নেতারা। তাঁদের অভিযোগ, বিরোধীদের সক্রিয়তা দেখে চাপে পড়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে নামিয়ে ভয় দেখানোর অপচেষ্টা শুরু। কিন্তু এসবে কাজ হবে না। আগেও দেখা গিয়েছে, বিরোধীরা মোদি সরকারের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার চেষ্টা করলেই ইডি সিবিআই-এর মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে আসরে নামিয়ে কেন্দ্র। এদিনও তার ব্যতিক্রম হল না। বিরোধী বৈঠকে যোগ দিতে সোমবার দুপুরের বিমানে মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিনের বেঙ্গালুরু রওনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইডির অভিযানের কারণে তিনি যাত্রা পিছিয়ে দেন।

আরও পড়ুন-খেজুরিতে তৃণমূল কর্মীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা

সোমবার সাতসকালেই তামিলনাড়ুর শিক্ষামন্ত্রী কে পনুমুদি এবং তাঁর সাংসদ-পুত্র গৌতম সিঙ্গমণির চেন্নাইয়ের বাংলোয় তল্লাশি শুরু করে ইডি। মন্ত্রী ও তাঁর ছেলে দু’জনেই বাড়িতে ছিলেন। শাসক দল ডিএমকের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মেটাতেই মোদি সরকারের ইশারায় এই তল্লাশি অভিযানে চালাচ্ছে ইডি। আসলে বিরোধীরা জোটবদ্ধ হচ্ছে দেখে ভয় পেয়েছে মোদি সরকার। সে কারণেই তারা কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা দিয়ে পাল্টা ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। গতমাসে ইডি গ্রেফতার করেছিল তামিলনাড়ুর আর এক মন্ত্রী সেন্থিল বালাজিকে। বর্তমানে তিনি জেলবন্দি। দুর্নীতির অভিযোগে বালাজিকে বরখাস্ত করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিনকে চিঠি লিখে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন ওই রাজ্যের রাজ্যপাল আর এন রবি। মন্ত্রীকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়ে প্রবল সমালোচনার পড়ে রাজ্যপাল রবি নাজেহাল হয়েছিলেন। স্ট্যালিন নিজেও রাজ্যপালের বক্তব্যকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনেননি। যে কারণে বালাজিকে দফতর বিহীন মন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রিসভায় রেখে দিয়েছেন। ডিএমকের দাবি, বালাজির ক্ষেত্রে যেমন রাজ্যপালের মুখ পুড়েছে পনুমুদির ব্যাপারেও তেমনই হবে।

আরও পড়ুন-এবার সাইকেল চালিয়ে ঘোরা যাবে ডুয়ার্স!

শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগটি পুরনো। ২০০৬ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত তিনি রাজ্যের খনি দফতরের মন্ত্রী ছিলেন। সে সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন স্ট্যালিনের বাবা প্রয়াত এম করুনানিধি। ইডির অভিযোগ, শিক্ষামন্ত্রী পনুমদির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চেক করে বেআইনি লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে। তদন্তে দেখা গিয়েছে, বাবা ও ছেলের অ্যাকাউন্টে মোট ২৫ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। যার উৎস নিয়ে মন্ত্রী ও সাংসদ পুত্র কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। ইডির দাবি, খনিমন্ত্রী থাকাকালীন পনুমুদি তাঁর পরিবারের সদস্যের নামে পাথর খাদানের লাইসেন্স বের করেন। দেখা যায় তাঁর আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠরা দিনের পর দিন নির্ধারিত মাত্রার বেশি পরিমাণে পাথর উত্তোলন করে কর ফাঁকি দিয়েছেন।

Latest article